‘মানুষে মানুষে হিংসা বন্ধ হোক’ | পাঠক ভাবনা | DW | 16.04.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘মানুষে মানুষে হিংসা বন্ধ হোক’

ওয়েবসাইটের পাতা খুলেই ব্রেকিং নিউজ – বস্টন ম্যারাথনে বিস্ফোরণ এর খবরটির দিকে চোখ আটকে গেল৷ ঘটনাটি খুবই বেদনাদায়ক ও অমানবিক৷ আসলে ধর্মের আদর্শ কিছু ধর্মান্ধ মানুষের হাতে পড়ে ভুল পথে ও ভুল লক্ষ্যে চলিত হচ্ছে৷

মানুষের প্রতি মানুষের এই হিংসাকে বন্ধ করতে বিশ্বের সকল মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে, প্রতিবাদে সোচ্চার হতে হবে৷ এই পরিস্থিতিতে যে সকল ক্রীড়াবিদ অদম্য উত্সাহের সাথে ম্যারাথন দৌড় শেষ করতে সফল হয়েছেন, তাঁদের প্রতি কুর্নিশ জানাই৷ এই প্রসঙ্গে ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তানের কথাও ভাবতে হবে, যেখানে প্রতিদিন এই ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে চলেছে, প্রাণহানি ঘটে চলেছে৷ অনেক অনেক নিরীহ নর-নারী ও ফুলের মতন নিষ্পাপ শিশুর৷ এই ই-মেলটি পাঠিয়েছেন নতুন দিল্লী থেকে সুভাষ চক্রবর্তী৷

প্রিয় ডিডাব্লিউ, বেশ আগ্রহ সহকারে বিটিভি সংক্রান্ত দুটি প্রতিবেদন পড়লাম৷ ৬৪ সালে যাত্রা করে আজকের বিটিভি আইসিইউ তে কোমায় থাকা একটি সম্প্রচার মাধ্যম বললে ভুল হবে না৷ সীমান্ত এলাকা রাজশাহীতে বসবাস এবং মুর্শিদাবাদ কাছে হওয়াতে যে তথ্যটা আমার জানা তা অনেকেই জানেন হয়ত... সেটা হলো স্যাটেলাইট যুগ আরম্ভ হওয়ার আগে এবং তার কিছু পরেও সীমান্তবর্তী ভারতীয়রা বিটিভির প্রচারিত নাটকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন৷ ডিডি নয় – বিটিভিই ছিল তাদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম৷

কষ্ট হয়, আজ বাংলাদেশিদের পছন্দের তালিকায় স্টার জলসা, জি-বাংলার ধারাবাহিকের প্রতি নেশা দেখে৷ এর কারণ কী? কেবল ডিজিটাইজেশন করলেই কি ফিরে পাওয়া যাবে হারানো অহংকার? বাংলাদেশি টিভি নাটকেও আজ মৌলিকতা হারাতে বসেছে৷ তাহলে? শেষ কথা হলো বাংলাদেশে এখন এমন প্রান্ত খুঁজে পাওয়া মুশকিল যেখানে স্যাটেলাইট চ্যানেল নেই... তাহলে বিটিভির টেরেস্ট্রিয়াল সুবিধা নিয়ে কী লাভ করছে বিটিভি??? ধন্যবাদ সহ আশিক ইকবাল টোকন, লক্ষ্মীপুর গ্রেটার রোড, রাজশাহী থেকে৷

মহাশয়/মহাশয়া, ডয়েচে ভেলের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞান জগতের সুন্দর সুন্দর খবর পেয়ে থাকি৷ কিন্তু তাড়াতাড়ি সে বিষয়ে মতামত জানাতে না পারলে অনেক সময়ই সেই খবরটি ওয়েবসাইটে আবার খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়৷ যেমন খুব ভালো লেগেছে ১২ই এপ্রিল প্রকাশিত ‘অন্ধকার দূর করে বোতল বাতি' প্রতিবেদনটি৷

আজ মতামত লিখতে বসে প্রতিবেদনটি খুঁজতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হল, অবশ্য শেষ অবধি খুঁজে পেলাম৷ ইলাচ দিয়াসের অসাধারণ আবিষ্কারটির খবর আমাদের কাছে তুলে ধরার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই৷ কত সহজে আলোর প্রতিসরণ ধর্মকে কাজে লাগিয়ে গরিব মানুষের জন্য আলোর ব্যবস্থা করলেন উনি৷ ৫৫ ওয়াটের আলো নেহাত কম নয়৷

গরিবদের জন্য আলোর ব্যবস্থা যেমন হল, তেমনি একইসাথে বর্জ্য হিসাবে পরিত্যক্ত বোতলগুলি কাজে লাগানোয় পরিবেশটাও দূষণের হাত থেকে বাঁচবে৷ তাছাড়াও আপনাদের প্রতিবেদনেই উল্লিখিত রয়েছে, বোতল বাতিকে কাজে লাগিয়ে ৩০০০ টনের বেশি কার্বন নির্গমন বন্ধ করা গেছে৷ এটাও কম সুখবর নয়৷ প্রতিবেদনের সাথে এবিষয়ে লিঙ্কটি থাকায় খুব উপকৃত হয়েছি৷ কারণ এই বাতির প্রযুক্তিগত দিকটি প্রতিবেদনটি থেকে ঠিক বুঝতে পারিনি৷ তখন বোঝার জন্য লিঙ্কটির সাহায্য নিতে হয়েছে৷ প্রতিবেদন ও লিঙ্কটির জন্য আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ৷ আপনাদের সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি৷ নমস্কারান্তে ইতি সুখময় মাজী, গঙ্গাজলঘাটী, জেলা – বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে৷

দৃষ্টির সীমানায় পর্বটি সম্পর্কে মতামত৷ এই বিষয়টি আসলেই অভিভূত৷ আমিতো ভাবতেই পারিনি যে এই বিষয়টি নিয়ে দারুণ একটি প্রতিবেদন হতে পারে৷ বেশ ভাল লাগলো এই মজার বিষয়টি নিয়ে আপনাদের মনোমুগ্ধকর আলোচনা৷ ভাবতেও ভাল লাগে যখন কারো কোন ভাল খবর শুনি৷ ভাল ছাত্রের সাথে, ভাল মানুষের সাথে শত্রুতা থাকলেও ভাল কিছু শেখা যায় বৈকি! আপনাদেরকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারলাম না৷ মো. সোহেল রানা হৃদয়, প্রেসিডেন্ট: ফ্রেন্ডস ডি-এক্সিং ক্লাব ভিউয়ার, আই জি এস এন্ড সি, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা৷

‘ইউরোপে অর্থনৈতিক সংকট ও বিলুপ্ত রোগব্যাধি' নিবন্ধটি পড়ে মনের মধ্যে আশঙ্কা জাগছে৷ যে সব ব্যাধিগুলি পৃথিবী থেকে দূর হয়ে গেছে, সেগুলিরই আবার ফিরে আসার পূর্বাভাষ জানাচ্ছে না তো সমীক্ষাটি! তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলি এমনিতেই স্বাস্থ্যখাতে খুব বেশি খরচ করতে পারেনা৷ স্বাভাবিক ভাবেই এসব দেশে জনস্বাস্থ্যের অবস্থা খুব ভালো নয়৷ কিন্তু তবুও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার সাহায্যে বিভিন্ন রোগকে নির্মূল করার প্রয়াস চলছে৷ ভারতের ক্ষেত্রে যেমন যক্ষ্মা, কুষ্ঠ, পোলিও, ইত্যাদি৷ এই অবস্থায় আর্থিকভাবে এগিয়ে থাকা ইউরোপে বিভিন্ন রোগের ফিরে আসার খবর আমাদের উদ্বিগ্ন করছে৷

প্রতিবেদনটি থেকে জানা গেল, ২০১১ সালে গ্রিসে আবার ম্যালেরিয়া দেখা দিয়েছে৷ ১৯৫০ সালের পর এই প্রথম৷ এথেন্সে এইডস রোগীর সংখ্যাও লক্ষ্যণীয়ভাবে বেড়ে গেছে৷ রবার্ট ম্যাককি'র লেখা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এর সঙ্গে গ্রিসের চলমান আর্থিক সঙ্কটের সম্পর্ক রয়েছে৷ কিন্তু এক দেশ থেকে রোগব্যাধির সংক্রমণ অন্য দেশে পৌঁছতে বেশি সময় লাগে না৷ তাই ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাষ্ট্রপুঞ্জ, সবারই এ ব্যাপারে গ্রিসের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া দরকার৷ এ প্রসঙ্গে ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস' সংগঠনটিকে তাদের কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাই৷ সবাই ভালো থাকবেন৷ নমস্কার নেবেন৷ আর হ্যাঁ, আপনাদের সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই৷ ইতি, কেকা প্রধান বিপিএইচএন, পাথরডিহি, বাগমুন্ডী, পুরুলিয়া৷

-মতামত জানানোর জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ৷ এভাবেই নিয়মিত সাথে থাকবেন এটাই আমাদের একান্ত কামনা৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন