1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএমএফ’এর পূর্বাভাষ

৯ অক্টোবর ২০১২

চলতি বছরে ভারতের আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার ৬.১ শতাংশ থেকে কমে ৪.৯ শতাংশ হবার পূর্বাভাষ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল৷ এই অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে আজ নতুন দিল্লিতে বসে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক৷

https://p.dw.com/p/16Mpw
ছবি: Shaikh Azizur Rahman

খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ, জ্বালানির ওপর ভর্তুকি প্রত্যাহার করার মত সাম্প্রতিক গুচ্ছ আর্থিক সংস্কার সত্ত্বেও চলতে বছরে ভারতের আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার ৬.১ শতাংশ থেকে কমে হবে ৪.৯ শতাংশ৷ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রকাশিত বিশ্ব অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ শীর্ষক রিপোর্টে এই পূর্বাভাষ দেয়া হয়৷ তবে আগামী বছরে হতে পারে ৬ শতাংশ৷

এর জন্য দায়ী করা হয় লাল ফিতার বাঁধন, বাণিজ্যিক উদ্যোগের অভাব, কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ঘাটতি এবং টাকার অবমূল্যায়ন৷ মুদ্রাস্ফীতি নিম্নমুখী করতে বর্তমান মুদ্রানীতি অপরিবর্তিত রাখা দরকার৷ বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির হার ভারতে ৮ শতাংশ৷ আইএমএফ বলেছে, বিশ্বের আর্থিক প্রবৃদ্ধির গতিও মন্থর৷ ইউরোপ এবং আমেরিকার নীতি নির্ধারকদের সতর্ক করে দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাঁরা যদি তাঁদের আর্থিক খামতি দূর করতে না পারে, তাহলে এই মন্থরতা আরো ব্যাপক হবে৷

G20 Gipfel Mexiko Timothy Geithner USA
মার্কিন অর্থমন্ত্রী টিমোথি গাইটনারও বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিতছবি: AP

দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে না পারলে এই অনিশ্চয়তা থেকেই যাবে৷ এই প্রসঙ্গে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. মধুসূদন দত্ত মনে করেন, অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রাজনীতির প্রবেশ এর অন্যতম কারণ৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বললেন, রাজনৈতিক দল এবং অঙ্গরাজ্য কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের পথে নেমেছে৷ তার ফলে তৈরি হয়েছে লাল ফিতার বাঁধন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব৷ সেটা সব থেকে প্রকট জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে৷ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বহু অভিযোগ উঠেছে৷ তাতেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে ঠেকেছে৷

ড. দত্তের মতে, ভারতের আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার কম হবার আরেকটা কারণ, ইউরোপে যে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তাতে ভারতের পরিষেবা রপ্তানি সঙ্কুচিত হয়ে পড়েছে৷

এরই আবহে আজ নতুন দিল্লিতে বসে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রীদের বৈঠক৷ বৈঠক শেষে মার্কিন অর্থমন্ত্রী টিমোথি গাইটনার সাংবাদিকদের বলেন, দু'দেশের তথা বিশ্বের অর্থনীতিতে যে সংকট চলছে, তাতে বিনিয়োগের প্রতিবন্ধকতা কম করে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে৷ তাতে সহযোগিতা করতে চায় মার্কিন বিনিয়োগকারীরা৷ অর্থমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম প্রাতিষ্ঠানিক, বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক স্তরে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার কথা বলেন৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য