1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিন লাদেন

১ মে ২০১২

ঠিক এক বছর আগে, ২রা মে নিহত হয় ওসামা বিন লাদেন৷ আঘাত এসেছে ক্রমাগত, একের পর এক, যার ফলে টলে গেছে বিন লাদেনের সাম্রাজ্য৷ ভেঙে পড়ার, পরাজিত হবার সে দুঃখ তীব্র হয়ে ধরা দিয়েছিল ওসামার কাছেও৷

https://p.dw.com/p/14nUd
ছবি: Picture-Alliance/dpa

ঠিক এক বছর আগে, ২রা মে নিহত হয় ওসামা বিন লাদেন৷ আঘাত এসেছে ক্রমাগত, একের পর এক, যার ফলে টলে গেছে বিন লাদেনের সাম্রাজ্য৷ ভেঙে পড়ার, পরাজিত হবার সে দুঃখ তীব্র হয়ে ধরা দিয়েছিল ওসামার কাছেও৷

দুনিয়া কাঁপানো জঙ্গীদল আল-কায়েদাকে নিশ্চিহ্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অ্যামেরিকা৷ সে প্রতিজ্ঞা পূরণ করতেই চতুর্দিক থেকে আক্রমণ করা হয়েছে দলটিকে৷ আঘাতে আঘাতে দুর্বল হয়ে এসেছে ওসামার ভিত৷ তারপর নিহত হবার আগ পর্যন্ত আর কখনোই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে নি সে৷

নিজের দলের এই সংকটময় ও অসহায় অবস্থাকে ওসামা আখ্যা করেছিল ‘বিপদের পর বিপদ' নামে৷ শুধু তাই নয়, আক্রমণের হাত থেকে গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীদেরকে অন্য কোথাও পালিয়ে গিয়ে প্রাণ রক্ষার পরামর্শও দিয়েছিল সে৷

Aiman al-Sawahiri
লাদেনের জায়গা নিয়েছে এই আয়মান আল জাওয়াহিরিছবি: dapd

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রমের অন্যতম সহকারী জন ব্রেন্যান সোমবার এসব কথা বলেছেন৷ বিন লাদেনের ঘর থেকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথিপত্র পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি৷ বার্তা সংস্থা এএফপি মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশ করেছে৷

গত বছরের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে নিহত হয় বিন লাদেন৷ সেখানে বিন লাদেনের ঘর থেকেই পাওয়া গেছে অসংখ্য নথিপত্র৷ যেগুলোতে আছে বিভিন্ন বিষয়ের বিবিধ তথ্য৷ মার্কিন আক্রমণে আল-কায়েদা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় ওসামা যে শোক প্রকাশ করেছে, কর্মীদের পালিয়ে যেতে বলেছে – এসব কথাও জানা গেছে প্রাপ্ত সেই নথি থেকেই৷

পুরোনা এ নথি থেকেই জানা গেছে, টুইন টাওয়ারে হামলার পর অ্যামেরিকা যখন আল কায়েদার বিরুদ্ধে চালু করে তীব্র অভিযান, তখন টিকে থাকার প্রয়োজনে, জঙ্গি এই দলটির নাম পরিবর্তনের কথাও ভেবেছিল ওসামা৷

জন ব্রেনান জানিয়েছেন, সেই সব নথির ক'য়েকটি এই সপ্তাহেই অনলাইনে প্রকাশ করবে অ্যামেরিকার সামরিক একাডেমি৷

অ্যামেরিকা বলছে, আল-কায়েদা এখন বিপর্যস্ত এবং সাংগঠনিকভাবে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের দুর্গম এলাকাগুলোতেও অ্যামেরিকার কড়া নজরদারি থাকায় নিজেরা প্রশিক্ষণ নিতে পারছে না৷ এমনকি দলে নিয়োগ দিতে পারছে নতুন সদস্যও৷ ফলে, আবার শক্তিশালী হয়ে আরেকটি নতুন ৯/১১ তৈরি করার সাহস আল-কায়েদা পাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে৷

তবে, আল-কায়েদা দূর্বল হলেও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ দেশটি বলছে, আল-কায়েদার মতাদর্শে বিশ্বাসী অন্য উগ্রদলগুলোর সাথে মিলে হয়তো নতুন কিছু করার চেষ্টা করতে পারে এ গোষ্ঠী৷ এছাড়া সোমালিয়ার জঙ্গী গোষ্ঠী ‘আল শবাব' এবং ইয়েমেনের আল-কায়েদা-ও ভবিষ্যৎ দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে৷ তাই, নিজেদের সদা জাগ্রত রাখার প্রত্যয় জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷

প্রতিবেদন: এএফপি / আফরোজা সোমা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য