‘এক মাটির গাছ অন্য মাটিতে বাঁচে না’ | পাঠক ভাবনা | DW | 18.04.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘এক মাটির গাছ অন্য মাটিতে বাঁচে না’

‘কারণ পতিতাদের ভয় এবং’ প্রতিবেদনটি পড়ে আশ্বস্ত হলাম৷ প্লেবয় ভারতে ক্লাব খোলার খবরে আশঙ্কিত হয়েছিলাম৷ ১১০ কোটি মানুষের বাজারকে ধরার জন্য প্লেবয়-এর তাগিদ থাকা স্বাভাবিক৷

কিন্তু তাঁদের উদ্দেশ্য ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পরিপন্থি৷ ভারতবর্ষে যৌনতা সম্বন্ধে একটা রক্ষণশীলতা আছে, আর সেটা ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম ভিত্তি৷ আজকে তথাকথিত বিশ্বায়নের নামে সেই সংস্কৃতির উপর ক্রমাগত আঘাত আসছে৷ পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি নয়, বরং পাশ্চাত্যের সাংস্কৃতিক আবর্জনাকেই সংস্কৃতি মনে করে একশ্রেণির মানুষ তাতে গড়াগড়ি খাচ্ছে৷ পশ্চিমি দেশগুলোর সততা, পরিশ্রম, সময়ানুবর্তিতা, মানুষকে ব্যক্তি হিসাবে সম্মান জানানোর মানসিকতা ইত্যাদি আমরা গ্রহণ করতে পারিনি৷ কিন্তু বিকিনি কালচারকে অনুকরণ করা আজকের দিনে প্রগতিশীলতার পরিচয় হয়ে উঠছে টিভি আর চলচ্চিত্রের দৌলতে৷

আমরা ভুলে যাই যে এক একটি দেশের সুদীর্ঘকালের জীবনপ্রবাহের ফল হিসাবে সেই দেশের সংস্কৃতি গড়ে ওঠে৷ এক মাটির গাছ যেমন অন্য মাটিতে রোপণ করলে বাঁচে না, ঠিক তেমনি এক দেশের স্বাভাবিক সংস্কৃতি অন্য দেশের পক্ষে বেমানান হতেই পারে৷ তাই প্লে বয়ে'র ক্লাব কালচার কখনোই ভারতে স্বাগত নয়৷ গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ, এই অবাঞ্ছিত প্রয়াস আটকে দেওয়ার জন্য৷ আপনাদের ধন্যবাদ প্রতিবেদনটির জন্য৷ সুন্দর ই-মেলটি পাঠিয়েছেন সুখময় মাজী, গঙ্গাজলঘাটী, বাঁকুড়া, ভারত থেকে৷

সুভাষ চক্রবর্তী লিখেছেন, জার্মানির অভিবাসী তুরস্কের জোবায়দা মুরাদ -এর বক্সিং প্রীতি নিয়ে তুলে ধরা ছবিসহ বর্ণনা বেশ ভালো লাগলো৷

সাহায্যের হাত বাড়ালে পাওয়া যাবে জার্মানিতে বাসস্থান৷ সঙ্গে বাড়তি পাওনা জার্মান ভাষা শেখার সুযোগ আর জার্মানির সংস্কৃতিকে আরও নিবিড় ভাবে জানা ও দেখার সুযোগ৷ এমন সুযোগ পাওয়া গেলে কি কেউ হাতছাড়া করতে পারে নাকি? এই প্রসঙ্গ নিয়ে ছবিঘরটি সত্যিই অনবদ্য৷

ইউরোপের সবচেয়ে বড় টিউলিপ ফুলের বাগান – ‘কয়কেনহোফ' গত বছর দেখে এসেছি, সেই স্মৃতি এখনো মনের মধ্যে রেখে দিয়েছি৷ ডয়চে ভেলের ওয়েবপেজে কয়কেনহোফের টিউলিপ ফুলের বাগানের অসাধারণ দৃশ্য আমাকে যেন সেই বাগানে ফিরিয়ে নিয়ে গেলো৷

অসুস্থ থাকার কারণে কয়েকদিন বিরতি ছিলো চিঠি লেখায়৷ সুস্থ হয়ে আবার নিয়মিত ই-মেল করছেন নতুন দিল্লির বন্ধু সুভাষ চক্রবর্তী৷

সুপ্রিয় বন্ধুরা, আমার ভালবাসা ও শুভেচ্ছা নিবেন৷ আশা করছি সবাই ভাল আছেন৷ আমি এবং ক্লাবের সবাই ভাল আছি৷

‘মানবাধিকারের ব্যাপারে সরকার উদাসীন' শীর্ষক প্রতিবেদনটি পড়ে নানা কথা জানলাম৷ আসলে আমারও তাই মনে হয়৷ সরকার আছে শুধু ‘ধর তক্তা মার পেরেক' এই তালে আছে৷ ভাল কোন কাজেই দেখা গেলনা এই সরকারের হাতে৷ জানিনা আর বাকী সময়টা কীভাবে কাটবে৷ আমরা কেউ ভাল আছি বলে মনে হয়না৷ ধন্যবাদ সমসাময়িক এই বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য৷ মো. সোহেল রানা হৃদয়, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা থেকে৷

- অনেক ধন্যবাদ বন্ধুদের সকলকে মতামত পাঠানোর জন্য৷ যে কোন বিষয়ে পরামর্শ থাকলেও জানাতে পারেন, আগামীতে সেসব বিষয়ও তুলে ধরার চেষ্টা করা যেতে পারে৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

নির্বাচিত প্রতিবেদন