1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অনির্দিষ্টকালের জন্য সিঙ্গুর প্রকল্প বন্ধ করল টাটা গোষ্ঠী

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়২ সেপ্টেম্বর ২০০৮

সব জল্পনা-কল্পনা ও অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে টাটা শিল্প গোষ্ঠী মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, যে আপাতত সিঙ্গুরে …ন্যানো– গাড়ির কারখানা আপাতত হচ্ছে না৷

https://p.dw.com/p/FAFY
কৃষিজমি ফেরতের দাবিতে অটল থেকে মমতা কি শিল্পের মারাত্মক ক্ষতি করলেন?ছবি: AP

টাটাদের বক্তব্য, সিঙ্গুরে টাটার কর্মীদের নিরাপত্তার অভাব ঘটছে৷ সিঙ্গুরে কাজের অনুকূল পরিস্থিতি নেই৷ কর্মীদের জোর করে কাজে যোগ দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ গত ৫ দিনের ঘটনার দিকে নজর রেখে, সবকিছু বিচার করে মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে টাটা গোষ্ঠী জানিয়েছে, যে অনির্দিষ্টকালের জন্য সিঙ্গুর প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেল৷ অনুসারী শিল্পের কাজও হবে না, উত্‌পাদনের যে কাজ চলছিল - তাও বন্ধ থাকবে৷ উত্‌পাদনের জন্য যে যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছিল, সেসব অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে৷

ভারতের একাধিক রাজ্য টাটা গোষ্ঠীর ন্যানো গাড়ি কারখানার জন্য জমি সহ একাধিক সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব রেখেছে৷ টাটা মোটরস সেই সব প্রস্তাবও খতিয়ে দিচ্ছে৷ যেসব স্থানীয় কর্মী সিঙ্গুরের কারখানার জন্য প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন, তাদের চাকরি হারাবার ভয় নেই - তাদেরকে অন্যত্র কাজে নিয়োগ করা হবে৷

Tata Konzern Nano Auto Indien
টাটা ন্যানো: বাঙালীর গর্ব না হয়ে চলে যেতে পারে ভিন্ রাজ্যেছবি: AP

টাটা গোষ্ঠীর ভবিষ্যত্ কর্মপন্থা সম্পর্কে দুটি সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে৷ প্রথমত, এটাই হয়তো টাটা গোষ্ঠীর চরম হুমকি - অর্থাত্ পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হবে৷ এমন সতর্কবাণীর ফলে যদি পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হয়, সেক্ষেত্রে সিঙ্গুরেই অসমাপ্ত কাজ আবার শুরু করা যেতে পারে৷ দ্বিতীয় সম্ভাবনা রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ এই ধারণা যদি সঠিক হয়, সেক্ষেত্রে টাটা গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ন্যানো প্রকল্প সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে৷ এমনটা ঘটলে রাজ্যের শিল্প, বিনিয়োগ তথা ভাবমূর্তির মারাত্মক ক্ষতি অনিবার্য৷

টাটারা যাতে সিঙ্গুর ছেড়ে না চলে যায়, সেই লক্ষ্যে সব শিবিরেই মঙ্গলবার জোরালো তত্‌পরতা দেখা গেছে৷ শাসক বামফ্রন্ট জোটের এক বৈঠক বসেছে৷ রাজ্যপাল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ মমতা রাজিও হয়েছিলেন৷ বামফ্রন্টও রাজ্যপাল গোপাল কৃষ্ণ গান্ধীর ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছিল, তিনি যে পথে এগোচ্ছেন, সেই পথেই বর্তমান সঙ্কটের সমাধান সম্ভব৷ রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেছিলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেছিলেন৷ তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করেন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সুর নরম করেছিলেন৷ কিন্তু টাটা গোষ্ঠীর বিজ্ঞপ্তির ফলে পরিস্থিতি একেবারে অন্য এক মোড় নিল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য