1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধরা পড়ল সাইবার অপরাধের তিন চাঁই

২৪ জানুয়ারি ২০১৩

কম্পিউটারে ভাইরাস ঢোকানোর চেষ্টা কম ঘটে না৷ কিন্তু এসব অযাচিত অতিথি যখন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খালি করার ফন্দি আঁটে, তখন তা গুরুতর হয়ে ওঠে৷ যুক্তরাষ্ট্র এমনই এক দুষ্টচক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে৷

https://p.dw.com/p/17Qm2
ছবি: picture-alliance/dpa

ভাইরাসের নাম ‘গোজি'৷ প্রথমে ইউরোপ, তারপর অ্যামেরিকায় অসংখ্য কম্পিউটারের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল সে৷ তারপর তাণ্ডব চালিয়েছে৷ অসংখ্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চুরি করে লুটপাট চালিয়েছে৷ এমনকি মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসাও রেহাই পায় নি৷ তাদের ১৬০টি কম্পিউটারও নাকি কব্জা করেছিল এই ভাইরাস৷

মার্কিন অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এই ভাইরাসের উৎস খুঁজতে কোমর বেঁধে নেমেছিল৷ তারা এবার সাফল্যের দাবি করছে৷ রাশিয়ার নিকিতা কুজমিন ও পূর্ব ইউরোপের দুই দোসরের বিরুদ্ধে এই ভাইরাস তৈরি ও তা কম্পিউটারে পাচার করার অভিযোগ এনেছে তারা৷ ২৫ বছর বয়স্ক নিকিতা ২০১০ সালে অ্যামেরিকায় একবার ধরা পড়েছিল৷ তবে এক বছর পরে দোষ স্বীকার করে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয় সে৷ গত বছরের শেষে তার দুই দোসরও ধরা পড়ে৷ লাটভিয়ায় গ্রেপ্তার হয় ডেনিস কালভস্কিস, রুমেনিয়ায় মিহাই লোনুট পাউনেস্কু৷ পাউনেস্কু নিজে এক ‘বুলেটপ্রুফ হোস্টিং' পরিষেবা চালু করেছিল, যার আড়াল থেকে সাইবার অপরাধীরা গোজি সহ আরও ভাইরাস ছড়াতে পেরেছে৷ 

Computerkriminalität - computer crime [ (c) www.BilderBox.com
ছবি: BilderBox

দীর্ঘ সময় ধরে তদন্ত চালিয়ে এফবিআই তাদের শনাক্ত করে সাইবার অপরাধ চক্র সম্পর্কে অনেক মূল্যবান তথ্য জানতে পেরেছে৷ প্রায় আড়াই বছর ধরে ব্রিটেন, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, লাটভিয়া, মলদোভা, রুমেনিয়া ও সুইজারল্যান্ড-এর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে এই সাফল্য পেয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ৷ শুধু রুমেনিয়ায় ৫১টি সার্ভার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে৷ প্রায় আড়াইশো টেরাবাইট তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে৷

আরও জানা গেছে, যে কম্পিউটার মালিকেরাও তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য সবসময়ে যত্ন করে রাখেন না৷ তাদের অবহেলার সুযোগ নিয়ে থাকে এমন সব দুষ্টচক্র৷ হাজার-হাজার কিলোমিটার দূরে কম্পিউটারে বসে তারা দিব্যি সে সব তথ্য হাতিয়ে নয় ও তার অপব্যবহার করে৷

২০০৫ থেকে ২০১২ পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়েছে এই ‘গোজি' ভাইরাস৷ কম্পিউটারে প্রবেশ করলেও তাকে সনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব ছিল৷ প্রথমে গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে দেওয়া হয় এই ভাইরাস৷ তারপর ২০১০ সালে অ্যামেরিকায় পৌঁছয় সেটি৷ এর ফলে আর্থিক ক্ষতির সঠিক মাত্রা এখনো নির্ণয় করা না গেলেও বেশ কয়েক লক্ষ ডলারের কথা শোনা যাচ্ছে৷ 

এসবি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য