চুয়াডাংগার থানা পাড়ার এই বন্ধু লিখেছেন, ‘‘ঈদ সম্পূর্ণই ধর্মীয় ও পবিত্র এক উত্সব৷ এটি সার্বজনীন আনন্দ উত্সব৷ আত্মশুদ্ধি, সংযম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, উদারতা, মহানুভবতা ও মানবতার গুণাবলী নিয়ে সমাগত হয় ঈদুল ফিতর৷ এদিন যে আনন্দধারা প্রবাহিত হয় তা অফুরন্ত পূণ্য দ্বারা পরিপূর্ণ৷ ছোট, বড়, ধনী গরীব ঈদের নামাজ শেষে যখন একে অপরের সাথে কোলাকুলিতে মগ্ন হন৷ সত্যিই সে দৃশ্য মুসলিম ভাতৃত্বের সম্পর্ককে অনেক বড় করে উপস্থাপন করে! পবিত্র ঈদুল ফিতর আসন্ন৷ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের বন্ধুদেরকে জানাই অফুরন্ত ঈদ শুভেচ্ছা৷ ঈদ মোবারক!''
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
ঈদ মুবারক
প্রায় এক মাস রোজা পালনের পর আসে ঈদ-উল-ফিতর৷ মুসলমানদের দুটি বাৎসরিক ঈদ উৎসবের একটি এটি৷ এই দিনটি তাই ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই ভালোভাবে উদযাপনের চেষ্টা করেন৷ ঢাকায় শুক্রবার ঈদের জামাতে অংশ নেয়া এক নারীর ছবি এটি৷
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
জাতীয় মসজিদে ঈদের জামাত
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার জাতীয় মসজিদে একাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়৷ ৯ই আগস্ট ঈদের দিন তোলা এই ছবিটি জাতীয় মসজিদের৷ মুসল্লিদের সুবিধার্থে অধিকাংশ ক্ষেত্রে একাধিক ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়৷
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
চাঁদ দেখে দিন নির্ধারণ
সাধারণত আরব এবং পশ্চিমা দেশগুলোতে ঈদ উদযাপনের একদিন পর বাংলাদেশ, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ঈদ পালন করা হয়৷ এই ধর্মীয় উৎসবের দিন নির্ধারণ করা হয় চাঁদ দেখার ভিত্তিতে৷ ছবিতে ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লির ঐতিহাসিক জামা মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ছেন মুসলমানরা৷
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
গান দেয় পূর্ণতা
পৃথিবীর বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল, বিশেষ করে বাংলাদেশে ঈদের একটি গান অত্যন্ত জনপ্রিয়৷ ঈদের আগের রাত থেকে টেলিভিশন, রেডিও থেকে শুরু করে রাস্তার পাশের দোকান, মার্কেট সর্বত্র বাজতে শুরু করে, ‘‘...রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ৷’’ এই একটি গানই ঈদ-উল-ফিতরের জানান দিতে যথেষ্ট৷ ছবিতে কলকাতার ঈদ জামাতে অংশ নেওয়া মুসলিম নারীদের দেখা যাচ্ছে৷
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
কবি নজরুলের কালজয়ী গান
উইকিপিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ‘‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় ও আনন্দের উৎসব ঈদ-উল-ফিতর নিয়ে বাঙালি কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কালজয়ী গান৷ বাঙালি মুসলমানের ঈদ উৎসবের আবশ্যকীয় অংশ৷ কবির শিষ্য শিল্পী আব্বাস উদ্দিন আহমদ-এর অনুরোধে ১৯৩১ সালে কবি নজরুল এই গান রচনা ও সুরারোপ করেন৷’’
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
সবার বাড়িতেই দাওয়াত
ঈদের দিন প্রতিবেশীর বাড়িতে বেড়াতে যেতে প্রয়োজন হয় না কোন দাওয়াতের৷ আধুনিক শহুরে জীবনে প্রতিবেশীদের মধ্যে তেমন সখ্যতা না থাকলেও ছোট শহর, মফস্বল আর গ্রামে ঈদের জামাতের পরই প্রতিবেশীদের বাড়িতে বেড়াতে যান ছেলে, বুড়ো সবাই৷ কারো বাড়িতে ঈদের পায়েস, কারো বাড়িতে মাংস-পরোটা কিংবা পোলাও – ঈদের দুপুরটা এভাবেই কেটে যায়৷ ছবিতে কলকাতায় ঈদের জামাত শেষে মিষ্টি কিনছেন মুসল্লিরা৷
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
দিনের বেলা বিক্রি নয়
ঈদ-উল-ফিতর এর আগের একমাস বাংলাদেশে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে খাবার বিক্রি একরকম বন্ধই থাকে৷ রাস্তার পাশের খাবার হোটেলগুলো ঢেকে দেওয়া হয় কালো পর্দায়৷ তবে সূর্যাস্তের খানিক আগে থেকে শুরু হয় খাবার বিক্রি৷ ঢাকায় তোলা এই ছবির মতোই ইফতারির পসরা সাজিয়ে রাস্তার পাশে বসেন অসংখ্য দোকানি৷ বিক্রিও হয় প্রচুর৷ ঈদের দিন থেকে পরের এগারো মাস আর এই বাণিজ্য দেখা যায়না৷
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
লম্বা প্রস্তুতি
রমজানের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে মূলত ঈদের প্রস্তুতি শুরু হয়৷ নতুন পোশাক কেনার জন্য মার্কেটে ভিড় করেন মুসলমানরা৷ এ সময় দোকানগুলোতে দেখা দেয় উপচে পড়া ভিড়৷ আফগানিস্তানসহ অনেক দেশে দোকানিরা ঈদ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন বিশেষ অফার দিয়ে থাকেন৷ মিষ্টি এবং শুকনো ফল ঈদ উপহার হিসেবে আফগানিস্তানে বেশ জনপ্রিয়৷
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
যানবাহনে ভিড়
রমজানের শেষ সপ্তাহে যানবাহনেও সৃষ্টি হয় ব্যাপক ভিড়৷ এ সময় পরিবার, পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে শিকড়ের টানে ঢাকা ছাড়েন অনেক মানুষ৷ ঈদের ছুটিও বেশ লম্বা হয়৷ (ফাইল ফটো)
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
পরিবারের সঙ্গে প্রার্থনা
জার্মানিতে ঈদের সকালে সাধারণত পুরো পরিবারই মসজিদে চলে যান৷ অধিকাংশ মসজিদে নারীর নামাজ আদায়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে৷ আর নামাজের পর সবাই মিলে মসজিদেই ঈদের খাবার খান৷ এরপর বাংলাদেশসহ অন্য অনেক দেশের মতো জার্মানিতেও কবরে পরিদর্শনে যান অনেক মুসলমান৷ ঈদের দিন পরিবারের মৃত সদস্যের কবর জিয়ারত করেন তারা৷
-
‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’
উৎসব একই, নাম অনেক
জার্মানিতে ঈদ মূলত ‘বায়রাম’ অথবা ‘সুকারফেস্ট’ নামে পরিচিত৷ বায়রাম শব্দটি এসেছে তুরস্ক থেকে, এর অর্থ ছুটি৷ আর সুকারফেস্ট-এর বাংলা অর্থ হচ্ছে মিষ্টি উৎসব৷ তবে মুসলমানদের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবটি বাংলাদেশ, ভারতসহ আন্তর্জাতিকভাবে ঈদ-উল-ফিতর হিসেবেই পরিচিত৷
লেখক: আরাফাতুল ইসলাম / রেচেল বেগ
পরের ইমেলটি করেছেন ঢাকা সেনানিবাস থেকে মো. সোহেল রানা হৃদয়, রওশন আরা লাবনী, রওশন মুরাদ মুগ্ধ৷ এই তিনজনের পক্ষ থেকে হৃদয় লিখেছেন, ‘‘আমাদের মন ভাল নেই৷ কারণ এবারের ঈদে গ্রামে যেতে পারছি না৷ মা, ভাই, ভাবি, বোন-দুলাভাই, ভাগ্নে কাউকেই সাথে পাবো না৷ ভাবতেই মনটা কেঁদে উঠছে৷ ঈদের পরপরই ছেলে মুগ্ধর স্কুলে পরীক্ষা, নিজের অফিস আর স্ত্রী লাবনীর শারীরিক অসুস্থতা আমাদেরকে বাধ্য করছে ঢাকায় ঈদ করতে৷ আজ সকালে বোন কেয়াকে গাবতলী থেকে বাসে তুলে দিয়ে এলাম গ্রামের বাড়িতে (কুষ্টিয়া) যাবার জন্য৷ দুপুর দেড়টায় ও বাড়িতে পৌছে গেছে শুনে আমার খুব কষ্ট হলো এই ভেবে যে আমরা বাড়িতে গেলেও ঠিক এভাবেই এত তাড়াতাড়ি চলে যেতে পারতাম৷ যাই হোক বোনতো বাড়িতে যেতে পেরেছে, এতেই কিছুটা সান্ত্বনা দিচ্ছি মনকে৷ ইচ্ছে থাকলেও বের হওয়া হয় না৷ মনটা পড়ে থাকে সেই গ্রামে৷ বন্ধুরা, আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীরা সবাই আছে সেখানে৷ আর আমরা এত বড় শহরে মাত্র তিনজন মানুষ৷ নিজেকে খুব ছোট মনে হয়, বোকা মনে হয়৷ কিন্তু কি আর করা৷ সময় মানুষকে ভুলিয়ে দেয় অনেক কিছু৷ বাসায় সাধারণ আয়োজন থাকবে ইনশাল্লাহ! সাদা ভাত, গরুর মাংস, মুরগীর মাংস, সালাদ, পাতলা ডাল, আর যে-কোনো সবজি৷ তাছাড়াও ঈদের দিন বলে কথা৷ সেমাই আর পায়েস না থাকলে কি চলে! সাথে কিন্তু মিষ্টিও থাকছে৷''
তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘আপনাদেরকে লোক দেখানো দাওয়াত দিলাম৷ আসতে পারবেন না জেনেও খুশি হবো যদি তা গ্রহণ করেন৷ আমার সকল বেতার বন্ধুদেরকে দাওয়াত দিচ্ছি আপনাদের মাধ্যমে৷ আমার বাসায় এলে আর কিছু না হলেও কেরাম বোর্ড খেলা আর রেডিও নিয়ে নানা ফিরিস্তি তো থাকবেই – কথা দিলাম৷ ভাল থাকার প্রত্যয়ে সবাইকে জানাচ্ছি-ঈদ মোবারক৷ ''
ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অর্জনপাড়া, বাগমারা, রাজশাহী থেকে বন্ধু আবু সাঈদ৷
উত্তর দিয়েছেন মোট ৩১৫ জন বন্ধু
-ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ইমেল করেছেন আরো অনেক বন্ধু৷ সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ৷ দিনটি আপনাদের সবার সুন্দর কাটুক, আনন্দে কাটুক৷ বাংলা বিভাগের সবার পক্ষ থেকে প্রিয় পাঠক বন্ধুদের সকলকে জানাই ঈদ মোবারক!
এবার অন্বেষণ কুইজের ফলাফল
গত সপ্তাহান্ত অর্থাৎ ২৫-২৭ জুলাই আমাদের অন্বেষণ কুইজের প্রশ্ন ছিলো, কিভাবে বন্যা, খরা ও লবণ সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করা যায়? সঠিক উত্তরঃ জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে৷ উত্তর দিয়েছেন মোট ৩১৫ জন বন্ধু৷
প্রতিবারের মতো এবারও লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়েছে৷ এবারের বিজয়ী বন্ধু এমএ বারিক৷ https://www.facebook.com/barikpioneer?fref=ufi ঠিকানা – ভাটরা, শিবগঞ্জ, বগুড়া৷ বন্ধু বারিক, আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন! আপনার ঠিকানা যেহেতু আমাদের কাছে রয়েছে কাজেই কোনো অসুবিধা নেই৷ আপনার পুরস্কার সময়মতো আপনার হাতে পৌঁছে যাবে৷
এবার মতামত
ঊমি ষ্টোর, নিমতলা, গোয়ালন্দ মোড়, রাজবাড়ি সদর, রাজবাড়ি থেকে প্রীতম রুদ্র লিখেছেন, ‘‘প্রিয় ডয়েচে ভেলে, আমি আপনাদের নতুন দর্শক৷ শত ব্যস্ততার মধ্যেও লেখার সময় পেলাম৷ ইটিভি টেলিভিশনে প্রচারিত আপনাদের বাংলা সকল অনুষ্ঠানই ভাল লাগে৷ এসকল বাংলা অনুষ্ঠান টেলিভিশনে প্রচারের জন্য ধন্যবাদ৷''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: জাহিদুল হক