ধর্ষণের কারণে চিরবিদায়, কি মর্মান্তিক! | পাঠক ভাবনা | DW | 03.01.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

ধর্ষণের কারণে চিরবিদায়, কি মর্মান্তিক!

ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লিতে সাম্প্রতিক ধর্ষণকাণ্ডের শিকারে ২৩ বছরের তরুণীর চিরবিদায় – খবরটা পড়ে বা জেনে খারাপ লাগেনি এমন কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, অন্তত দুই বাংলায়৷

একটা কথা না বললেই নয়৷ আর সেটা হলো: আমাদের সবার প্রিয় ডয়চে ভেলে৷ আমি জানি না জার্মানিতে লোকজন কতটা বাংলা খবর পড়েন বা খোঁজ রাখেন৷ তথাপি ডয়চে ভেলে প্রতিদিন চলতি ঘটনার পাতায় বিশেষ রিপোর্ট আকারে প্রচার করেছে এই মর্মান্তিক ঘটনার বিবরণ৷ আমি প্রতিটি রিপোর্ট পড়ে এতটাই জেনেছি যে, চোখ বুঝলে মনে হয় ঘটনাটি আমার সামনেই ঘটেছে৷ কি করুণ একটি ঘটনা....আমাদের মধ্যে পশুর মতো কিছু নরপিশাচ এই ঘটনা ঘটিয়েছে, এটা ভাবা যায় না৷ মেয়েটি মারা যাবার পর আরো খারাপ লেগেছে৷ নিজেকে দোষী মনে হয়েছে৷

যে সব মেয়েরা জানবে যে একটি মেয়ে ধর্ষণের পর মারা গেছে, তখন তাঁদের কাছে পৃথিবীর সব পুরুষকে অপরাধী মনে হবে৷ যা হোক, মেয়েটির আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি৷ প্রতিদিন এই খবরের আদ্যপান্ত ডয়চে ভেলে জানিয়েছে অকুতোভয় সৈনিকের মতো৷ তাই ডয়চে ভেলেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এ ঘটনার আগাগোড়া সব খবর প্রচার করার জন্য৷ এভাবে একটি ঘটনার পেছনে লেগে থেকে পুরো খবর প্রচার করার দৃষ্টান্ত বিরল৷

ডয়চে ভেলে এগিয়ে যাও সামনের দিকে আর এগিয়ে এসো আমাদের আরো কাছে৷ মো. সোহেল রানা হৃদয়, প্রেসিডেন্ট ফ্রেন্ডস ডি-এক্সিং ক্লাব, ঢাকা থেকে লিখেছেন এই ই-মেলটি৷

আর কত নারী নির্যাতনে ঝরে যাবে? ভারতে যে এক মেডিকেল ছাত্রীর মর্মান্তিক ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচিত হচ্ছে – এর নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই৷ আমাদের সকলের বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় এগিয়ে আসা প্রয়োজন, উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন৷ সকল ক্ষেত্রে নারীদের ওপর বলপ্রয়োগের অবসান ঘটুক৷ ন্যায়বিচার, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সার্বভৌমত্ব ও সমতার ভিত্তিতে একটি শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে৷ এটাই ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার হবে বলে আমি মনে করি৷ একথা জানিয়েছেন শ্রোতাবন্ধু আতীয়া সুলতানা রিমা, রয়না ভরট, লক্ষিকুল বাজার, বড়াইগ্রাম, নাটোর থেকে৷

ডয়চে ভেলেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ খব সংক্ষিপ্ত হলেও ২০১২ সালের সালতামামির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন ঘটনাবলী আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য৷ প্রফেসর সাইফুল ইসলাম থান্দার, পুরান তাহিরপুর, রাজশাহী৷

তথাকথিত ‘ফিসক্যাল ক্লিফ' এড়ানো বিল পাস ও অনুমোদন নিয়ে প্রতিবেদনটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল৷ এই বিলটি সমগ্র বিশ্বের জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে বলে মনে করছি৷

হিলারি ক্লিন্টনের অসু্স্থতা বিষয়ে প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল৷ তাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ভাবতে ভালোই লাগে৷ আমি তাঁর আশু আরোগ্য কামনা করছি৷

সপ্তাহে একদিন ‘ইনবক্স' প্রচারের সিদ্ধান্ত আমার বিবেচনায় সঠিক হয়নি৷

সারা বছরের সালতামামির রিপোর্টে নেগেটিভ বিষয় তুলে ধরা হলো, কিন্তু পজেটিভ বিষয়গুলোও তুলে ধরা উচিত ছিল বলে মনে করি৷

জার্মানির চ্যান্সেলর যে বেতন পান, তা কি যথেষ্ট? – নিয়ে পরিবেশনাটি শুনে অবাক হলাম৷ আমার ধারণা তুলানামূলক ভাবে এই বেতন কম৷ তবে ধনী দেশ হিসাবে পৃথিবীর সব প্রান্তে তাঁরা বিশেষ মর্যাদা পান৷ এটাই বা কম কিসের!! ফয়সাল আহমেদ, সুলতান শাহী, গোপালগঞ্জ৷

‘বিজ্ঞান প্রযুক্তি' বিভাগের পাতায় দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্জ্য থেকে জ্বালানি উত্পন্ন সম্পর্কিত প্রতিবেদনটি থেকে নতুন তথ্য জানতে পেরে ভালো লাগলো৷ এই প্রতিবেদন পড়ে নেবার সাথে সাথে ‘বর্জ্যের পুনর্ব্যবহারে এগিয়ে আছে জার্মানি' শীর্ষক একটি পুরনো প্রতিবেদনও পড়ে নিলাম, যেটা আগে পড়া হয়ে ওঠেনি৷ দুটি প্রতিবেদনই ছিল বেশ তথ্যবহুল৷

‘সংস্কৃতি বিনোদন'-এর পাতায় ‘পুরনো বছরকে বিদায়, নতুন বছর স্বাগতম' শীর্ষক প্রতিবেদনটি ভালো লাগলো৷ ‘সমাজ জীবন'-এর পাতায় ‘ভারতে নারীর ক্ষমতায়ন ও ধর্ষণের রাজনীতি' শীর্ষক প্রতিবেদনে ভারতে নারী নির্যাতনের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার প্রচেষ্টাকে প্রশংসা করতেই হচ্ছে৷ যদিও একজন ভারতবাসী হিসাবে আজ আমি চরম লজ্জিত৷ দুঃস্বপ্নের সেই ঘটনা থেকে সমগ্র ভারতবাসীর মধ্যে যে প্রতিবাদের ভাষা তৈরি হয়েছে, যে সাহস তৈরি হয়েছে – তা আগামী দিনের লড়াইকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যাবে৷ নতুন বছরে হোক আজ সমস্ত ভারতবাসীর এই অঙ্গীকার৷ সুভাষ চক্রবর্তী, নতুন দিল্লি৷

- মতামতের জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন