1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গুলিতে নিহত মৎস্যজীবি

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২

কেরালার উপকূলে ইটালির একটি তেলবাহী জাহাজের গুলিতে দুজন ভারতীয় মৎসজীবীর মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয়েছে কূটনৈতিক বিতর্ক৷ জাহাজটিকে আটক করা হয়৷ নাবিকদের বিরুদ্ধে আনা হয় হত্যার অভিযোগ৷

https://p.dw.com/p/144mB
ছবি: REUTERS

গতকাল কেরালার উপকূলে ইটালির এক তেলবাহী ট্যাঙ্কার থেকে ভারতীয় ধীবরদের মাছ ধরা জলযানের ওপর গুলিবর্ষণে দুজন মৎসজীবীর মৃত্যুর ঘটনা নতুনদিল্লি ও রোমের মধ্যে এক কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের রূপ নিতে চলেছে৷ ইটালির রাষ্ট্রদূত জি.এস মন্টিফোর্তেকে পররাষ্ট্র দপ্তরে তলব কোরে ভারতের তীব্র ক্ষোভের কথা জানিয়ে, এই ঘটনার তদন্তে ইটালির সহযোগিতা চাওয়া হয়৷

ইটালির রাষ্ট্রদূত এই ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ ক'রে বলেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় আমরা কাজ করছি৷ ইটালির জাহাজটি নিজে থেকেই কোচি বন্দরে যায় যাতে জাহাজের ক্যাপ্টেন ও নাবিকরা তাঁদের বক্তব্য জানাতে পারে৷ তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা ঐ মাছ ধরার বোটখানাকে জলদস্যুদের বলে ভুল করেছিল৷

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ একথা মানতে নারাজ৷ ঐ নৌকার জীবিত অন্য ৯জন নাবিক বলেন, পূর্ব-সতর্কতা ছাড়াই তাঁদের ওপর গুলি চালানো হয়৷ জাহাজটি তখন ভারতীয় সমুদ্রসীমাতেই ছিল৷ উপকূল রক্ষী বাহিনীই জাহাজটিকে আটক ক'রে কোচি বন্দরে নিয়ে আসে৷ জাহাজের কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ হত্যার মামলা দায়ের করা হবে৷

অন্যদিকে, ইটালির অভিযোগ, ঐ জলযানের কথিত জলদস্যুরা প্রথমে গুলি ছুঁড়ে জাহাজে ওঠার চেষ্টা করলে তাঁদের প্রতিহত করতে তিনবার শূন্যে গুলি ছোঁড়া হয়৷ তবু তারা ক্ষান্ত না হওয়ায় জাহাজের বন্দুকধারীরা গুলি করে৷এই অভিযোগ নস্যাৎ ক'রে ভারতীয় নৌবাহিনীর ভাইস-অ্যাডমিরাল বলেন, পরীক্ষা কোরে দেখা গেছে জাহাজের গায়ে কোনো বুলেটের চিহ্ন নেই৷ দ্বিতীয়ত, মৎসজীবীরা ছিল নিরস্ত্র৷

প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে অ্যান্টনি বলেন, ব্যাপারটা খুবই গুরুতর৷ এই মুহূর্তে বেশি কিছু বলা সঙ্গত হবেনা৷ দেশের আইন নিজের পথেই চলবে৷

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে সম্প্রতি সোমালি জলদস্যুদের দৌরাত্ম যেভাবে বাড়ছিল তার মোকাবিলা করতে বাণিজ্যিক জাহাজে ইদানিং মোতায়েন করা হচ্ছে সশস্ত্র রক্ষী৷ বলাবাহল্য, সেটা আন্তর্জাতিক প্রোটোকল মেনেই , যেটা এক্ষেত্রে মানা হয়নি এমনটাই দাবি ভারতের৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক