1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো ২০১২: গ্রুপ ‘বি’-তে সহজ বলে কিছু নেই

১১ মে ২০১২

জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, পোর্তুগাল, ডেনমার্ক৷ সর্বাধুনিক ফিফা বিশ্ব ব়্যাংকিং’এ দ্বিতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম দেশ৷ জার্মান কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ তারুণ্যের ভক্ত, তরুণ তুর্কিরাই তাঁর হাতের তুরুপ৷

https://p.dw.com/p/14thB
ছবি: Reuters

ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে জার্মানি সবচেয়ে সফল দেশ৷ খেতাব জিতেছে তিনবার: ১৯৭২, ১৯৮০ ও ১৯৯৬ সালে৷ এবারকার কোয়ালিফাইং'এ ১০টি খেলার মধ্যে ১০টিতেই জিতেছে জার্মানি৷ অপরদিকে ২০০৮ সালের ফাইনালে স্পেনের কাছে ফের্নান্দো টোরেস'এর একটিমাত্র গোলের জন্য হারার স্মৃতিটা মুছে ফেলার জন্য ব্যগ্র ইয়োগি ল্যোভ'এর স্কোয়াড৷ স্বদেশেও প্রত্যাশা তুঙ্গে৷

‘‘আমাদের অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে, যারা কখনও কোনো বড় টুর্নামেন্টে খেলেনি,'' বলেছেন ল্যোভ, ‘‘ঠিক ২০১০ সালের বিশ্বকাপের মতো অবস্থা৷ একটা সুবিধা হল, আমাদের বুনিয়াদ এবার ২০০৮ কি ২০১০ সালের চেয়ে ভালো৷ আমাদের খেলার ধরণ গত দু'বছর ধরে পোক্ত হয়েছে৷'' বিশেষ করে মাঝমাঠে বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার, মেসুত ওয়েজিল আর থোমাস ম্যুলার'কে ঘিরে দারুণ অ্যাটাক গড়ে তুলেছেন ল্যোভ৷

Fußball WM 2010 Südafrika Deutschland gegen Serbien
জার্মান ফুটবলে এখন জাতীয়তাবোধের জোয়ারছবি: AP

ল্যোভ তরুণ প্রতিভাকে মঞ্চে তুলতে, পাদপ্রদীপের আলোয় আনতে ভালোবাসেন৷ এবার তাঁর প্রাথমিক ২৭ জনের স্কোয়াডে শালকে'র মিডফিল্ডার, ১৮ বছর বয়সী জুলিয়ান ড্রাক্সলার'কে রেখেছেন, চতুর্থ গোলরক্ষক হিসেবে রেখেছেন বোরুসিয়া ম্যোনশেনগ্লাডবাখের ২০ বছর বয়সী মার্ক-অন্দ্রে টের স্টেগেন'কে৷ দলে তরুণদের মধ্যে আরো নাম করতে হয় বায়ার্ন মিউনিখের জেরোম বোয়াটেং এবং হল্গার বাডস্টুবার'এর, সেই সঙ্গে বোরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাট্স হুমেল্স৷ এরা সবাই এবার বুন্ডেসলিগায় দারুণ খেলেছে, কিন্তু সকলেরই আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা কম৷ ও হ্যাঁ, অ্যাটাকে ল্যোভ'এর রাইজিং স্টার হলেন ১৯ বছর বয়সী মারিও গোয়েটসে৷

বিশ্ব ফুটবলের নিতবর

২৪ বছর ধরে একটি আন্তর্জাতিক খেতাবের অপেক্ষায় নেদারল্যান্ডস৷ টোটাল ফুটবল যে দেশে আবিষ্কৃত হয়েছে, তাদের যে কোনো টুর্নামেন্টের শেষ পর্যায়ে পৌঁছতে বেগ পেতে হয় না৷ তার পরেই কিরকম যেন সব ভেস্তে যায়৷ বিশ্বকাপে তিনবার ফাইনালে: ১৯৭৪, ১৯৭৮ এবং ২০১০ সালে৷ ১৯৮৮'তে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর নেদারল্যান্ডস তিনবার সেমিফাইনালে পৌঁছেছে, কিন্তু ফাইনালে পৌঁছতে পারেনি৷

অথচ ২০০৮ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্যায়ে চমক লাগিয়ে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস, ইটালি'কে ৩-০ এবং ফ্রান্স'কে ৪-১ গোলে হারিয়ে৷ অথচ তার পরেই তারা কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়ার কাছে হেরে বিদায় নেয়৷ এবার তা বদলাতে পারে, এমন লক্ষণ আছে৷ কোয়ালিফাইং'এ সবচেয়ে বেশি গোল করেছে নেদারল্যান্ডস, ১০টি ম্যাচে ৩৭টি গোল - যেখানে জার্মানি করেছে ১০টি ম্যাচে ৩৪টি গোল৷ গত সেপ্টেম্বরে বেচারা সান মারিনো'কে ১১-০ গোলে হারায় কোচ বার্ট ফ্যান মারভাইক'এর দল৷

গোলের পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে: নেদারল্যান্ডসের অমোঘ অস্ত্র হল তাদের অ্যাটাকিং লাইন৷ ক্লাস-ইয়ান হুন্টেলার জার্মানির শালকে'র হয়ে দারুণ ফর্মে৷ রবিন ফ্যান পার্সি ইংল্যান্ডের আর্সেনালের হয়ে এ'মরশুমে ৩০টি গোল করেছে৷ ওদিকে আরিয়েন রবেন আবার ফিট এবং বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে আগুন ছোটাচ্ছে৷ শুধু গতবারের হিরো ওয়েসলে স্নাইডার এখনও চোটে, ইন্টার মিলানের হয়ে মাত্র ১৬ বার মাঠে নেমেছে৷

বাকি থাকে সেলেসাও

লুইস ফিগো'র ‘‘গোল্ডেন জেনারেশন''-এর পরে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্দো থাকা সত্ত্বেও পোর্তুগালের অবস্থা ভালো, এমন কথা বলা যায় না৷ নয়তো ২০০৪'এর ফাইনালিস্টকে এবার প্লে-অফ'এর মাধ্যমে বসনিয়া'কে ঠেলে ইউরো ২০১২'য় যাবার টিকিট সংগ্রহ করতে হতো না৷ সাইপ্রাসের বিরুদ্ধে স্বদেশে কোয়ালিফায়ারে পোর্তুগাল চার গোল খায়, এমন কথাই বা কে শুনেছে! ওদিকে গ্রুপ ‘বি'-র বাকিরা সবাই প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন৷ কাজেই পোর্তুগালের কোচ বেন্টো বলেছেন, ‘‘নক-আউট পর্যায়ে পৌঁছনোটা শক্ত হবে৷''

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী (এএফপি, রয়টার্স)
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য