1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শান্তি অর্জন ও সংঘর্ষ প্রতিরোধে মিডিয়ার ভূমিকা

দেবারতি গুহ২ জুন ২০০৮

ঘটনার রেকর্ড তৈরী করা, সেগুলির অনুসন্ধান করা এবং তারপর পরিস্থিতির মূল্যায়ন করা৷ সাংবাদিকরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এভাবেই কাজ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত৷ পৌঁছে দিচ্ছেন তথ্য বিশ্ব-দরবারে৷

https://p.dw.com/p/EBTP
Global Media Forum-এ আলোচনা সভাছবি: DW

আর এজন্য অনেক সময়েই ঝুঁকির মুখে পড়ছে, পড়ে চলেছে তাদের জীবন৷ তবুও তারা পিছু পা হননি৷ থেমে থাকেন নি৷ তাহলে বিশ্বে শান্তি অর্জন ও সংঘর্ষ প্রতিরোধে মিডিয়ার ভূমিকা কি ?

এ-প্রশ্নটির উত্তরে খুঁজতেই জার্মানির এই বন শহরে আজ থেকে শুরু হয়েছে Global Media Forum৷ ডয়েচে ভেলের পৃষ্ঠপোষকতায়৷ তাই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডয়েচে ভেলের মহাপরিচালক Erik Betterman জানালেন, আন্তর্জাতিক এবং আন্তঃবিষয়ক এ-দুটিই হচ্ছে ডয়েচে ভেলে গ্লোবাল মিডিয়া ফোরামের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়৷ আশার করা যায়, যে আগামী ৩ দিনে সবাই মিলে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে, প্রচার মাধ্যমের সঙ্গে জড়িত, আলোচনার বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন রাজনীতি, শিল্প, অর্থনীতি, উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মধ্যে দিয়ে বিশ্বায়নের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম হবে৷ এবং একই সঙ্গে নানা ধরনের সমস্যার সমাধানের চেষ্টাও করবে৷

এরপর সম্মেলনের প্রথম Session-এই জানানো হয় যে, এখন থেকে নিয়মিত এই সম্মেলনের আয়োজন করা হবে৷ সম্মেলনের বিভিন্ন এজেন্ডায় কিছুটা পরিবর্তনের সুযোগ-সুবিধা থাকলেও, আলোচনার মূল বিষয় - দৈনন্দিন কর্মজীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় সারা বিশ্বে প্রচার মাধ্যমের প্রভাব৷ সম্মেলনে উপস্থিত জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র Georg Boomgarden বলেন,সংঘর্ষের জায়গায় স্থান পাবে বিতর্ক এবং সংলাপ - নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের কাছে এটাই আমাদের একমাত্র কাম্য৷ তথ্য, মতাদর্শ, জ্ঞান - এসবের মধ্যে যেই সুক্ষ ফাঁরাক তাই একটি সংবাদমাধ্যম অথবা একটি সংবাদকে হলুদ সাংবাদিকতা থেকে আলাদা করে থাকে৷ জাতীয়তাবাদ এবং জঙ্গীবাদের মধ্যকার পার্থক্য স্পষ্ট করে তোলে৷

তাই জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্হায় কর্মরত ব্যক্তিরা ছাড়াও, ৩ দিনের এই সম্মলনে উপস্থিত আছেন বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের সঙ্গে জড়িত, বহু সরকারী এবং বেসরকারী সংস্হার কর্মীরাও৷ শুধু সাংবাদিক নয়, রাজনীতিক, শিল্পী, ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানী - সবাই একই টেবিলে বসে আলোচনা করছেন প্রচার মাধ্যমের নানা দিক নিয়ে৷ সাধারণ একটি সূত্র ধরেই এগিয়েছে সমস্ত আলোচনা – আর তা হল, ভবিষ্যত নিয়ে যারা কাজ করতে আগ্রহী তাদের নেটওয়ার্ক তৈরী এবং Global Dimensions-এর প্রসঙ্গ৷ কারণ, অর্জিত জ্ঞানের আদান-প্রদানের কোন বিকল্প নেই৷ তাই নজর রাখতে হবে সেদিকটিতে, বিশেষভাবে৷ নোবেল শান্তি বিজয়ী ইরানের প্রখ্যাত আইনজীবি শিরীন ইবাদী বললেন, সবচেয়ে যা প্রয়োজনীয় তা হল যারা ক্ষমতায় রয়েছে তারা যেন কোন অবস্হাতেই মানবাধিকার লংঘন করতে না পারে বা তাতে সম্মত না হয় সে দিকে খেয়াল রাখা৷ ভুলে গেলে চলবে না যে মানবাধিকার যে কোন দেশের আইনের উর্ধ্বে, প্রতিটি দেশের সংবিধানে তা স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে৷ যে কোন দেশের জাতীয় আইনের সঙ্গে মানাবাধিকার বিষয়ক প্রতিটি আইনের সামঞ্জস্য থাকতে হবে৷