1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসলাম সম্মেলন

১৯ এপ্রিল ২০১২

পারিবারিক হিংসা ও বলপূর্বক বিয়ের রীতির নিন্দা করলেন জার্মানির মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিরা৷ ষষ্ঠ ইসলাম সম্মেলনে সালাফিদের কোরান বিতরণের সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা শোনা গেছে৷

https://p.dw.com/p/14h4x
ছবি: dapd

জার্মানির জনসংখ্যার প্রায় পাঁচ শতাংশ মুসলিম৷ ২০০৬ সাল থেকে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইসলাম সম্মেলন৷ রাষ্ট্র ও জার্মানিতে বসবাসরত মুসলিমদের মধ্যে সরাসরি সংলাপের এই উদ্যোগের গুরুত্ব বেড়েই চলেছে৷ বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন ছাড়াও ১০ জন গণ্যমান্য প্রতিনিধি উপস্থিত থাকেন এই সম্মেলনে৷ তবে দু'টি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন এতে অংশ না নেওয়ায় মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে কিছু সংশয় প্রকাশ করেন সমালোচকরা৷

Salafists dominate German Islam Conference

বৃহস্পতিবার জার্মান ইসলাম সম্মেলন পারিবারিক হিংসা ও বলপূর্বক বিয়ের রীতির নিন্দা করেছে৷ এই আচরণকে মৌলিক মানবাধিকার বিরোধী বলে বর্ণনা দিয়েছেন প্রতিনিধিরা৷ জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হান্স পেটার ফ্রিডরিশ মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিদের এই অবস্থানকে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত হিসেবে বর্ণনা করেছেন৷ সেইসঙ্গে ব়্যাডিকাল সালাফিরা যেভাবে গোটা দেশে কোরান বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তবে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, জার্মানির মুসলিম সমাজে তাদের সংখ্যা নগণ্য৷ তিনি বলেন, সবাই এবিষয়ে একমত, যে সালাফি উগ্রবাদ একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং জার্মানির মতো মুক্ত সমাজে এর কোনো স্থান নেই৷

জার্মানিতে বসবাসরত মুসিলমদের একটা বড় অংশ বিদেশি বংশোদ্ভূত৷ তাদের ধর্মবোধ, রীতিনীতির মধ্যেও অনেক পার্থক্য রয়েছে৷ বিশেষ করে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই পরিবারের মেয়েদের জন্য পাত্র বাছাই করে দেওয়া হয়৷ প্রয়োজন দেখলে সন্তানদের উপর শারীরিক অত্যাচারও গ্রহণযোগ্য বলে মনে করা হয়৷ জার্মানির মতো মুক্ত সমাজে বেড়ে ওঠা নারী বা শিশুদের পক্ষে ইচ্ছার বিরুদ্ধে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ মেনে নেওয়া সহজ হয় না৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রিডরিশ বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে একযোগে মুসলিম নেতারা যেভাবে এই প্রথম পরিবারের মধ্যে হিংসার বিরুদ্ধে স্পষ্ট ভাষায় লিখিত বিবৃতিতে সমালোচনা করেছেন, তার ফলে স্পষ্ট বার্তা পাঠানো হচ্ছে৷

সম্মেলনে এমন স্পষ্ট অবস্থান দেখা গেলেও শাসক রক্ষণশীল সিডিইউ সংসদীয় দলের প্রধান ফল্কার কাউডার'এর এক মন্তব্য বিতর্কের সৃষ্টি করেছে৷ তাঁর মতে, ইসলাম ধর্ম জার্মানির ঐতিহ্য ও পরিচয়ের অংশ নয়৷ তাই এই ধর্ম জার্মানির অংশ হতে পারে না৷ জার্মানির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ যেভাবে ইসলাম'কে জার্মানির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন, এই মন্তব্য তার সম্পূর্ণ বিরোধী৷ বিরোধী পক্ষ ও তুর্কি সংগঠনগুলি কাউডার'এর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন, (ডিএপিডি, কেএনএ, এএফপি)

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান