‘মৃত্যু অনিবার্য, কর্ম চিরস্থায়ী’ | পাঠক ভাবনা | DW | 31.05.2013
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

‘মৃত্যু অনিবার্য, কর্ম চিরস্থায়ী’

ডিডাব্লিউ বাংলা এবং অন্যান্য সংবাদ মাধ্যম মারফত জানতে পারলাম বিশিষ্ট পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের জীবনাবসানের কথা৷ তাঁর মৃত্যুতে বাংলা সিনেমা জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল৷

তিনিই প্রথম সফল বাঙালি পরিচালক, যিনি তথাকথিত বাণিজ্যিক ছবি এবং আর্ট ফিল্মের তফাৎ ঘোচাতে সচেষ্ট হন৷

দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে নিজের বাসভবনে তাঁর মৃত্যু হয়৷ বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি৷ প্যানক্রিয়াটাই­টিস রোগে ভুগছিলেন ঋতুপর্ণ৷ হৃদযন্ত্র বিকল হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার সূত্র থেকে জানা গেছে৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৯ বছর৷ ঘুমের মধ্যেই এই বিশিষ্ট পরিচালক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বলে জানা গেছে৷ এর থেকেই বোঝা যায় যে, মৃত্যু আমাদের প্রত্যেকের জীবনে অনিবার্য, কিন্তু কর্ম চিরস্থায়ী৷

ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালিত প্রথম ছবি হিরের আংটি মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে৷ এরপর থেকে একের পর এক সফল ও উল্লেখযোগ্য ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি৷ পেয়েছেন ১২টি জাতীয় পুরস্কার ও একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার৷ ১৯৬৩ সালের ৩১শে আগস্ট কলকাতায় জন্ম হয় ঋতুপর্ণ ঘোষের৷ ১৯৯৫ সালে ‘উনিশে এপ্রিল' সিনেমার জন্য প্রথম জাতীয় পুরস্কার পান৷ ‘সানগ্লাস' ও ‘রেইনকোট' নামে দুটি হিন্দি ছবিও পরিচালনা করেছেন তিনি৷

এছাড়াও, অমিতাভ বচ্চনকে নিয়ে ইংরেজিতে তৈরি করেছেন ‘দ্য লাস্ট লিয়র'৷ অভিনয়ও করেছেন কয়েকটি ছবিতে৷ টেলিভিশনে তাঁকে দেখা গেছে উপস্থাপকের ভূমিকাতেও৷

ঋতুপর্ণ ঘোষের মৃত্যুর খবর পেয়ে সকাল থেকেই তাঁর বাড়িতে আসতে শুরু করেন সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ৷ তাঁর মৃত্যুতে শিল্পীমহলে শোকের ছায়া৷ প্রয়াত পরিচালককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর বাসভবনে যান সিনেমা জগতের ব্যক্তিত্বরা৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও ঋতুপর্ণ ঘোষের বাসভবনে যান৷ বিশিষ্ট পরিচালকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঋতুপর্ণের তুলনা তিনি নিজেই৷ শোক প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারিও৷

তিনি মারা গেলেও, অমর হয়ে থাকবে তাঁর কর্মময় জীবন৷ মনে হচ্ছে বাংলা ছবি আজকে তাঁর একজন অভিভাবককে হারালো৷ আমরাও গভীরভাবে মর্মাহত৷ এই লম্বা ই-মেলটি পাঠিয়েছেন ইয়ামিন হোসেন,পাটিকাবাড়ী, নওদা, মুর্শিদাবাদ থেকে৷

প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই ডয়চে ভেলেকে নিউজিল্যান্ডের পর্বতারোহী এডমান্ড হিলারি আর নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগের আজ থেকে ৬০ বছর আগে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয়কে স্মরণ করে একটি সময়োপযোগী প্রতিবেদন তুলে ধরার জন্য৷ ধন্যবাদ অসাধারণ ছবির সাহায্যে ছবিঘরের উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে ১৯৫৩ সাল থেকে মানবজাতির এভারেস্ট জয়ের ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকানোর আন্তরিক প্রয়াসের জন্যও৷ দুর্গম শৃঙ্গ আরোহণে কঠিন বাধা, দুর্গমতা, অনেক প্রতিকূলতা এবং প্রতি মুহূর্তে জীবন-মৃত্যুর হাতছানি থাকা সত্ত্বেও আজ প্রথম শৃঙ্গ জয়ের ৬০ বছর পরও মাউন্ট এভারেস্ট বিশ্বের সকল পর্বতারোহীর কাছে আশা ও প্রত্যাশার শৃঙ্গ হয়ে চির বিরাজমান থাকবে৷ সুভাষ চক্রবর্তী, নতুন দিল্লি থেকে লিখেছেন৷

- ধন্যবাদ দু'জনকেই৷ অন্য বন্ধুদেরও অনুরোধ করছি মতামত জানানোর জন্য৷

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন