1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুখ্যমন্ত্রী সম্মেলন

১৬ এপ্রিল ২০১২

ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সন্ত্রাসবাদ এবং মাওবাদী চরমপন্থাকে দেশের সামনে এক বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন৷ জোর দেন কেন্দ্র ও রাজ্যের পারস্পরিক সহযোগিতার ওপরও৷

https://p.dw.com/p/14eej
ছবি: AP

সোমবার নতুন দিল্লিতে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর বক্তব্য: সন্ত্রাসবাদ এবং বামপন্থা উগ্রবাদ আজও সরকারের সামনে এক বড় চ্যালেঞ্জ৷ তাই সন্ত্রাস মোকাবিলার প্রধান দায়িত্ব রাজ্যগুলির হলেও কেন্দ্র চায় রাজ্যগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে এক শক্তিশালী ও কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে৷

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস, বাম উগ্রবাদ, ধর্মীয় মৌলবাদ, জনজাতি সহিংসতা দেশে এখনো চলছে৷ যদিও গত বছরের তুলনায় কম৷ কড়া হাতে, কিন্তু স্পর্শকাতরতার সঙ্গে এর মোকাবিলা করতে হবে৷ জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতিতে লক্ষণীয় উন্নতি হলেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় অনুপ্রবেশ ঘটছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী৷

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম তাঁর বক্তব্যে বলেন, অপারেশন স্তরে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং রাজ্য পুলিশের মধ্যে কোনো বিবাদ নেই৷ তারা একসঙ্গে কাজ করে, পরস্পরের সঙ্গে শলাপারামর্শ করে, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করে এবং দরকার মতো যৌথ অভিযান চালায়৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, নাগরিক সমাজের সমর্থন পেতে মাওবাদীরা তাদের সামনের দিকে এমন কিছু সংস্থা রেখেছে, যার মাধ্যমে তারা গণতন্ত্রের সব সুযোগ-সুবিধাকে কাজে লাগায়৷ যেমন, বাক-স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ, মানবাধিকারবাদ ইত্যাদি৷

পাশাপাশি অ-কংগ্রেসি রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা মনে করেন, জাতীয় সন্ত্রাস-বিরোধী কেন্দ্র স্থাপন, রাজ্যের এক্তিয়ারে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো লঙ্ঘন৷ এইসব ইস্যু নিয়ে নিজেদের মধ্যে একটা সমন্বিত কৌশল গ্রহণে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার সঙ্গে মিলিত হন ওড়িশা ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী৷ যতদিন একতরফা ব্যবস্থা বন্ধ না হবে, ততদিন কেন্দ্রের ওপর রাজ্যের আস্থা থাকবেনা বলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী৷ জয়ললিতার অভিযোগ, কেন্দ্র ভয় দেখিয়ে চলেছে রাজ্যগুলিকে, সাংবিধানিক সংস্থানের পরোয়া না করে৷

উল্লেখ্য, জাতীয় সন্ত্রাস-বিরোধী কেন্দ্র অর্থাৎ এনসিটিসি নিয়ে অ-কংগ্রেসি রাজ্যগুলির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিশদ আলোচনা হবে ৫ই মে৷ আজকের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যোগ দেননি৷ তাঁর জায়গায় এসেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র৷ ৫ তারিখের ঐ বৈঠকে অবশ্য মমতা বন্দোপাধ্যায় যোগ দেবেন৷

বৈঠকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে যেমন, পুলিশ বাহিনীর আধুনিকীকরণ, অপরাধীদের নেটওয়ার্ক, সীমান্ত ম্যানেজমেন্ট, উপকূলভাগের সুরক্ষা, জাল মুদ্রা ছড়ানো, গোয়েন্দা শাখাকে ঢেলে সাজানো ইত্যাদি৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য