বোকো হারাম অনুসারীদের খুঁজতে জোর অভিযান
৩১ জুলাই ২০০৯বোকো হারাম গোষ্ঠীর নেতা ইউসুফকে আটকাবস্থায় মেরে ফেলায় পুলিশের বিরুদ্ধে আইন অমান্য করার অভিযোগ এনে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সে দেশের এক মানবাধিকার সংগঠন৷
জঙ্গি নেতা মোহাম্মদ ইউসুফ মারা যাওয়ার পর শুক্রবার নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তার অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে৷ ইসলামি জঙ্গি দল বোকো হারামের শীর্ষ নেতা ইউসুফ উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাইদুগুরির পুলিশ সদর দপ্তরে আটক অবস্থায় মারা যান৷ ঊর্ধতন এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আটক অবস্থা থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়৷ তবে আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ইউসুফ ক্ষমা চাওয়ার পরও তাকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছে৷ ওদিকে নাইজেরিয়ার এক মানবাধিকার সংগঠন আটকাবস্থায় জঙ্গি নেতাকে মেরে ফেলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এ ঘটনায় পুলিশ আইন অমান্য করেছে৷ তবে এক পুলিশ কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, ইউসুফকে এভাবে হত্যা করাই ঠিক, কেননা, তা না হলে আইনের ফাঁক গলিয়ে তিনি আবার বেরিয়ে যেতেন৷ উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখা, আইন না মেনে জনসমাবেশ করা এবং দেশের শান্তি বিনষ্ট করার অভিযোগে ৩৯ বছর বয়সী ইউসুফ এর আগেও কমপক্ষে দুবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন৷ দুবারই তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে যান৷
আফগানিস্তানের জঙ্গি সংগঠন তালেবানের আদলে গড়া বোকো হারামকে প্রতিহত করতে পুলিশকে যে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে রেখেছিলেন নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট উমারু ইয়ার'আদুয়া৷এ মুহূর্তে ব্রাজিল সফররত ইয়ার'আদুয়া দেশের সব ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান, তাঁরা যেন জুমার নামাজের প্রার্থনার সময় সবাইকে জঙ্গি দল সম্পর্কে সতর্ক করে দেন৷
গত কিছুদিন ধরেই বোকো হারাম সমর্থকরা দা, ছুরি, ঘরে তৈরি রাইফেল আর পেট্রোল বোমা নিয়ে নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি প্রদেশে গির্জা, পুলিশ স্টেশন, কারাগার এবং বিভিন্ন সরকারি ভবনে হামলা চালিয়ে আসছে৷ গত রোববার থানায় বোমা হামলার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে বাউচি প্রদেশ থেকে সন্দেহভাজন বোকো হারাম সদস্যদের গ্রেপ্তার করার পর প্রদেশগুলোতে আরো সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে৷
শুক্রবার সেনাবাহিনী এবং পুলিশ মাইদুগুরির ঘরে ঘরে বোকো হারাম সদস্যদের খুঁজে বের করার জন্য তল্লাসি চালায়৷ রোববারের পর থেকে পুলিশের হামলায় কয়েকশ বোকো হারাম সমর্থক মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
প্রতিবেদক: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক