1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হত্যার অভিযোগ

২০ ফেব্রুয়ারি ২০১২

কেরালার উপকূলে দুজন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে ইটালীয় ট্যাঙ্কারের দুই নিরাপত্তা কর্মীকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তোলা হয়৷ ইটালির বক্তব্য, মৎসজীবিদের জলদস্যু মনে করে গুলি চালানো হয়েছিল৷

https://p.dw.com/p/1465k
ফাইল ফটোছবি: AP

কূটনৈতিক টানাপোড়েন সত্ত্বেও কেরালার কোচি বন্দরে আটক তেলবাহী জাহাজ থেকে অভিযুক্ত দুজন নিরাপত্তা কর্মীকে চারদিন পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ আদালতে ছুটি থাকায় আজ বিকেলে তাঁদের স্থানীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বাসভবনে নিয়ে যায় পুলিশ৷ এই কথিত হত্যার প্রতিবাদে ম্যাজিস্ট্রেটের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় কিছু রাজনৈতিক কর্মী ও মৎস্যজীবীরা৷ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়৷ ম্যাজিস্ট্রেট রায় দেবেন, অভিযুক্তদের কার হেফাজতে রাখা হবে – পুলিশের নাকি বিচার বিভাগের৷ বিচার বিভাগের হেফাজতে হলে জেলে থাকতে হবে৷ পুলিশের হলে লক-আপে৷ তবে জামিন তারা আপাতত পাবেনা, কারণ এটি হত্যার মামলা৷

অভিযুক্তদের সঙ্গে ছিলেন জাহাজের ক্যাপ্টেন ও ইটালীয় কূটনীতিক৷ প্রথমে জাহাজের ক্যাপ্টেন তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দিতে নানা টালবাহানা করেন৷ বলেন, রোম থেকে কূটনীতিক ও আইনি বিশেষজ্ঞরা ভারতে না আসা পর্যন্ত পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার বা জেরা করতে পারবেনা৷

গতকাল ইটালীয় বিদেশ মন্ত্রক ও আইন বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের এক প্রতিনিধিদল দিল্লিতে এসে পৌঁছান৷ ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র বিভাগের আধিকারিকদের কাছে নাবিকদের ছেড়ে দেবার জন্য দরবার করেন৷ খাড়া করেন বিভিন্ন যুক্তি ৷ যেমন, জাহাজটি আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় ছিল৷ ইটালির বা আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হোক৷ ভারতীয় মৎসজীবিদের জলদস্যু মনে করা হয়েছিল৷ মৎস্যজীবীরা প্রথমে গুলি ছুঁড়েছিল ইত্যাদি৷ উল্লেখ্য,ঐ মাছধরা জলযানে কোনো অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া যায়নি৷ মৎস্যজীবীরা সবাই ছিল নিরস্ত্র৷ ঐ জলযানে ছিল আরো ৯জন মৎস্যজীবী, তারা অল্পের জন্য রক্ষা পায়৷

প্রাথমিক তদন্তের পর ভারত কড়া মনোভাব নেয়ায় ইটালীয় আধিকারিকদের কোন যুক্তিই ধোপে টেকেনি৷ ভারত বলেছে, ঘটনা ঘটেছে ভারতের জলসীমায়, তাই ভারতের আইনেই বিচার হবে তাঁদের৷ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ মলার তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে সমুদ্র বাণিজ্য বিভাগের অফিসারদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র বিশেষজ্ঞরা জাহাজে তল্লাশি চালায়৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন