1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মৃত্যুপুরী সিরিয়া

৩ জানুয়ারি ২০১৩

সিরিয়া এখন আক্ষরিক অর্থেই যেন মৃত্যুপুরী৷ বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের যুদ্ধে এ পর্যন্ত মারা গেছে কমপক্ষে ৬০ হাজার মানুষ৷ আর এ সংখ্যাটা ভবিষ্যতে যে আতঙ্ক আরো বাড়াবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷

https://p.dw.com/p/17Cp3
ছবি: Reuters

২১ মাস ধরে যুদ্ধ চলছে সিরিয়ায়৷ যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ক'দিন আগেও বলা হচ্ছিল ৪৬ হাজারের মতো৷ বাশার আল-আসাদের সরকার যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই যুদ্ধক্ষেত্রে বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে৷ তাই যত খবর, যত তথ্য তার প্রায় সবই আসে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের কাছ থেকে৷ ব্রিটেন ভিত্তিক এই সংস্থাটি জানিয়েছিল যে, ২০১১ সালের মার্চ থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৪৬ হাজারের মতো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷ কিন্তু জাতিসংঘের আশঙ্কা সংখ্যাটা তার চেয়ে অনেক বেশি৷ তাদের মতে কমপক্ষে ৬০ হাজার মানুষের জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন এবং পরিবর্তন আনতে তৎপর দুই পক্ষের সশস্ত্র সংঘাত৷

Krieg in Syrien
বিরোধীদের দমন তৎপর সিরীয় সেনাবাহিনীছবি: picture-alliance/dpa

যুদ্ধ যে রকম ভয়াবহ রূপ নিয়েছে তাতে ৬০ হাজার অবিশ্বাস্য কোনো সংখ্যা নয়৷ প্রতিদিনই প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে সিরিয়ায়৷ বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থাগুলো সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে সে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে রক্তক্ষয়ী যু্দ্ধের খবর দিয়েছে৷ আলেপ্পো বিমানবন্দর দখলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা৷ বুধবার বিমানবন্দরের সামনে একটা গাড়িবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়৷ পরের দিন শুরু হয় বিমানবন্দর দখলের অভিযান৷ তীব্র আক্রমণে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী শুরুতে একটু নাজুক অবস্থায় পড়লেও পরে তারাও পাল্টা আক্রমণ শুরু করে৷ বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে৷ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলে বিমান চলাচল আবার শুরু হবে৷

এদিকে, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও বিদেশি সাংবাদিকরা ঝুঁকি নিয়েও কাজ করার চেষ্টা করছেন৷ বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, তাদের এক সংবাদকর্মী যিনি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ভিডিও চিত্র পাঠাতেন, তিনি এখন নিখোঁজ৷ যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসী এ সাংবাদিকের পরিবার জানিয়েছে মাস খানেক আগে অজ্ঞাত পরিচয় অস্ত্রধারীরা তাঁকে ধরে নিয়ে যায়৷ তারপর থেকে জেমস ফলি নামের ওই সাংবাদিক একেবারে লাপাত্তা৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য