1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বে শান্তি অর্জন ও সংঘর্ষ প্রতিরোধে মিডিয়ার ভূমিকা কি ?

দেবারতি গুহ৩ জুন ২০০৮

এ-প্রশ্নটির উত্তর খুঁজতেই জার্মানির এই বন শহরে একত্রিত হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংগঠন, রাজনীতিক, শিল্পী এবং সাংবাদিকরা৷ ডয়েচে ভেলের পৃষ্ঠপোষকতায় গতকাল থেকে শুরু হয়েছে Global Media Forum৷

https://p.dw.com/p/EC9L
Global Media Forum-এ আলোচনারত সাংবাদিকরাছবি: DW

একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত গড়ে তোলা একার পক্ষে সম্ভব নয়৷ এর জন্য প্রয়োজন Network-এর, সম্মিলত প্রচেষ্টার৷ আর সেটাই এই Global Media Forum-এর মূল লক্ষ্য৷ কারণ, অর্জিত জ্ঞানের আদান-প্রদানের কোন বিকল্প নেই৷ ডয়েচে ভেলের মহাপরিচালক Erik Betterman জানান, সাংবাদিকতা এবং প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা একদিকে যেমন অসংখ্য সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে অন্যদিকে একই সঙ্গে বাড়ছে দায়িত্ব এবং কর্তব্য৷ আলোচনা এবং ভাবের আদান প্রধান এখানে মুখ্য বিষয়৷ এটি যে কোন সংঘাত এড়ানো থেকে শুরু করে শান্তি প্রতিষ্ঠা সবকিছুর জন্যই প্রযোজ্য৷ দেশ চালানো, মানবাধিকার রক্ষা, সামাজিক মূল্যায়ন এবং মূল্যবোধ, শিক্ষা, উন্নয়ন সব কিছুইর সঙ্গেই জড়িত৷প্রচার মাধ্যম যে কোন দেশে শাসকগোষ্ঠী এবং সাধারণ মানুষ উভয় ক্ষেত্রেই সমান সতর্কতামূলক ব্যবস্হা গ্রহণ করতে সক্ষম৷

৩ দিনের এই সম্মলনে তাই জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্হায় কর্মরত ব্যক্তিরা ছাড়াও, উপস্থিত রয়েছেন বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের সঙ্গে জড়িত, বহু সরকারী এবং বেসরকারী সংস্হার কর্মীরাও৷ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সাংবাদিকরাই নন, রাজনীতিক, শিল্পী, ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানী - প্রায় ৮০০ জন একই টেবিলে বসে আলোচনা করছেন প্রচার মাধ্যমের নানা দিক নিয়ে৷ মিয়ানমারে নাগরিক অধিকার, চীনে তিব্বত সমস্যা, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি-প্রক্রিয়া - এসব কিছুতেই সাংবাদিকদের একটি ভূমিকা থেকেই যায়৷ তবে ভারত থেকে আসা সুচিত্রা ঈশ্বর জানালেন, এ-সব ক্ষেত্রে শুধু রিপোর্টিং-এর মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়৷ কিন্তু এটা ঠিক, যে মিডিয়ার মাধ্যমে একটি যথাযথ সংলাপের প্যাটফর্ম চিহ্নিত করা যায়৷ সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থাগুলি তাদের মতাদর্শ এবং পন্থাগুলি বিভিন্ন সাংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে বিশ্ব-দরবারে তুলে ধরতে পারে৷ আর সেভাবেই একটি গণতান্ত্রিক ফোরামে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি উঠে আসতে পারে৷ আলোচিত হতে পারে৷

তথ্য জানার অধিকার নাগরিকের আছে, আর এ কাজে সহায়ক হিসেবে কাজ করে গণমাধ্যম৷ গণমাধ্যমের এই ভুমিকাটা তার দুঃসংবাদ সরবরাহ করার তুলনায় কম নয় মোটেও৷ তথ্য সংগ্রহ এবং তথ্য উপস্থাপনের জন্যই পেশাদার নানা রকম প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত সংবাদপত্রকর্মীর দল, যারা ইন হাউস কাজ করেন, যারা মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করেন এবং আঞ্চলিক সংবাদদাতা তাদের সবাই আসলে দেশের এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ঘটনার ভাষ্য তুলে ধরেন৷ কিন্তু, মিডিয়াতে সত্যতা ধরে রাখা যায়, প্রকাশ করা যায় কিভাবে ? বহুক্ষেত্রে এশিয়ার সাংবাদিকরা জীবনের ঝঁকি নিয়ে কাজ করছে৷ যাদের উপর নজর রাখছে Reporters without Borders নামক ফরাসী সংস্থাটি৷

এছাড়াও, আজকাল জ্যামিতিক হারে স্যাটেলাইট টেলিভিশন উত্‌পন্ন হওয়ার কারণে যেমন ইলেকট্রনিক সাংবাদিকের সংখ্যা বাড়ছে, তেমনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলি বিশেষ করে জেলা শহরগুলি থেকেও পত্রিকা বের হওয়ার বদৌলতে প্রিন্টিং সাংবাদিকের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ সম্মেলনে উপস্থিত সংবাদমাধ্যম বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রজিত্ ব্যানার্জি বললেন, সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে চীন বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী জাতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেছে৷ বর্তমানে চীনে প্রায় ২২০ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে৷ এমনকি ভারতেও এ-মূহুর্তে ৯ মিলিয়ন মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে৷ আর ছায়াছবি নির্মানের ক্ষেত্রে ভারতীয়রা যে সবচেয়ে এগিয়ে - তা বলাই বাহুল্য৷

বৃটিশ ঔপনিবেশিক আমল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের উত্তারয়ণের পথেও সাংবাদিকদের ভূমিকা একজন রাজনীতিবিদের তুলনায় কোন অংশে কম নয়৷ এ-সত্য আজকের পৃথিবীতকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না৷ এবং এটাই একজন সাংবাদিকের পেশার মহত্ম, যা মানব সভ্যতার অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য