1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়লো পাইন বনেও

৫ নভেম্বর ২০১১

এ বছর জার্মানিতে বসন্ত ছিল খটখটে, গ্রীষ্ম ছিল বেশ ঠান্ডা, বর্ষণমুখর৷ আর নভেম্বরের শুরুতেও এখনো হেমন্তের ছোঁয়া৷ কমলা হয়ে যাওয়া পাতার ফাঁকে দিনটাকে সুন্দর লাগলেও, এটা খুব স্বাভাবিক নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

https://p.dw.com/p/135Z5
পাইন গাছ গরম সহ্য করতে পারে না একেবারেইছবি: DW/Richard Fuchs

জার্মান আবহাওয়া দপ্তরের বিশ্লেষক গ্যারহার্ড মুলার ভেস্টারমায়ার'ও বললেন, এবারের এই চূড়ান্ত আবহাওয়ার কথা৷ তুলে ধরলেন ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যের দৃষ্টান্ত৷ সেখানে এবছর বৃষ্টিপাত হয়েছে তূলনামূলকভাবে অনেক বেশি৷ অন্যদিকে, জার্মানির অন্যান্য অঞ্চল ছিল অত্যন্ত শুষ্ক৷

আসলে অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি – দু'টোই হতে পারে পরিবেশের পরিপন্থী৷ রাজধানী বার্লিনের উপকন্ঠে ব্রান্ডেনবুর্গ পাইন বনের রাজ্য বলে বিখ্যাত৷ রাজ্যটির একটা বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে দেবদারু গাছের মতো দেখতে এই পাইন গাছের বন৷ সরু সুচের মতো পাতা, লম্বাকৃতির এই গাছগুলির ফাঁক দিয়ে হু হু করে বয়ে যায় হাওয়া৷

Bernhard Götz Waldumbau
জার্মান আবহাওয়া দপ্তরের বিশ্লেষক গ্যারহার্ড মুলার ভেস্টারমায়ারছবি: DW/Richard Fuchs

ব্রান্ডেনবুর্গের আবহাওয়ায় একটা সমতা বজায় রাখতে এই পাইন বনের জুড়ি নেই৷ প্রচণ্ড গরমেও যেন শান্তির বাতাস নিয়ে আসে এই গাছগুলি৷ কিন্তু, ভবিষ্যতের কথা মনে করে এদের জন্যও চিন্তা হয় শহরের অন্যতম পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ব্যার্নহার্ড গ্যট্স-এর৷ নিজের অফিস ঘরে জানালার ফাঁক থেকে পাইন গাছের সবুজ পাতাগুলোর দিকে তাকিয়ে তাই তিনি দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলেন৷ বলেন,‘‘আরো শুকনো, চরম আবহাওয়ার এক ভবিষ্যৎ এগিয়ে আসছে আমাদের সামনে৷ এ কথা ভাবলে আমার সত্যি ভয় করে৷ এর প্রভাব তো আমাদের এই ব্রান্ডেনবুর্গেও এসে পড়বে৷ তখন আমরা কিভাবে আমাদের স্থানীয় এই প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার, এই পাইন বনকে বাঁচিয়ে রাখবো?''

আসলে সমস্যা হলো পাইন গাছ গরম সহ্য করতে পারে না একেবারেই৷ তাছাড়া স্পেনে যে পাইন গাছ পাওয়া যায়, তার সঙ্গে ব্রান্ডেনবুর্গের, তথা জার্মানির পাইন গাছের পার্থক্য তো রয়েছেই৷ অথচ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনজ সম্পদের প্রয়োজনীয়তার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই৷ তাই ব্রান্ডেনবুর্গের সবুজাভাবকে বাঁচিয়ে রাখতে এবার পাইন গাছের বদলে অন্য ধরণের বৃক্ষ রোপন করার কথা ভাবতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে৷

Bildgalerie Klimawandel in Deutschland Waldbrandgefahr
ছবি: picture-alliance/ ZB

স্থানীয় বনবিভাগের প্রধান পর্যবেক্ষক রাল্ফ ক্যাটসেল জানান, ‘‘সারা বিশ্বের সামনে জলবায়ু পরিবর্তন আজ একটা বিরাট সমস্যা৷ তাই এর মোকাবিলা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের৷ পরিবেশ রক্ষায় চিরহরিৎ বৃক্ষ অথবা চরম তাপমাত্র সহ্য করতে সক্ষম এমন গাছের প্রয়োজন৷ ব্রান্ডেনবুর্গের জন্য সবচেয়ে ভালো হতো, যদি আমরা অন্য কোনো জায়গা থেকে সে রকম গাছ তুলে নিয়ে আসতে পারতাম৷ কিন্তু সেটা করা গেলেও প্রচণ্ড ঠান্ডায় এখানে সে গাছ বাঁচবে না৷ সব ধরনের গাছ-গাছালির যে তীব্র তাপ সহ্য করার ক্ষমতা নেই৷''

এখানেই সমস্যার শেষ নয়৷ বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে যদি বাইরে থেকে আমদানি করা গাছপালা বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয় বা স্থানীয় গাছপালাকে যদি চরম আবহাওয়ার উপযোগী করে তোলাও যায় - পুরো প্রক্রিয়াটাই হবে সময় সাপেক্ষ৷ প্রশ্ন হলো - সে সময় আমাদের হাতে আদৌ আছে কিনা!

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য