1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাইজেরিয়ার বোকো হারাম

৩১ জুলাই ২০০৯

কয়েকদিনের সংঘাতে একশ ৮০ জনেরও বেশি মৃত্যুর পর নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী চরমপন্থী ইসলামী গোষ্ঠী বোকো হারাম এর সঙ্গে সংঘর্ষ চলেছে৷

https://p.dw.com/p/J1Ak
ছবি: AP

হাতে বানানো বন্দুক, দা-ছুরি, পেট্রোল বোমা নিয়ে বোকো হারামের সদস্যরা থানা, সরকারি ভবন ও আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে৷ একটি থানায় আক্রমণের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে গোষ্ঠীটির কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর গত রবিবার সহিংসতার সূত্রপাত হয়৷ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে অন্তত চারটি প্রদেশে৷

বোকো হারাম গোষ্ঠীটিকে অনেকেই নাইজেরিয়ার তালেবান বলে ডাকে৷ গোষ্ঠীর নেতা নিহত মোহাম্মদ ইউসুফ নিজেকে ইসলামী পণ্ডিত দাবি করতেন৷ তিনি পশ্চিমা শিক্ষার ঘোরতর বিরোধী এবং নাইজেরিয়ার সর্বত্র শরিয়া আইন প্রবর্তনের আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন৷

উত্তর পূর্বের বর্নো প্রদেশের রাজধানী মেইদুগুরি ভিত্তিক ইউসুফের অনুসারীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরি ছেড়ে আসা শিক্ষক থেকে শুরু করে অশিক্ষিত ও বেকার তরুণও রয়েছে৷ উত্তর নাইজেরিয়ার কথ্য ভাষা হাউসায় দেয়া নাম বোকো হারাম এর অর্থ পশ্চিমা শিক্ষা পাপ৷ এবং এটিই এ গোষ্ঠীর মূল ভাবাদর্শ৷ কেবলমাত্র এই দলে যোগ দিতেই অনেকে বিশ্বিদ্যালয়ের শিক্ষকতার চাকুরি ছেড়ে দিয়েছেন৷

মধ্য তিরিশের ইউসুফের বেশ ভালোই ব্যক্তিগত সম্পত্তি ছিল৷ নিজেও তিনি পশ্চিমা ধারার শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন৷ তবে তাঁর অনুসারীরা এও বলে থাকেন যে, তিনি ইরানেও পড়াশুনা করেছেন৷ বকো হারাম এর সদস্যরা অন্যান্য মুসলিমদের থেকে আলাদা মসজিদে নামাজ পড়েন৷ লম্বা দাড়ি রাখেন সবাই৷ মাথায় কালো কিংবা লাল রংয়ের রুমাল পরেন৷ এর সদস্যরা পশ্চিমে নির্মিত পণ্য ব্যবহার করেন না৷ স্বামী ছাড়া অন্য কোনা পুরুষের সামনে স্ত্রীদের যাওয়া অনুচিত মনে করেন তারা৷ আর যারাই তাদের কট্টর ভাবাদর্শ মানবে না-সে মুসলিমই হোক আর খ্রিস্টানই হোক, তাদেরকে অবিশ্বাসী বলে বিবেচনা করে বোকো হারাম৷

সম্ভাব্য বিপজ্জনক গোষ্ঠী হিসেবে বহু বছর ধরেই তারা নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি তালিকায় ছিল বলে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন৷

আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে খ্রিস্টান, মুসলমান ও দুইশরও বেশি জাতিসত্ত্বার বাস৷ ১৯৬৭ থেকে ১৯৭০ সালে গৃহযুদ্ধে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু ছাড়া জাতিগত দাঙ্গার বড় কোনো নিকট ইতিহাস নেই৷ তবে ২০০০ সালে দেশটির ৩৬টি প্রদেশের ১২টিতে শরিয়া আইন চালুর পর দাঙ্গায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়৷

প্রতিবেদক: নাসিরুদ্দিন খোকন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক