1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে মাওবাদী সংকট

২৩ এপ্রিল ২০১২

অপহরণ ও পণবন্দি নাটক যেন মাওবাদীদের দাবি আদায়ের হাতিয়ার হয়ে উঠছে৷ এটাকে মাওবাদীদের জনভিত্তি আলগা হওয়ার লক্ষণ বলে মনে করছে সুশীল সমাজ৷ ছত্তিসগড় রাজ্যের সুকুমা'র জেলাশাসক আলেক্স পল মেননকে এখনো মুক্তি দেয়নি মাওবাদীরা৷

https://p.dw.com/p/14jaK
ছবি: AP

ভারতের ছত্তিসগড় রাজ্যের মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তার এলাকার সুকমা'র জেলাশাসক আলেক্স পল মেনন গত শনিবার মাওবাদীদের হাতে পণবন্দি হন৷ ছত্তিশগড় সরকার তাঁর মুক্তির জন্য সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেও এখনো তাঁকে ছাড়ানো যায়নি৷ মুক্তির শর্ত, ৮জন মাওবাদীকে মুক্তি দিতে হবে এবং মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অপারেশন ‘গ্রিন হান্ট' অভিযান সরকারকে বন্ধ রাখতে হবে৷ দাবি মানার চূড়ান্ত সময়সীমা আগামী পরশু৷

Indien Maoisten lassen den italienischen Tourist Claudio Colangelo frei
মুক্তি পাওয়া ইটালীয় পর্যটকছবি: AP

সুকমা'র জেলাশাসক হিসেবে আলেক্স মেনন প্রান্তিক মানুষদের উন্নয়নে প্রশংসনীয় কাজের জন্য জনপ্রিয়৷ তাঁর অপহরণের প্রতিবাদে গতকাল সুকুমা'য় পালিত হয় সর্বাত্মক হরতাল৷ এতে মনে করা হচ্ছে, মাওবাদীদের দিক থেকে সাধারণ মানুষ ক্রমশই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে৷ বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী মীনাক্ষী গাঙ্গুলি ডয়চে ভেলেকে সেকথাই বললেন৷ মাওবাদীরা নিজেদের মানবাধিকার চ্যাম্পিয়ন বলে জাহির করে৷ এখন তাঁদের কাজকর্ম অপরাধের পর্যায়ে চলে এসেছে৷ এখন তাঁরা প্রান্তিক মানুষের কল্যাণে কাজ করছেনা৷ পণবন্দি কোরে ব্ল্যাকমেল করছে৷ ‘নিজেদের লোকেদের ছেড়ে দাও৷ নিরাপত্তা বাহিনী হটাও'৷ বলছেনা ‘স্কুল কর, হাসপাতাল বানাও'৷

উল্লেখ্য, জেলাশাসক গ্রাম সুরজ অভিযান কর্মসূচিতে যোগ দিতে মাওবাদী অধ্যুষিত এক গ্রামে গিয়েছিলেন৷ এই কর্মসূচির লক্ষ্য গ্রাম ও সরকারি প্রশাসনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়নের সুফল প্রান্তিক মানুষদের কাছে পৌঁছে দেয়া৷

উল্লেখ্য, গতমাসে দুজন ইটালীয় পর্যটক এবং ওড়িশার শাসক দলের একজন বিধায়ককে পণবন্দি করে মাওবাদীরা৷ ইটালীয় নাগরিকরা ছাড়া পেলেও বিধায়ক এখনো পণবন্দি মাওবাদীদের হাতে৷ ঐ বিধায়কের মুক্তির শর্ত নিয়ে মাওবাদী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে বিভাজন সামনে এসেছে৷ প্রথম আসে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস ট্রেনে নাশকতা কাণ্ডে৷ এক শাখা এর দায়িত্ব স্বীকার করে, অন্য শাখা তার সমালোচনা করেছিল৷ এক শাখার দাবির সঙ্গে অন্য শাখার মতপার্থক্য৷ সংগঠনের দিক থেকেও তারা পৃথক৷

হঠাৎ মাওবাদীদের হাতে পণবন্দি হবার ঘটনা বেড়ে যাবার কারণ কী? সমাজসেবীদের মতে, মাওবাদীদের অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মী নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত না হয় ধরা পড়েছে৷ কার্যত তারা নোঙরহীন৷ তাই জেলবন্দি নেতাকর্মীদের ছাড়িয়ে আনতেই এই অপহরণ কৌশল৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য