1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাঠগড়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

৭ জুন ২০১২

গত সংসদীয় নির্বাচনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম ভোটে কারচুপি করেছিলেন – এই অভিযোগে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আদালতে যে মামলা দায়ের করেছিলেন, মাদ্রাজ হাইকোর্ট আজ সেই মামলা খারিজ করতে অস্বীকার করে৷

https://p.dw.com/p/15A4x
Der indische Innenminister P. Chidambaram bei einer Pressekonferenz am 1.10.2010 in Neu Delhi.
ছবি: UNI

২০০৯ সালের মে মাসে সংসদীয় নির্বাচনে তামিলনাড়ুর শিবগঙ্গা আসনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম জিতেছিলেন মাত্র ৩,৩৫৪ ভোটে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তামিলনাড়ুর বর্তমান শাসকদল এআইএডিএমকে দলের রাজা কান্নাপ্পনকে পরাজিত করে৷

ভোটে কারচুপি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি অর্থ বিতরণ এবং সেই কাজে ব্যাংক অফিসারদের কাজে লাগানো ইত্যাদি অভিযোগে চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে ২৯টি মামলা দায়ের করেন কান্নাপ্পন৷

মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ আজ দুটি অভিযোগ খারিজ করলেও নির্বাচনী মামলা খারিজ করেননি এবং চিদাম্বরমকে বিচারের কাঠগোড়ায় দাঁড়াতে হবে বলে রায় দেন৷

এই রায়ের প্রেক্ষিতে বিজেপি সভাপতি নীতিন গডকড়ি অবিলম্বে তাঁর ইস্তফা দাবি করে সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, টু-জি স্পেকট্রাম বণ্টন দুর্নীতিতেও চিদাম্বরমের জড়িত থাকার বহু প্রমাণ দেয়া হয়, তবু সরকার তাঁকে আড়াল করে যাচ্ছে৷ এই অবস্থায় তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই৷

সরকার ও দলের পক্ষে পাল্টা জবাব দেন আইনমন্ত্রী সলমন খুর্শীদ৷ বলেন, ‘‘বিচার বলতে আমরা বুঝি ফৌজদারি মামলা৷ কিন্তু এটা নির্বাচনী মামলা৷ দুটো এক জিনিষ নয়৷'' একই কথা কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং-এর মুখে৷ যেহেতু এটা নির্বাচনী মামলা, তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই৷ তাই ইস্তফা দেবার প্রশ্ন ওঠেনা৷

অন্যদিকে ভারতের রাজনৈতিক দলগুলি স্বস্তিতে নেই৷ বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল এখন নগ্ন চেহারা নিয়েছে৷ চাপানউতোর, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতি থেকে দলীয় নেতার বিরুদ্ধে পোস্টার পর্যন্ত পড়েছে৷ গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী তথা ওজনদার বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদীর চাপে বিজেপির কর্মসমিতি থেকে ইস্তফা দিতে হয় সঞ্জয় যোশীকে৷ তাই নিয়ে বর্ষীয়ান নেতা এল কে আডবানির ঊষ্মা৷ ফায়ার ফাইটিং করতে নেমেছে বিজেপির নীতি নির্ধারক আরএসএস৷ একদিকে দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ, অন্যদিকে দুই গোষ্ঠীর কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে নষ্ট হচ্ছে দলের ভাবমূর্তি৷

কংগ্রেসের অবস্থাও তথৈবচ৷ একের পর এক কেলেঙ্কারির ঘটনা, বেলাগাম দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং তার ওপর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব৷ কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে৷ সোনিয়া গান্ধীকে দলের শুদ্ধিকরণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ২০১৪ সালের নির্বাচনের জন্য দলের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে হবে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য