1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি মালিতে সক্রিয়

আলেক্সান্ডার ড্রেক্সেল / এসি২ মার্চ ২০১৩

জার্মান সংসদ সদ্য মালিতে ৩৩০ জন অবধি সৈন্য পাঠানো এবং ফরাসি বিমানগুলিতে আকাশে তেল ভরায় সাহায্য করার সনদ অনুমোদন করেছে৷ কিন্তু বিগত সাত বছর ধরেই জার্মানি মালিতে একটি প্রযুক্তিগত সৈন্যগোষ্ঠী গড়ে তোলার কাজে ব্যস্ত৷

https://p.dw.com/p/17ou7
ছবি: picture-alliance/dpa

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির উত্তরাঞ্চল ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের হাতে ছিল৷ তবে তারা দক্ষিণে অগ্রসর হবার চেষ্টা করলে পর তখনই বামাকো সরকারের আবেদনে প্রথম কান পাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়৷ বিশেষ করে প্রাক্তন ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স উত্তরের বিদ্রোহীদের বিতাড়নে মালির সামরিক বাহিনীর পাশে এসে দাঁড়ায়৷

অপরদিকে মালির ঘটনাবলিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বার্থ জড়িত এই কারণে যে, সাহারার দক্ষিণে ইসলামপন্থি, উগ্রপন্থি, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য এতো বড় একটা এলাকা ছেড়ে দেওয়া চলে না৷ জার্মানির পক্ষেও নিষ্ক্রিয় থাকা অসম্ভব হয়ে ওঠে এই কারণে যে, ফ্রান্স জার্মানির ঘনিষ্ঠ মিত্র ও ইউরোপীয় সহযোগী৷ দ্বিতীয়ত, সাব-সাহারান অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে জার্মানির স্বার্থ কিংবা আগ্রহ, দু'টোর কোনোটাই কম হবার কথা নয়৷

Screenshot Pioner von der malischen Armee
বুন্ডেসভেয়ার গত সাত বছর ধরে মালির সেনাবাহিনীকে সাহায্য করে আসছেছবি: Bundeswehr

ফরাসি সৈন্যরা মালি ছাড়বে, একোওয়াস'এর সৈন্যরা তাদের জায়গা নেবে, এই হল পরিকল্পনা৷ একোওয়াস হল পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলির অর্থনৈতিক জোট, কিন্তু তাদের রাজনৈতিক, এমনকি সামরিক ভূমিকা বহুদিন ধরেই স্বীকৃত৷ একোওয়াস ও মালির সৈন্যদের যদি ইসলামপন্থি বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করতে হয়, তবে তাদের সর্বাগ্রে প্রয়োজন প্রশিক্ষণের, বিশেষ করে মালির সৈন্যদের৷ সেই জন্যই জার্মান সামরিক বাহিনী ‘বুন্ডেসভেয়ার' প্রশিক্ষক পাঠাবে৷

অথচ বুন্ডেসভেয়ার গত সাত বছর ধরে মালির সেনাবাহিনীকে সাহায্য করে আসছে৷ বুন্ডেসভেয়ার'এর একটি উপদেষ্টা দল মালির সেনাবাহিনীর একটি পাইওনিয়ার কম্পানি গড়ে তুলতে সাহায্য করছে৷ পাইওনিয়ার সৈন্যদের কাজ হল সেতু তৈরি করা, পরিখা খনন করা, মাইন বোমা বসানো কিংবা সারানো ইত্যাদি৷ এবং এই পাইওনিয়ার রেজিমেন্ট এবার মালিতে একোওয়াস অভিযানের অংশ হবে৷ এছাড়া জার্মান সেনাবাহিনী নাকি মালিতে নির্মাণকার্য ও মেকানিক, এই দু'টি পেশার জন্য একটি পেশাগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বানিয়েছে বলে ডয়চে ভেলে'কে জানিয়েছেন এক সংশ্লিষ্ট জার্মান সৈন্য৷

সৈন্য নন, তিনি জার্মান সেনাবাহিনীর অফিসার, যিনি গোড়া থেকেই মালিতে জার্মান সেনাবাহিনীর উপদেষ্টা গোষ্ঠীর দায়িত্বে৷ গোষ্ঠীতে চিরকালই সাতজন করে সৈন্য থেকেছে, ২০০৫ থেকে ২০১২ সালের এপ্রিল অবধি৷ চলতি ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তিনি আবার মালির রাজধানীতে বামাকোতে নিযুক্ত রয়েছেন, এবং ঠিক আগের কাজই আবার শুরু করেছেন, বলে ডয়চে ভেলে'কে জানান জার্মান সেনাবাহিনীর ঐ অফিসার৷

২০০৫ সালে তিনি যখন প্রথম মালিতে যান, তখন মালির সৈন্যদের সে ধরনের দক্ষতা ছিল না৷ যন্ত্রপাতি, সাজসরঞ্জামও বিশেষ কিছু ছিল বলে অফিসারটি মনে করতে পারেন না৷ কিন্তু জার্মান সৈন্যদের আসার ফলে এবং জার্মান সেনাবাহিনীর প্রচুর পুরনো সাজসরঞ্জাম দেওয়ার ফলে মালির পাইওনিয়ার রেজিমেন্টটি ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে৷

জার্মান সেনাবাহিনী মালির সামরিক বাহিনীকে ২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে তিন মিলিয়ন ইউরোর বেশি যন্ত্রপাতি ও সাজসরঞ্জাম দিয়েছে৷ তার মধ্যে আছে ডজন-ডজন ট্রাক, সেতু তৈরির মালমশলা, মোটরবোট, আর্থমুভার, তাঁবু ইত্যাদি৷ ২০১২ সালে আরো বেশি মালপত্র দেওয়া হয়৷ সব মিলিয়ে ২০০৫ সাল থেকে ২০১১ সাল অবধি মালিতে জার্মান সেনাবাহিনীর কর্মসূচির জন্য খরচ হয়েছে ৩৭ মিলিয়ন ইউরো৷

এবার মালিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে প্রায় ৪০ জন জার্মান সৈন্য আগের মতোই পাইওনিয়ার প্রশিক্ষণের কাজে ব্যস্ত থাকবেন৷ সবচেয়ে বড় কথা, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শেষ হবার পরেও উত্তর মালিতে রাস্তাঘাট ও সেতু মেরামত করার যথেষ্ট কাজ বাকি থাকবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য