1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জি-টোয়েন্টি সম্মেলন জুড়ে গ্রিস ও ইউরো সংকট

৪ নভেম্বর ২০১১

ফ্রান্সের কান শহরে এবারের জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনের প্রায় পুরোটা জুড়েই প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল গ্রিসকে ঘিরে ইউরো এলাকার সংকট৷ তবে শেষ দিনে অন্য কিছু বিষয়ও গুরুত্ব পেয়েছে৷

https://p.dw.com/p/135BL
European Commission President Jose Manuel Barroso speaks during a media conference at a G20 summit in Cannes, France on Friday, Nov. 4, 2011. Leaders from within troubled Europe and far beyond are working Friday on ways the International Monetary Fund could do more to calm Europe's debt crisis. (AP Photo/Markus Schreiber)
সুখবর শোনানোর আশায় ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট বারোসোছবি: dapd

গ্রিসকে নিয়ে মাথাব্যথা

ইউরোপীয় ইউনিয়ন কয়েক দিন আগেই যে আর্থিক কর্মসূচি স্থির করেছিল, তা সরাসরি গ্রহণ করলে এই মুহূর্তে গ্রিসকে ঘিরে এত উত্তেজনা দেখা যেত না৷ কিন্তু জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের ঠিক আগে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী পাপান্দ্রেউ এই সাহায্য গ্রহণের প্রশ্নে আচমকা গণভোটের ঘোষণা করে বসলেন৷ তারপর চাপের মুখে পড়ে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারও করে নিলেন৷ ফলে নতুন করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হলো৷ সম্মেলনে এমনকি ইউরো এলাকা থেকে গ্রিসকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে৷ অভ্যন্তরীণ রাজনীতি যে দিকেই অগ্রসর হোক না কেন, এবার গ্রিসকে স্পষ্ট ভাষায় জানাতে হবে, সেদেশ সব শর্ত পূরণ করে আর্থিক সাহায্য গ্রহণ করবে কি না৷

President Barack Obama stands during a family photo at the G20 Summit in Cannes, France, Thursday, Nov. 3, 2011. Bottom row, from left are: President Teodoro Obiang Nguema Mbasogo of Equatorial Guinea; Brazil President Dilma Rousseff; Russian President Dmitry Medvedev; Argentina President Cristina Fernandez; Chinese President Hu Jintao; French President Nicolas Sarkozy; President Barack Obama; Indonesian President Susilo Bambang Yudhoyono; Mexico President Felipe Calderon; South Korean President Lee Myung-bak; South Africa President Jacob Zuma. Middle row, from left are: European Commission President Jose Manuel Barroso; European Council President Herman Van Rompuy; Prime Minister Julia Gillard of Australia; Prime Minister Silvio Berlusconi of Italy; German Chancellor Angela Merkel; Prime Minister Recep Tayyip Erdogan of Turkey; Indian Prime Minister Manmohan Singh; Canada Prime Minister Stephen Harper; British Prime Minister David Cameron; Japanese Prime Minister Yoshihiko Noda. World Trade Organization Director General Pascal Lamy; World Bank Group President Robert Zoellick; President Khalifa bin Zayed Al Nahyan of the United Arab Emirates; Prime Minister Jose Luis Rodriguez Zapatero of Spain; Prime Minister Meles Zenawi of Ethiopia; Singaporean Prime Minister Lee Hsien Loong; United Nations Secretary General Ban Ki-moon; Internatinal Monetary Fund Managing Director Christine Lagarde; International Labor Organization Director-General Juan Somavia; OECD Secretary General Jose Angel Gurria. (Foto:Charles Dharapak/AP/dapd)
জি-টোয়েন্টি নেতাদের গ্রুপ ফটোছবি: picture-alliance/dpa

ইউরো এলাকার সামগ্রিক অবস্থা

গ্রিস ছাড়াও ইউরো এলাকার আরও সমস্যা রয়েছে৷ ইটালির অবস্থা গ্রিসের থেকে আরও অনেক খারাপ হতে পারে৷ একই সংকটের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে বিশ্ব নেতারা ইউরোপকে ইটালির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছেন৷ এর ফলে ইটালিকে কার্যত তার সার্বভৌমত্ব আংশিকভাবে হারিয়ে বাজেট সংস্কার থেকে শুরু করে বাইরে থেকে চাপানো অনেক কড়া নিয়ম ও নজরদারি মেনে নিতে হবে৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি ও জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সহ বাকি নেতারাও গ্রিস ও ইটালিকে কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত নন৷ মোটকথা, ইউরোপে অভূতপূর্ব কড়া অবস্থান দেখা যাচ্ছে৷ নিয়ম না মানলে ইউরো এলাকা তথা ইইউ থেকে বহিষ্কারের হুমকিও শোনা যাচ্ছে৷

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

ইউরো এলাকা এবারের সম্মেলনকে কার্যত ‘হাইজ্যাক' করে নিয়েছে, এমন অভিযোগ চারিদিকে শোনা যাচ্ছে৷ অথচ ধরে নেওয়া হয়েছিল, বড় আকারের বহুজাতিক ব্যাংক ও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির বেপরোয়া আচরণ বন্ধ করতে শীর্ষ নেতারা কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা করবেন৷ উদ্দেশ্য, ব্যাংকগুলি নিজেরা সংকট ঘটিয়ে সরকারের কাছে যাতে আর হাত পাততে না পারে, সেই লক্ষ্যে তাদের যথেষ্ট বড় অঙ্কের মূলধন সরিয়ে রাখতে বাধ্য করা, বিশ্বজুড়ে আর্থিক লেনদেনের উপর কর চাপানো ইত্যাদি৷ তাছাড়া ভবিষ্যতে কোনো সংকটের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল বা আইএমএফ'এর আরও বড় ভূমিকার দাবিও উঠেছে, তহবিলের আর্থিক অঙ্ক বাড়ানোর কথাও চলছে৷ করদাতারা কর ফাঁকি দিয়ে এতদিন যেসব দেশে নিজেদের অর্থ গচ্ছিত রাখার সুযোগ পেত, তাদের উপরও প্রবল চাপ সৃষ্টি করা হবে, বলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সার্কোজি৷ তবে নীতিগতভাবে এই সব উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার কথা মেনে নিলেও এবারের সম্মেলনেও কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ দেখা গেল না৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য