‘আমিও ফ্লো মার্কটে যেতে চাই’ | পাঠক ভাবনা | DW | 15.04.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘আমিও ফ্লো মার্কটে যেতে চাই’

‘অল্পমূল্যে অনেক ইচ্ছাই পূরণ করা সম্ভব’ শীর্ষক ফ্লোমার্কটের উপর ছবিঘরটি খুব ভালো লাগলো৷ জার্মান ভাষা শিক্ষার অনুষ্ঠান ‘ডয়েচ, ভারুম নিশ্ট’-এ পুরানো জিনিস বিক্রির কাহিনি শুনেছিলাম৷

তখনই এই বাজার সম্পর্কে একটা ধারণা করে নিয়েছিলাম৷ দেখলাম যা ভেবেছিলাম, এই বাজারের ব্যাপ্তি তার চেয়েও অনেক ব্যাপক৷ জানলাম এই বাজারের ইতিহাস; প্রথম শুরু হয় প্যারিসে ১৮৯০ সালে, আর জার্মানিতে প্রথম হয় হ্যানোফার শহরে ১৯৭৬ সালে৷ অনেক দুষ্প্রাপ্য জিনিস যে এই বাজারে মিলবে, সেটাই স্বাভাবিক৷ তবে শতকরা দশ জন জার্মানের এই বাজার মাসে দু-তিন বার যাওয়া এর ব্যাপক জনপ্রিয়তারই প্রমাণ৷ অবাক হলাম এই তথ্য জেনে যে, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের স্ত্রীরাও বন শহরের ফ্লো মার্কটে কেনাকাটা করতেন৷

খারাপ লাগল এখানে নতুন জিনিসও বিক্রি শুরু হওয়ার খবরে৷ ভয় হয়, এর ফলে শেষ পর্যন্ত ফ্লো মার্কটের চরিত্রটাই না বদলে যায়৷ আপনাদের সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি৷ গঙ্গাজলঘাটী, বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে এই ই-মেলটি পাঠিয়েছেন পাঠক বন্ধু সুখময় মাজী৷

‘দাঁতের মাজন হতে হবে আকর্ষণীয়' – এই প্রতিবেদনটি পড়ে ভালো লাগলেও ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রাশ ব্যবহারকারী মানুষগুলোর কথা মনে পড়ে গেল৷ বেশ কিছুজনের ক্ষেত্রে দাঁতের মধ্যে ঠান্ডা জল লাগলেই অসম্ভব যন্ত্রণা হয়৷ আর দাঁতের ডাক্তারের কাছে দেখালে, তিনি যন্ত্রণা উপশমের ওষুধ দিলে সাময়িকভাবে যন্ত্রণা উপশম হয়ে আবারো আরম্ভ হয়৷ আবার ব্রাশ ব্যবহার না করার জন্য দাঁত মেজে শান্তিও হয় না৷ ফলে অচিরে ভালো দাঁত তুলে ফেলতে হয়৷ আমার প্রশ্ন, এই মাজনের উৎপাদনের সময় কিছু যন্ত্রণা উপশমের ভেষজ প্রয়োগ করা গেলে ব্রাশ ব্যবহারকারীরা স্বচ্ছন্দে ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন৷ আশা রাখি উৎপাদনকারীদের একটু ভাবনা-চিন্তা করতে বলবেন৷ আপনাদের কুশল কামনায় সুহৃত ব্যানার্জী, জৌগ্রাম,বর্দ্ধমান থেকে লিখেছেন৷

১৪ই এপ্রিল রবিবার বাংলাদেশে ও ১৫ই এপ্রিল সোমবার আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে বাংলা নববর্ষের সূচনা৷ এপার বাংলা ও ওপার বাংলা দুই বাংলায় আমাদের সবার প্রিয় ‘পয়লা বৈশাখ'৷ ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের সকলকে আমার ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই বৈশাখী শুভেচ্ছা৷

‘পাগলা মনে রঙ্গিন চোখে, নাগরদোলায় বছর ঘুরে/আসলো বছর নতুন বেশে: এসো হে বৈশাখ, এসো এসো' – আপনাদের প্রতিবেদন পড়ে জানতে পারলাম বাংলাদেশে বাঙালির প্রাণের উত্‍সব বাংলা নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তার কথা ভেবে সময়ের নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছেন৷ আমার মনে হয়, বাংলাদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাঙালির আবেগের বিচারে সঠিক নয়৷ পান্তা-ইলিশ খেয়ে রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক রমনা বটমূলে খুশির জোয়ারে মন থেকে বাঙালি বরণ করুক বাংলা নববর্ষ -১৪২০! সুদেষ্ণা বসু, বমনগর, আঁটপুর, রাজবলহাট পোস্ট অফিস, হুগলী, ভারত থেকে৷

- মতামতের জন্য ধন্যবাদ৷ আপনাদের সবাইকে আবারও জানাই নববর্ষের অনেক অনেক শুভেচ্ছা৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন