1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বন্দি হত্যার অভিযোগ

২১ জানুয়ারি ২০১৪

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ব্যাপক হত্যা এবং নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন বলে একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন সাবেক তিন আন্তর্জাতিক আইনজীবী৷ গার্ডিয়ান পত্রিকা এবং সিএনএন এর প্রতিবেদনে ঐ রিপোর্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1AuCI
ছবি: AFP/Getty Images

কাতারে আশ্রয় নেয়া সিরিয়ার এক সেনা সদস্যের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে আইনজীবীরা এই রিপোর্টটি তৈরি করেছেন৷ তাঁরা জানিয়েছেন, বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীর পক্ষ ত্যাগ করে আসা ঐ সেনার কাছে ১১ হাজার বন্দির মৃতদেহের অন্তত ৫৫ হাজার ছবি আছে, যা তিনি হস্তান্তর করেছেন তাঁদের কাছে৷

ওই সেনা সদস্যের দাবি, বন্দি অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে এবং ছবিগুলো সেনা হাসপাতালে নেয়ার পর তোলা হয়েছে৷ মৃতদেহগুলোর বিভৎসতা তুলে ধরেছেন তিনি৷ বলেছেন, বন্দিদের কারো চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে, কাউকে বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়েছে৷ ৩১ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদন জুড়ে রয়েছে এমন ভয়াবহতার বর্ণনা৷

সিয়েরা লিওনের বিশেষ আদালতের সাবেক প্রধান আইনজীবী ডেসমন্ড ডি সিলভা, সাবেক যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচের বিচারের প্রধান বিচারক জিওফ্রে নাইস এবং লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট চার্লস টেলইরের বিচারের বিচারক ডেভিড ক্রেন এই প্রতিবেদনটি লিখেছেন৷

Syrien Bombenanschlag in Damaskus
বোমার আঘাতে আহত শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন এক সিরীয় নাগরিকছবি: Reuters

ডি সিলভা গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে আসাদবাহিনী ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে৷ জাতিসংঘ জানিয়েছে, সিরিয়ার যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন সংকট নিরসনে সিরিয়ায় রাজনৈতিক সমাধান চাইলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর বিরোধিতা করেছে৷ যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলো জানিয়েছে, ভবিষ্যতে সিরিয়ায় তারা আসাদকে কোনো ভূমিকায় দেখতে চান না৷

এদিকে, সিরিয়ার ভবিষ্যত নিয়ে জেনেভায় আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন কূটনীতিকরা৷ সেখানে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন সিরিয়ার শান্তি আলোচনা শুরুর আগে শেষ মূহুর্তে ইরানকে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করেছেন৷ সিরিয়ার বিরোধীদল শান্তি আলোচনা বয়কটের হুমকি দেয়ার পর এই পদক্ষেপ নেন তিনি৷

সিরিয়ার সরকার বিরোধীজোট সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশন তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করায় জাতিসংঘ ও বান কি মুনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে৷

২২ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের মন্ট্রেয়া শহরে সিরীয় শান্তি আলোচনা শুরু হয়ে একদিন পর জেনেভা শহরে আলোচনার মূল পর্ব শুরু হওয়ার কথা৷

এপিবি/এসিবি (এএফপি,রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য