1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাহসী পদক্ষেপের বার্তা

২৮ জুন ২০১২

প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং ভারতের হতাশাব্যঞ্জক অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বললেন৷ অন্যদিকে, আফগানিস্তানে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়াতে নতুন দিল্লিতে শুরু হলো এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন৷

https://p.dw.com/p/15NV2
ছবি: AP

প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এমন একটা সময়ে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন, যখন দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা৷ সেটা কাটিয়ে ভারতের আর্থিক অবস্থাকে যাতে চাঙ্গা করা যায়, তারজন্য অর্থমন্ত্রকের কর্তাব্যক্তিদের বৈঠকে তিনি কিছু সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেন৷ যেমন, প্রথমে দেশের ও বিদেশের বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা, টাকার অবমূল্যায়ন রোধ করা, আমদানি-রপ্তানির ফারাক কমিয়ে আনা, দেশের কর ব্যবস্থার সংশোধন করা এবং সর্বোপরি দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার বাড়ানো৷

এসব বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী তাঁর অর্থনৈতিক ‘টিম' নতুন করে সাজিয়েছেন৷ মনে করা হচ্ছে, আগামী ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে এই সব সাহসী পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়িত করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি৷

প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সংস্কারের মধ্যে আছে শিল্পক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে কিছু সঞ্জীবনী এবং বিমা, খুচরো ব্যবসা, বিমান পরিষেবায় বিদেশি বিনিয়োগ৷ এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে একটা প্রত্যাশা৷ যার প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারে৷

অন্যদিকে, নতুন দিল্লিতে বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে ‘কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ' আয়োজিত আফগানিস্তানে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন৷ যাতে অংশ নিয়েছে জার্মানিসহ ৩৫টি দেশের ৭০টিরও বেশি সরকারি-বেসরকারি কোম্পানি৷ যোগ দিয়েছে ভারত, আফগানিস্তান, বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের প্রায় ২০০ প্রতিনিধি৷

সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. এম কৃষ্ণা এবং আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জালমে রসুল৷ কৃষ্ণা ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের প্রয়াস অব্যাহত থাকার কথা বলেন৷ সেই লক্ষ্যে তিনি দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের যোগ দেবার আহ্বানও জানান৷ বলেন, বিনিয়োগের মাধ্যমে আফগানিস্তানের পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থান বাড়বে৷ আফগানিস্তানের খনিজ সম্পদ, কৃষি পণ্য ও মানব সম্পদ শুধু আফগানিস্তানের নয়, বরং গোটা অঞ্চলের ভবিষ্যত প্রগতির পথ সুরক্ষিত রাখবে বলেই মনে করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষ্ণা৷

ভারতে এই প্রথম অন্য একটি দেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলন প্রমাণ করলো যে ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের বন্ধন কতটা মজবুত৷

নতুন দিল্লির এই সম্মেলন আগামী ৮ই জুলাই টোকিও শীর্ষ সম্মেলনের পূর্ব প্রস্তুতি৷ ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী চলে যাবার পর, আফগানিস্তানের উন্নয়নে অর্থ সংগ্রহ করাই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য