1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন ইনিংস

৪ জুন ২০১২

দেশের প্রথম সক্রিয় ক্রিকেটব্যক্তিত্ব হিসেবে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে আজ শপথ নিলেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন রমেশ তেন্ডুলকার৷

https://p.dw.com/p/157dJ
ছবি: AP

গত ২৭শে এপ্রিল রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে সচিনকে মনোনীত করার পর কিছু বিতর্ক দানা বেঁধেছিল৷ আজ তার অবসান হলো৷

দেশে-বিদেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তী সচিন তেন্ডুলকার আজ সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার মনোনীত সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন সকাল ১১টায়৷ শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারি৷ পাশে ছিলেন বিসিসিআই-এর সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা, প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ভি.নারায়নস্বামী, সচিনের পত্নি অঞ্জলি এবং অন্যান্যরা৷ শুভেচ্ছা জানান ভারতের ক্রিকেট অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দ৷

শপথ নেবার পর, রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সচিন তেন্ডুলকর সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ২২ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আছি৷ ক্রিকেট আমাকে জীবনে অনেক কিছু দিয়েছে৷ তাই পরবর্তী জীবনে আমিও ক্রিকেটকে কিছু দিতে চাই৷

রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে শুধু ক্রিকেট নয়, দেশের অন্যান্য স্পোর্টসের জন্য নতুন কিছু করার মত এখন ভালো অবস্থায় আছি আমি৷ হয়ত সামনে কিছু বাধাবিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ আসতে পারে৷ তা অতিক্রম করতে আমি অন্য সাংসদ, প্রশাসন, মিডিয়া ও দেশবাসির সাহায্য চাই, বলেন ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব সচিন তেন্ডুলকার৷

ক্রিকেট খেলে সাংসদ হিসেবে কতটুকু সময় দিতে পারবেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে সচিন তেন্ডুলকর বলেন, আজ আমি যা তা ক্রিকেটের জন্যই৷ কাজেই ক্রিকেট ছাড়া আমার পক্ষে বাঁচা সম্ভব নয়৷ ক্রিকেটে সময় দেবার পরই আমি সাংসদ হিসেবে কাজ করবো৷ কারণ রাজ্যসভার সদস্য হবার জন্য আমাকে কারো কাছে যেতে হয়নি৷ রাষ্ট্রপতি স্বেচ্ছায় এই সম্মান দিয়েছেন৷

গত ২৭শে এপ্রিল সচিন রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হবার পর কিছু বিতর্ক উঠেছিল৷ কেউ কেউ এতে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছিলেন৷ প্রধান বিরোধী বিজেপির এক সদস্য মন্তব্য করেছিলেন, সচিনের স্বরাজ্য মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের ভিত মজবুত করতেই এই মনোনয়ন৷

সচিনের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যে আছে টেস্ট ও একদিনের ম্যাচে সর্বোচ্চ রান৷ দুমাস আগে ১০০টি শতরানের দুর্লভ কৃতিত্ব৷ খেলেছেন ৫১টি টেস্টে ও ৪৯টি একদিনের ম্যাচ৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য