পৃথিবীকে মিস করবে গ্রহাণু!
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩বিজ্ঞানীরা আগেই বলে দিয়েছেন, গ্রহাণুটি পৃথিবীকে আঘাত হানার কোনো আশঙ্কা নেই৷ টুপি পরে থাকতে বলাটা তাই মজা করা৷ তবে এই পৃথিবীতে গ্রহাণুর আঘাতেই বিদায় নিয়েছিল ডাইনোসররা৷ আর মাত্র শত বছর আগে সাইবেরিয়ার দু'হাজার বর্গ কিলোমিটার বন পুড়ে ছাই হয়েছিল এদের আঘাতেই৷
ভয় পেলেন নাতো? আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি যে গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছ ঘেঁষে চলে যাবে, সেটি আবিষ্কার হয়েছে ২০১২ সালে৷ তার নাম দেওয়া হয়েছে ডিএ১৪৷ এটি পৃথিবীর মূল ভূখণ্ড থেকে ১৭,২০০ মাইল দূরে থাকবে৷ আমাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করলে এটা নিরাপদ দূরত্ব৷ তবে মহাকাশে এখন নানা প্রকার স্যাটেলাইটের বিচরণ রয়েছে৷ সেসবের সঙ্গে এই গ্রহাণুর ধাক্কা লাগার আশঙ্কা নেই বলেই মন করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা৷ তবুও স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রকদের এই বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন তাঁরা৷ এবং গ্রহাণুটির সম্ভাব্য কক্ষপথ সম্পর্কেও জানানো হয়েছে৷
নাসার গবেষক ডোনাল্ড ইয়োমানস এ বিষয়ে বলেছেন, ‘‘গ্রহাণুদের গতিপথের অনিশ্চতা বিবেচনায় এনেও আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, ভূ-পৃষ্ঠের ১৭,১০০ মাইল দূর থেকেই চলে যাবে এটি৷''
এখন পর্যন্ত যা খবর, তাতে এই ডিএ১৪ গ্রহাণুর আকার হচ্ছে মাত্র ১৫০ ফুট৷ ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রিনিচ মান সময় ১৭২৪-এ ভারত মহাসাগরে সুমাত্রা অঞ্চলের উপর দিয়ে চলে যাবে এটি৷ উৎসুকরা চাইলে ছোটখাট টেলিস্কোপ ব্যবহার করেই গ্রহাণুটিকে এক নজর দেখতে পারেন৷ বিজ্ঞানীদের হিসেবে, পূর্ব ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়া থেকে এটি দেখা যাবে৷
উল্লেখ্য, সাধারণত প্রতি ৪০ বছর পরপর এরকম কোনো গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ থেকে চলে যায়৷ আর পৃথিবীতে তারা আঘাত হানে বারো'শ বছর পর পর৷ সর্বশেষ ১৯০৮ সালে এরকম এক গ্রহাণুর আগাতে সাইবেরিয়ার দু'হাজার বর্গকিলোমিটার বন ধ্বংস হয়েছিল৷ সে হিসেবে অদূর ভবিষ্যতে এরকম কোনো গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই৷
এআই/ডিজি (এএফপি)