1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসাম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ও বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ

১৭ আগস্ট ২০১২

আসামে সহিংসতার জেরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের মানুষ দলে দলে তাদের বাসস্থান ছাড়তে শুরু করেছে৷ এই হিড়িক বন্ধ করতে ও তাঁদের মন থেকে ভয় দূর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের সঙ্গে একমত প্রকাশ করে রাজনৈতিক দলগুলি৷

https://p.dw.com/p/15rqg
ছবি: Reuters

সংসদে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ছিল আসামে সহিংসতার জেরে দেশের অন্য রাজ্যে বসবাসকারী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির লোকজনদের মনে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্ক৷ বিতর্কে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন সবদল৷ এসএমএস'এ হুমকি দেয়ার ফলে বেঙ্গালুরু বা ব্যাঙ্গালোর, হায়দ্রাবাদ, চেন্নাই ও পুনে থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষ শহর ছাড়ার হিড়িক এখনো বন্ধ হয়নি৷

প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে ঘোষণা করেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের লোকজনদের ভারতের যে কোনো জায়গায় নিরাপত্তার সঙ্গে থাকার পূর্ণ অধিকার আছে এবং সরকার তা সুনিশ্চিত করতে দৃঢ় সংকল্প৷ সব রাজনৈতিক দল একযোগে শান্তি, সদ্ভাব বজায় রাখতে এবং নিরাপত্তাহীনতা দূর করার বার্তা দিচ্ছে৷ আসামের ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে যারা গুজব ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী৷

Indien Unruhen in Assam zwischen Bodo-Volksgruppe und muslimischen Siedlern
আসামের পরিস্থিতি বহুদিন যাবতই চিন্তার কারণ...ছবি: Reuters

১৫ দিনের জন্য বাল্ক এসএমএস বন্ধ করার কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল শিন্ডে ৷ মোবাইল, এসএমএস, ইন্টারনেটেও হুমকি দেয়া হচ্ছে৷ তাই এসব কারা দিচ্ছে, গোয়েন্দা বিভাগকে তা ধরার আদেশ দেয়া হয়েছে৷

বিরোধী বিজেপি নেত্রি সুষমা স্বরাজের অভিযোগ, সরকার আসামে জাতিগত দাঙ্গা সময়মতো নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি৷ তবে এই সংকটকালে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সরকারের হাত শক্ত করার ডাক দেন তিনি৷ সিপিআই-এম সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া বিভিন্ন শহরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নাগরিকরা নিরাপদবোধ না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ স্বাধীনতার ৬৫ বছর পরেও কেন এমন ঘটনা ঘটছে তা গভীরভাবে ভেবে দেখতে বলেন তিনি৷

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুজব ছড়ানো এক চক্রান্ত ছাড়া কিছু নয়৷ তাই তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দোপাধ্যায় আসামের আতঙ্কগ্রস্ত এলাকায় সংসদীয় প্রতিনিধিদল পাঠাবার কথা বলেন৷ আর আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আজ এক সর্বদলীয় বৈঠক করেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য