পাঠক আল-মামুন শতকরা ১০০ ভাগই নিশ্চিত যে, বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে সরকার অপহরণ করেছে৷ রাযেন্দ্র রায়, আজাদ খান এবং রাসেল মাহমুদও তাঁর সঙ্গে একমত৷
বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে অপহরণ মাহমুদুর রহমান মান্নার মতো একই অবস্থা বলে মনে করেন ‘হৃদয়ের কাঁটা' নামধারী এক পাঠক৷
অগ্নিবীনা হাসানের মন্তব্য, ‘‘এই কাজ আওয়ামী সরকারের আর এর জবাবদিহিতাও তাদেরকেই করতে হবে৷'' তৌহিদ বাবু এবং মো. আলমগীরও পুরোপুরি নিশ্চিত যে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে অপহরণ করা হয়েছে৷
জাকির হোসেন মন্ডলের কথায়, ‘‘মাহমুদুর রহমান মান্না ভাইয়ের ক্ষেত্রে সরকার একই কথা বলেছিল৷''
তবে আজিজুল হাকিম মনে করেন না যে, এতে সরকারের হাত রয়েছে৷ আর পাঠক রানা সরকার মনে করেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ কোথায় পালিয়েছেন – তা সরকারকেই বের করতে হবে৷ কারণ সরকার দেশ ও জাতির জন্য কাজ করছে৷
সুমন চৌধুরীর মনে করেন, এটা বিএনপির ‘কু-চাল'৷ তার মতে ‘‘সালাহ উদ্দিন আহমেদ তো নিজে থেকেই অপহৃত ছিলেন....অন্য সব কূট-কৌশলের মতো এটাও বিএনপির একটা কু-চাল...৷''
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন
পুরনো ঢাকার বাবু বাজারে কাগজ বোঝাই একটি ট্রাকে জ্বলছে দুষ্কৃতিকারীদের দেয়া পেট্রোল বোমার আগুন৷ গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে চলছে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ৷ ডাকা হচ্ছে হরতালও৷ অবরোধ-হরতালে সবচেয়ে আলোচিত পেট্রোল বোমা৷ শুধু পেট্রোল বোমার আগুনেই পুড়ে মরেছে কমপক্ষে ৬৫ জন সাধারণ মানুষ৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
পুলিশ প্রহরায় চলছে পরীক্ষা
ঢাকার মতিঝিল আইডিয়িাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে পুলিশ প্রহরা৷ চলমান এ অবরোধ-হরতালে যাঁরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, তার মধ্যে শিক্ষার্থীরা অন্যতম৷ বর্তমানে সারা দেশে চলা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন তাই অনেকটাই অনিশ্চয়তার মুখে৷ টানা অবরোধের মধ্যে ছুটির দিনগুলোতে চলছে পরীক্ষা৷ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরাও৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
দূরপাল্লার বাস নেই বললেই চলে
বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলির ডাকা অবরোধে বাংলাদেশের প্রধান সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিত্ত৷ দুপুর বেলায় তোলা এ ছবিতে মহাসড়কটি প্রায় যানবাহন শূন্য৷ কিন্তু সাধারণ সময়ে এ সড়কটি থাকে যানবাহনে ভরা৷ বাংলাদেশে চলমান অবরোধে দূর পাল্লার গাড়ি চলাচল কমে গেছে বহুলাংশে৷ একের পর এক পেট্রোল বোমার ঘটনায় ঝুঁকি নিয়ে বাস চালাচ্ছেন না অনেক মালিকই৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
বিজিবি-র টহল পর্যাপ্ত নয়
অবরোধের মধ্যে বাংলাদেশের মহাসড়কগুলোয়, মানে ঢাকার বাইরে বিজিবি-র টহল থাকলেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য৷ এছাড়া সম্প্রতি রাত ন’টার পরে বাস চলাচলে সকলকে নিরুৎসাহ করার কারণে বাস মালিকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
ঢাকায় অস্বাভাবিক নয় যানজট
বাংলাদেশে চলমান এই অবরোধে ঢাকার ভেতরের সড়কের দৃশ্য অবশ্য আলাদা৷ যান চলাচল অন্যান্য সময়ের চেয়ে তুলনামূলক কম হলেও, অনেক জায়গাতেই যানজট দেখা যাচ্ছে৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসযাত্রীরা
ঢাকার ফার্মগেটে অফিস শেষে গাড়ির অপেক্ষায় বাড়িমুখী মানুষের ভিড়৷ টানা অবরোধে গণ পরিবহন ব্যবস্থা বেহাল হলেও, অর্থাৎ গাড়িঘোড়ার চলাচল কম থাকাতে দুর্ভোগ বেড়েছে অফিসমুখী ও অফিস ফেরত মানুষের৷ অফিসে যেতে বা অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে সাধারণ মানুষ তাই পড়ছেন দুর্ভোগে৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
অবরোধে নদীপথের ভিন্ন চিত্র
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নদীবন্দর ঢাকার সদরঘাটের চিত্র এটি৷ গত একমাসেরও বেশি সময়ের এই অবরোধে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উল্লেখযোগ্য বড় কোনো সহিংসতা ঘটেনি নদীপথে৷ তাই নদীপথে যান চলাচল প্রায় স্বাভাবিকই আছে৷ ঢাকা থেকে প্রধানত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোয় নৌ-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
যাচ্ছে না দূরপাল্লার বাসগুলো
বিএনপি ও সমমনা দলের জোটসমূহের ডাকা হরতাল-অবরোধে ঢাকার অন্যতম প্রধান বাস স্টেশন গাবতলীর দৃশ্য এটি৷ বেশিরভাগ দূর পাল্লার রুটের বাসই এ স্টেশনে পার্ক করে রাখা৷ হরতাল-অবরোধে দূর পাল্লার বাস চলাচল অনেকাংশেই বন্ধ আছে বাংলাদেশে৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
খদ্দেরহীন এক রেস্তোরাঁ
ঢাকার গাবতলী বাস স্টেশনের খদ্দেরশূন্য মোহাম্মাদীয়া রেস্তোরাঁ৷ অবরোধের কারণে এ রেস্তোরাঁর লোকবল ১৬ জন থেকে ৮ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে৷ বাকি যে আটজন আছেন তাঁদেরও নিয়মিত বেতন পরিশোধ করতে পারছেন না মালিক৷ গাবতলী স্টেশন থেকে দূর পাল্লার বাস চলাচল কম থাকায় এ রেস্তোরাঁটি দিনের বেশিরভাগ সময় খালি থাকছে৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
বাড়ি ফেরা নিয়ে উদ্বিগ্ন মানুষ
অবরোধ আর হরতালকারীদের প্রধান লক্ষ্য সড়কে চলাচলকারী বাস আর ট্রাক৷ বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যতগুলো হামলার ঘটনা ঘটেছে তার বেশিরভাগেই যাত্রীবাহী বাস কিংবা ট্রাকে৷ এতে কমপক্ষে ৬০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটলেও, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে পোড়ায় ক্ষত শরীর নিয়ে কাতরাচ্ছেন আরো শতাধিক সাধারণ মানুষ৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
কমলাপুর রেল স্টেশনে অপেক্ষায় যাত্রীরা
অবরোধে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচল করলেও, সময়সূচি ঠিক রাখতে পারছে না রেল কর্তৃপক্ষ৷ বিভিন্ন সময়ে অবরোধকারীদের রেল লাইনের ‘ফিশপ্লেট’ খুলে ফেলার কারণে কয়েকটি ট্রেনের লাইনচ্যুতির ঘটনায় ট্রেনের গতি কমিয়ে চালাতে হচ্ছে৷ তাই বেশিরভাগ ট্রেনই স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কমপক্ষে তিন-চার ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে যাচ্ছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
খেটে খাওয়া মানুষের দুর্দশা
টানা অবরোধ-হরতালে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন ফুটপাথের ভ্রাম্যমাণ দোকানদাররা৷ স্বল্প পুঁজির এ সব ব্যবসায়ীদের বিক্রি কমে যাওয়ায় পথে বসার উপক্রম হয়েছে অনেকেরই৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
পুঁজি ভেঙে চলছে যাঁর সংসার
ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকার ফুটপাথে কম্বলের ব্যবসা করেন গাজীরুল ইসলাম৷ দুপুরবেলা পর্যন্ত এ দিন তাঁর বিক্রি হয়েছে মাত্র ১৭’শ টাকার একটি কম্বল৷ তাও তার কেনা দামের থেকে ৩০০ টাকা কম৷ লাভ তো দূরের কথা সংসার চালাতে এখন পুঁজি টুকুনিই ভরসা৷
-
অবরোধ-হরতালে বিপর্যস্ত জনজীবন
অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রই যখন ভরসা
ঢাকার নবাবপুর থেকে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র নিয়ে ফিরছেন এক গাড়ি চালক ও তাঁর সহকারী৷ টানা অবরোধ-হরতালে পেট্রোল বোমার ঘটনা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতা হিসেবে নিজেদের গাড়িতে এখন থেকে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখবেন তাঁরা৷
লেখক: মুস্তাফিজ মামুন/ডিজি
শামীম হোসেন কোনো রাখঢাক না করে সরকারের ওপর তাঁর রাগ প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘‘সরকার সালাহ উদ্দিনকে অপহরণ না করলে তাঁকে কি ভূতে নিয়ে গেল? এ সরকার সবাইকে এবং দেশকে অপহরণ করে ভারতে দিয়ে আসবে৷''
ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু মাহফুজ আদনান দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে এমনিতেই আতঙ্কিত৷ এখন আবার তার সাথে নতুন আতঙ্ক যোগ হলো৷ এ বিষয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিরোধীদলের ককটেল আর পেট্রোল আতঙ্কের সাথে নতুন করে যুক্ত হলো সরকার দলের গুম আতঙ্ক, অপহরণ আতঙ্ক৷''
পাঠক রাজু আহমেদ, শহরিয়ার বাবুলও ১০০ ভাগ নিশ্চিত যে সরকারই সালাহ উদ্দিন আহমেদকে অপহরণ করেছে৷ রাজু আহমেদের পরের মন্তব্য, ‘‘বর্তমান সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সবই পারে....প্রয়োজনে হাজারো মায়ের কোল খালিও যদি করতে হয়, তাও ওনাদের দিয়ে সম্ভব৷''
অন্যদিকে মো. আরিফুজ্জামান ড্যানির ধারণা, সালাহ উদ্দিন আহমেদ নাকি নিজেই পালিয়েছেন৷
মো. উজ্জ্বল হোসেন সরাসরি কোনো মতামত না জানিয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে লিখেছেন, ‘‘আল্লাহ পাক ভালো জানেন, তবে সত্যটা একদিন প্রকাশ হবেই, সত্য কেউ লুকিয়ে রাখতে পারবে না৷''
আলমগীর মাহমুদের মন্তব্য, ‘‘অবশ্যই হাসিনা দায়ী৷'' নাজমুল হোসেন বলছেন, ‘‘হাসিনা নাকি গুম ও খুনের রানি৷''
সিদ্দিক আবু বকরের মন্তব্য, ‘‘সালাউদ্দিন আহমেদের অপহরণ সরকারের কাজ৷'' এস রহমান বলছেন, ‘‘মান্নার আটকও অস্বীকার করেছিল সরকার৷''
-
অস্থির বাংলাদেশ
অবরুদ্ধ খালেদা
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে তাঁর গুলশান কার্যালয়ে আটকে রেখেছে পুলিশ৷ যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে, তবে সোমবার তিনি বাইরে যেতে চাইলে পুলিশ তাঁর গেটে তালা লাগিয়ে দেয়৷ ফলে অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন গেটের মধ্যেই৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
অবরোধ ঘোষণা
অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন৷ গুলশানের কার্যালয়ে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আজ আমাদের কালো পতাকা কর্মসূচি ছিল৷ সমাবেশ করতে দেওয়া হয় নাই৷ পরবর্তী কর্মসূচি না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে৷’’
-
অস্থির বাংলাদেশ
খালেদার কার্যালয় ঘিরে পুলিশ
প্রসঙ্গত, গত দু’দিন ধরে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ৷ ছবিতে পুলিশে একটি গাড়ি রাস্তায় আড়াআড়িভাবে রেখে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ এভাবে আরো কয়েকটি বালু এবং ইটভর্তি ট্রাকও রাখা হয়েছে৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
গাড়িতে আগুন
রবিবার থেকেই ঢাকায় সভা, সমাবেশ, শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছিল৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সমাবেশ করার সিদ্ধান্তে অটল থাকে বিএনপিসহ বিশ দল৷ ঢাকায় একটি সিএনজি এবং মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ছবি এটি৷ বিএনপি সমর্থকরা এটা করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
পার্ক করা গাড়িতে আগুন
পার্ক করে রাখা একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দিচ্ছে বিএনপির সমর্থকরা৷ ছবিটি ঢাকা থেকে তোলা৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
রাজপথে সরব আওয়ামী লীগ
পুলিশ সভা, সমাবেশ নিষিদ্ধ করলেও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হন৷ বিষয়টি সমালোচনা করে ফেসবুকে সাংবাদিক প্রভাষ আমিন লিখেছেন, ‘‘...নিষেধাজ্ঞা কি শুধু বিএনপির জন্য? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তো দেখি শহরজুড়ে মিছিল করছে, উল্লাস করছে, গান শুনছে, গান গাইছে৷’’ ছবিতে ঢাকায় বিএনপির এক সমর্থককে পেটাচ্ছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
‘শান্তির পথে আসুন’
এদিকে সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে বিএনপি নেত্রীকে শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তবে মধ্যবর্তী নির্বাচনের যে দাবিতে বিএনপিসহ বিশদল আন্দোলন করেছে, সেই দাবির প্রতি কোন নমনীয়তা দেখাননি তিনি৷ হাসিনা মনে করেন, সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়াটা বিএনপির রাজনৈতিক ভুল ছিল৷
-
অস্থির বাংলাদেশ
‘একতরফা’ নির্বাচন
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল অংশ নেয়নি৷ সেই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে কোন ভোটাভুটি হয়নি৷ বাকি আসনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল বেশ কম৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেটিকে ‘একতরফা’ নির্বাচন আখ্যা দিয়েছে৷
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম
আলমগীর আলমের মন্তব্য, ‘‘বোমায় যত লোক মরেছে সরকার তার চেয়ে বেশি লোক গুম করেছে৷''
নাজমুল হাসান সালাহ উদ্দিনের অপহরণকে বলছেন ‘মিথ্যাচার'৷ কারণ তাঁর মতে, ‘‘উনি তো আগে থেকেই লুকানো ছিলেন৷''
তবে রুবেন খানের মতে, ‘‘খুনি হাসিনার খুনি বাহিনী অপহরণ করেছে তাঁকে৷''
জুবায়ের হোসেনের ধারণা, ‘‘আবদুস সালাম আর মান্নাকে যে টিম অপহরণ করেছিল, তাদের দিয়েই সালাহ উদ্দিনকে গুম করানো হয়েছে৷''
মো. জামাল হোসেনও সরকারকেই দায়ী করছেন এই অপহরণের জন্য৷ শেষে নিজেদের জাতি সম্পর্কে জামাল হোসেনের মন্তব্য, ‘‘আমি মনে করছি যে আমরা এখন শ্রেষ্ঠ অসভ্য জাতি!''
মোস্তাফিজুর রহমানও জামাল হোসেনের সাথে একমত যে সরকারই দায়ী৷ তবে তিনি আরো একটু যোগ করেছেন এর সঙ্গে৷ লিখেছেন, ‘‘এখন মানুষ আর বোকা না, সরকারের চালবাজি সবাই জেনে গেছে৷''
পাঠক হাবীব সুমন একটু রসিয়ে লিখেছেন, ‘‘সালাহ উদ্দিন আহমেদের অপহরণের প্রশ্নটা করে সরকারকে লজ্জা দেবেন না, কারণ তারা এত কষ্ট করে অপহরণ করছে, আপনারা আবার বিশ্বাসও করেন না৷''
‘‘এই সত্যটা শিশুরা পর্যন্ত জানে'' – এমনই মন্তব্য পাঠক মোজাম্মেল হোসেনের৷
শাকিলের কথা, ‘‘যে ক্লিকবাজ সরকার, এ সব ছাড়া মাথায় কিচ্ছু আসে না৷''
ডিডাব্লিউ-র ফেসবুক পাঠক নোভেল ভালো করেই জানেন যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাধারণ জনগণের মতামতের কোনো মূল্য নেই৷ আর সেকথাটিই তিনি পরিষ্কার করে জানিয়েছেন ফেসবুকে৷ ‘‘আমি মনে করলেই কি, আর না করলেই কি?''
হুমায়ূন কবির দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আর সহ্য করতে পারছেন না৷ তাঁর অনুরোধ, ‘‘সরকারকে বলেন এই সব নাটক বন্ধ করতে৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ