1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মৈত্রীর প্রতীক

২৪ আগস্ট ২০১২

ত্রিপুরার ফেনী নদীর ওপর ভারত যে সেতু তৈরি করছে, তাতে ভারত ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সহযোগিতার বিরাট সম্ভাবনার পথ খুলে যাবে৷ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ হবে কম৷

https://p.dw.com/p/15w68
Indian Border Security Force soldiers patrol in the early morning fog along barbwire fence along the India Bangladesh border in Jaipur village near Agartala, capital of India?s northeastern state Tripura, Monday, Dec. 4, 2006. Security along the border has been intensified following Political instability and continuing violence in Bangladesh. India shares over 4,000 kilometers (2500 miles) border with Bangladesh. (AP Photo/Ramakanta Dey)
ছবি: AP

১০০ কোটি টাকা ব্যয় করে ত্রিপুরার ফেনী নদীর ওপর ১৫০ মিটার দীর্ঘ সেতু ত্রিপুরার দক্ষিণের সীমান্ত শহর সাব্রুমকে যুক্ত করবে ঢাকা থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে বাংলাদেশের সীমান্ত শহর রামগড়কে৷

এই নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে ভারি মাল বহনে সময় ও খরচ অনেক কম হবে৷ শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ হয়ে মিয়ানমার ও অন্যান্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির যোগাযোগোর পথ সুগম হবে৷ এজন্য ভারতকে চট্টগ্রাম, মংলা ও আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহারের অনুমতিও দিয়েছে বাংলাদেশ৷

ফেনী সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের আর্থিক তথা বাণিজ্যিক লাভ কতটা হবে, এই প্রসঙ্গে ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের কর্মকর্তা স্বপন মিত্র ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘ভারত যে টাকা খরচ করবে তাতে বাংলাদেশের রাজস্ব আসবে শ্রমিক থেকে, কন্টেনার থেকে৷ এর ওপর বাংলাদেশ শুল্ক ধার্য করতে পারে৷ বলাবাহুল্য, এই সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প লাভবান হবে৷

উল্লেখ্য, কলকাতা থেকে আগরতলার দূরত্ব শিলং-গুয়াহাটি হয়ে দাঁড়ায় ১৬৫০ কিলোমিটার৷ আর বাংলাদেশ হয়ে গেলে আগরতলা-কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৩৫০ কিলোমিটার৷ ফেনী সেতুর প্রবেশপথ যুক্ত হবে আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক ৪৪-এর সঙ্গে৷ পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সাব্রুম পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে৷ শেষ হবে ২০১৪ সালে৷

বাংলাদেশের স্বার্থের কথা বলতে গিয়ে ত্রিপুরা সরকারের আধিকারিক স্বপন মিত্র ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ বলতে বাংলাদেশ যদি কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করে তাহলে ত্রিপুরার কাঁচামালের ভাণ্ডার কাজে লাগাতে পারবে৷ বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল ত্রিপুরায় এসে সে বিষয়ে সমীক্ষা করে গেছেন৷ আগরতলা থেকে ঢাকার দুরত্ব বেশি নয়৷ বাংলাদেশের শিল্পপতিরা ত্রিপুরায় বিনিয়োগ করলে ভালো বাজার পেতে পারেন৷

এছাড়া, বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের সমস্যা রয়েছে৷ অথচ ত্রিপুরায় আছে মজুত গ্যাসের বিপুল ভাণ্ডার৷ সর্বোপরি এই ফেনী সেতু ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীবন্ধনের এক প্রতীক হয়ে থাকবে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য