1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের রাজনীতি

সঞ্জীব বর্মন৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায় বার বার বাধা সৃষ্টি করছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির৷ এই অবস্থায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের স্থান কী হওয়া উচিত? তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে কি পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে?

https://p.dw.com/p/17YZT
ছবি: REUTERS

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ডয়চে ভেলেকে এ বিষয়ে তাঁর মতামত জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি৷ বাংলাদেশ গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাবে সেটাই আমরা আশা করি৷ কিন্তু এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, যে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে সেই গণহত্যার সাথে যারা জড়িত, তাদের তো একটা স্বাধীন দেশে, গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না৷'' অতএব তাদের নিষিদ্ধ করার বিষয় নিয়েও ভাবনা চিন্তা করা যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন৷

‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি’

অধ্যাপক সিদ্দিক আরও বলেন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, বিচারকাজ চলছে, রায় ঘোষিত হচ্ছে৷ এই পর্যায়ে এসে দেখা যাচ্ছে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অচলাবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য এই জামায়েত-শিবির চক্র সারা দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে৷ এটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি মনে করেন৷ কোনো গণতান্ত্রিক দেশেই এই ধরণের তাণ্ডবলীলা চলতে পারে না৷ বিশেষ করে আইন-শৃঙ্খলার উপর যখন এ ধরণের আঘাত আসে, যে কোনো দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব তার বিরুদ্ধে সঠিক অবস্থান নেওয়া৷ সাধারণ মানুষের জীবন, সম্মান, মর্যাদা, সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের৷

অধ্যাপক সিদ্দিকের মতে, যারা এ দেশের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি বিরোধিতা করেছে, তাদের প্রতি কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থন থাকার কথা নয়৷ বাস্তবে তা নেইও৷ কিন্তু শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে হয়ত কখনো কখনো তারা সমর্থন পাচ্ছে৷ ২০০১ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত সে সময়ের বিএনপি সরকারের সাথে সরাসরি জামায়াতের নেতৃবৃন্দ যুক্ত ছিল৷ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ কখনোই এটিকে সহজভাবে গ্রহণ করেন নি, করতে পারে না বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য