1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিয়ন্ত্রণ বিতর্কে গুগল

২২ নভেম্বর ২০১২

ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে জাতিসংঘের উদ্যোগে পরিকল্পিত আসন্ন বৈঠকের সমালোচনা করেছে গুগল৷ বিশ্বের সর্ববৃহৎ খোঁজ সেবাদাতা এই প্রতিষ্ঠানটির মতে, ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য এটা উপযুক্ত জায়গা নয়৷

https://p.dw.com/p/16o2H
ছবি: newgtlds.icann.org/en/

ইন্টারনেটের কারণে আমাদের জীবন এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে, এটা স্বীকার করতেই হবে৷ বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে এখন প্রায় বিনা খরচায় তথ্য আদান প্রদান করা যায় মুহূর্তের মধ্যে৷ ইন্টারনেটের কারণে এমনটা সম্ভব হয়েছে৷ মানুষের স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকারকেও নিশ্চিত করছে এই বৈশ্বিক অর্ন্তজাল৷

কিন্তু বিশ্বের কিছু দেশ এই মুক্ত ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে শিকল পরাতে চাইছেন৷ এসব দেশের জন্য এক সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখা দিয়েছে, ‘ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অন ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস' বা ডাব্লিউসিআইটি৷ জাতিসংঘের উদ্যোগে আগামী ৩ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই সম্মেলন, যেখানে মূলত বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগ নীতিমালা হালনাগাদের বিষয়ে আলোচনা হবে৷ ১৯৮৮ সালে প্রথম এই নীতিমালা চালু হয়েছিল৷ জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এসব বিষয় দেখভাল করে৷

Agenda
গুগল মনে করে, ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে আইটিইউ সঠিক জায়গা নয়

গুগল মনে করে, ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে আইটিইউ সঠিক জায়গা নয়, কেননা শুধুমাত্র বিভিন্ন দেশের সরকার সেখানে মতামত প্রদান করতে পারে৷ এবং এসব সরকারের মধ্যে কেউ কেউ অবাধ এবং স্বাধীন ইন্টারনেট সমর্থন করে না৷

গুগলের আনুষ্ঠানিক ব্লগে প্রকাশিত প্রতিষ্ঠানটির বিবৃতিতে শঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, বর্তমান নীতিমালার পরিবর্তনের ফলে সেন্সরশিপ বেড়ে যেতে পারে এবং উদ্ভাবনের পথ রুদ্ধ হতে পারে৷

গুগলের মত হচ্ছে, সরকারবর্গ এককভাবে ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে না৷ এক্ষেত্রে বিশ্বের কোটি কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং যেসব বিশেষজ্ঞরা এই নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে এবং বাঁচিয়ে রেখেছে তাদের মতামতকেও গুরুত্ব দিতে হবে৷

প্রসঙ্গত, রাশিয়া তার ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা আইটিইউ'র কাছে পেশ করার এক সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে মুখ খুললো গুগল৷ প্রযুক্তি বিষয়ক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বেল মেসন গ্রুপের বিশ্লেষক ল্যারি ডোনেন্স মনে করেন, রাশিয়া কার্যত ইন্টারনেটের উপর জাতিসংঘের এজেন্সির নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর পক্ষে৷ একইসঙ্গে ইন্টারনেট ঠিকানা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আইক্যান'এর ক্ষমতা অনেক কমানোর পক্ষে রাশিয়া৷

উল্লেখ, চীন, রাশিয়া, ইরানসহ বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের উপর এখনই কড়া বিধিনিষেধ চালু রয়েছে৷ বিভিন্ন দেশের সরকার এই বিধিনিষেধ আরো বাড়াতে চায়৷ ভবিষ্যতে জাতিসংঘের পরিবর্তিত নীতিমালা এক্ষেত্রে আরো ভূমিকা রাখতে পারে, যা চায় না গুগলসহ বিভিন্ন ইন্টারনেটে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং ইন্টারনেট অ্যাক্টিভিস্টরা৷

এআই / এসি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য