1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় বাঁচার লড়াই

২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

সিরিয়ায় গত ২২ মাসে মারা গেছে কমপক্ষে ৬০ হাজার মানুষ৷ জাতিসংঘ এবার জানালো, সে দেশের একটি শহরেই আছে এমন ৪ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ, যাঁদের সুস্থ জীবনের জন্য মানবিক সহায়তা জরুরি ভিত্তিতে দরকার৷

https://p.dw.com/p/17Wll
A mother holds her wounded daughter as she waits for treatment at the Dar al-Shifa hospital in the northern city of Aleppo, on October 1, 2012, as fighting in Syria's second largest city between rebel forces and government troops continues. According to the photographer, there were less than five doctors on call treating over 20 seriously injured adults and children in less than a 20-minute time period on this day. AFP PHOTO/ZAC BAILLIE (Photo credit should read ZAC BAILLIE/AFP/Getty Images)
ছবি: Z.Baillie/AFP/Getty Images

সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের যু্দ্ধ চলছে প্রায় দু'বছর ধরে৷ ২০১১ সালের মার্চ মাস থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধে জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী এ পর্যন্ত মারা গেছে কমপক্ষে ৬০ হাজার মানুষ৷ দিন যত যাচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়ছে, কিন্তু সংকট নিরসনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷

সংকট নিরসনের নতুন একটা চেষ্টা শুরুর খবর শুক্রবার খুব গুরুত্ব পায় সব বার্তা সংস্থার প্রতিবেদনে৷ প্রথমে জানানো হয়, সিরিয়ার বিরোধী দলগুলোর জোট এসএনএস-এর প্রেসিডেন্ট মোয়াজ আল খাতিবের সঙ্গে শনিবার আলোচনায় বসবেন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং জাতিসংঘের তিন প্রতিনিধি৷ সিরিয়ার বিরোধী দলের এক সূত্রের বরাত দিয়ে সেখানে বলা হয়, বৈঠকটি হবে জার্মানির মিউনিখ শহরে৷ কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রয়টার্সই আবার জানায় যে, রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী গেনাদি গালিতভ তাঁর টুইটার বার্তায় লিখেছেন, খবরটি ভুল, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনায় সেরকম কোনো বৈঠকের কথা এখনো লেখা হয়নি৷

A Syrian injured woman Hassna, 37, who lost her two legs from the Syrian forces mortar shell which also killed her two children and her husband when they were fleeing their house on a motorcycle at village near Qussair town in Homs province on March, is being treated by a Lebanese nurse at a hospital, in the northern port city of Tripoli, Lebanon, Wednesday, May 30, 2012. Since the uprising against President Bashar Assad's regime began in March 2011, thousands of Syrian refugees who fled the violence in their country now live in Lebanon, and many wounded Syrians are smuggled across the border for treatment in Lebanese hospitals, mostly in the northern city of Tripoli which is largely sympathetic to the Syrian uprising. But Lebanon is sharply divided by the Syrian conflict, and even in hospitals, Syrian opposition activists are fearful of retaliation. (Foto:Hussein Malla/AP/dapd)
আহত এক শিশুর চিকিৎসা চলছেছবি: dapd

বার্তা সংস্থাগুলোয় পরে অবশ্য সিরিয়া বিষয়ে অন্য একটি খবর অনেক বেশি বড় হয়ে ওঠে৷ খবরটিতে খুব স্পষ্ট ফুটে উঠেছে চলমান যু্দ্ধে কেমন আছে সিরিয়ার মানুষ৷ ইউনিসেফ-এর মুখপাত্র মারিক্সি মারকাদো শুধু হোমস শহরের পরিস্তিতি বর্ণনা করতে গিয়েই এএফপিকে বলেছেন, ‘‘ওই শহরের মানুষদের জীবন বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে বিশেষ সহায়তা প্রয়োজন৷ দরজা-জানলা ভেঙে গেছে এমন ঘরেও বাস করছেন অনেকে৷ খুব শীত পড়েছে সেখানে৷ এ অবস্থায় কোথাও কোথাও একটি ঘরে বাস করছে ২০ থেকে ২৫টি পরিবার৷ সবচেয়ে নিষ্ঠুর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে শিশুরা৷''

ইউনিসেফ ও জাতিসংঘের সদস্যদের নিয়ে গড়া এক দলের হয়ে গত এক বছর সিরিয়ায় কাজ করে এসেছেন মারকাদো৷ সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি জানান, হোমস শহরের অন্তত ৪ লক্ষ ২০ হাজার মানুষের এক্ষুনি জরুরি সহায়তা দরকার৷ তাঁর মতে, হোমসের ৬ লাখ ৩৫ হাজার মানুষের মধ্যে প্রতি তিন জনে একজন অন্তত গৃহহারা৷ তাঁদের তিন ভাগের দুই ভাগের বয়সই নাকি ১৮ বছরের কম৷

New Syrian refugee children look out from behind a fence as they arrive at a stopover facility for breaking fast near the Turkish border town of Reyhanli in Hatay province August 9, 2012. More than 2,000 people fled violence in Syria to reach neighbouring Turkey in the past two days, bringing the total number of Syrians who have sought refuge there to more than 50,000, Turkish authorities said on Thursday. REUTERS/Umit Bektas (TURKEY - Tags: POLITICS CIVIL UNREST SOCIETY)
সিরিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এক অসহায় শিশুছবি: Reuters

সিরিয়ার শিশুদের করুণ অবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছে মারকাদোর কথায়৷ তিনি জানান, সে দেশের শিশুদের লেখাপড়ারও খুব ক্ষতি হচ্ছে৷ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে শিশু শিক্ষা নিয়ে বেশি মাথা ঘামানোকে কারো কারো কাছে কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হতে পারে৷ ব্যাপারটি যে মোটেই অস্বাভাবিক নয়, তা বোঝাতে গিয়ে ইউনিসেফ-এর মুখপাত্র জানান, সিরিয়ার কিছু শিশু লেখাপড়ার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী৷ যু্দ্ধে দেশের চার ভাগের এক ভাগ স্কুলই ধংস হয়ে গেছে৷ হোমসের শিশুদের জন্যও তাই গড়তে হয়েছে কিছু অস্থায়ী স্কুল৷ কোনো কোনো স্কুলে শিশুরা আসে খুব কষ্ট করে, বোমায় বিধ্বস্ত ধংসস্তূপের ভেতর থেকেই রাস্তা বের করে, হেঁটে হেঁটে৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য