1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বই মেলা

১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২

একুশে বই মেলায় মানসম্পন্ন বইয়ের অভাবের কথা স্বীকার করেছেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, বই মেলায় দু’শ থেকে আড়াইশ’র বেশি মানসম্পন্ন বই প্রকাশ হয়না৷ লেখকরা চান যোগ্য সম্পাদনা পরিষদ৷

https://p.dw.com/p/141WM
ছবি: DW

অমর একুশে গ্রন্থ মেলাকে সামনে রেখে বাংলাদেশে যেমন অধিকাংশ বই প্রকাশিত হয়৷ তেমনি পাঠকরাও এই বই মেলার দিকেই চেয়ে থাকেন নতুন বই কেনার জন্য৷ কিন্ত তারা সব সময় তাদের মনের খোরাক মেটাতে পারেন না৷

কথা সাহিত্যিক রেজানুর রহমান বলেন, মান সম্পন্ন বইয়ের অভাব রয়েছে সত্য৷ কিন্তু মান নির্ধারণ করবে কে? প্রকাশনা সংস্থাগুলোতে সেই ব্যবস্থা আর এখন তেমন নেই৷ নেই যোগ্য সম্পাদনা পর্ষদ৷

ছড়াকার আখতার হুসেন বললেন, শুধু বড়দের নয়, ছোটদের বইয়ের ক্ষেত্রেও চলছে আকাল৷ লেখার বিষয়বস্তুতে যেমন সমস্যা তেমনি বইয়ের অঙ্গসজ্জা ও বানানেও আছে অনাচার৷

Ekushey Büchermesse 2012 in Dhaka, Bangladesch
চলছে মেলাছবি: DW

কবি এবং ঔপন্যাসিক মুজতবা আহমেদ মুরশেদ বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দায়িত্ব নিতে হবে প্রকাশকদের৷ তিনি মনে করেন, খরচ হলেও ভাল বই প্রকাশ করতে হলে প্রকাশকদের থাকতে হবে যোগ্য সম্পাদনা পর্ষদ বা প্যানেল৷

বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান ডয়চে ভেলেক বলেন, এখন অনেকে টাকা হলেই বই প্রকাশ করে ফেলছেন, মানের দিকে খেয়াল রাখছেন না৷ তিনি বলেন, বাংলা একাডেমী জরিপ করে দেখেছে গত বছর বই মেলায় এত বইয়ের মধ্যে আড়াইশ'র মত মানসম্পন্ন বই প্রকাশিত হয়েছে৷

তবে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক আশা করেন, এত যে নতুন নতুন লেখক আসছেন তারা যদি তাদের লেখার উৎসাহ ধরে রাখেন তাহলে হয়তো তারাই একদিন মান অর্জন করবেন৷ আর বই বিক্রি করে ব্যবসা করতে হলে শেষ পর্যন্ত প্রকাশকদের মানসম্পন্ন বইয়ের দিকেই ঝুঁকতে হবে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য