1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন সেনাবাহিনীতে নারী

ক্রিস্টিনা ব্যার্গমান / এআই৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

ফার্স্ট ক্লাস সার্জেন্ট বেটিনা ওয়ার্ডল্য৷ ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন বাহিনীতে কাজ করেছেন৷ সেখানে তিনি গোলাগুলির মধ্যে পড়েছিলেন এবং নিজেকে বাঁচাতে পাল্টা গুলিও চালিয়েছেন৷ ওয়ার্ডল্য মনে করেন, নারীরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত৷

https://p.dw.com/p/17XvY
ছবি: DW/C. Bergmann

‘‘আমাদের পুরুষের মতো একই কাজ করতে হতো – একইভাবে অগ্রসর হতাম, একই ওজনের ব্যাকপ্যাক ব্যবহার করতাম’’, দক্ষিণ ক্যারোলিনাতে মার্কিন বাহিনীর প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে একথা বলছিলেন সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস বেটিনা ওয়ার্ডল্য৷ এই প্রশিক্ষণে পুরুষ সেনাদের মতো তাঁকেও পুরোদস্তুর সামরিক পোশাক এবং ভারি অস্ত্রশস্ত্রসহ নিয়মিত ১৫ কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়েছে৷ ওয়ার্ডল্য জানান, এই কাজ মোটেই সহজ নয়৷ তবুও তিনি তা করতে পেরেছেন৷

মার্কিন সামরিক বাহিনীতে নিত্যদিনের কাজের জন্য ওয়ার্ডল্য-এর মতো আরো অনেক নারী রয়েছেন৷ তবে যুদ্ধ সেনা হিসেবে বহুদিন তাদের কাজ করার অনুমতি ছিল না৷ এখন সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে৷ এই নিয়ে অবশ্য সেনাবাহিনীসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মহলে বিতর্ক চলছে৷

USA Hauptfeldwebel Bettina Wordlaw
পুরুষদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চান বেটিনাছবি: Bettina Wordlaw

অনেকে এটা ভেবে খুশি যে, সামরিক বাহিনীতে এখন পুরুষের মতোই সমান অধিকার ভোগ করবে নারী৷ কিন্তু কেউ কেউ সন্দেহপ্রবণ৷ নারী সেনারা সঠিক সময়ে সঠিক দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে কিনা কিংবা যুদ্ধের ময়দানে তাদের কারণে সামরিক বাহিনীর দুর্বল হয়ে পড়বে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ৷

ওয়ার্ডল্য অবশ্য এই সন্দেহ আমলে নিতে রাজি নন৷ বরং তিনি বললেন, ‘‘আমি এ ধরনের বক্তব্য বিশ্বাস করি না৷ আমি মনে করি, অনেক নারী পুরুষের চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে৷’’

১৯৮৭ সালে দু’সন্তানের মা ওয়ার্ডল্য এক মার্কিন সেনার স্ত্রী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন৷ তার দশ বছর পর জার্মান এই নারী মার্কিন নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন৷ সেসময় এক সামরিক মহড়া দেখে মুগ্ধ হন তিনি এবং তখন সেনাবাহিনীতে কাজের সুপ্ত বাসনা তাঁর মনে উঁকি দেয়৷ ওয়ার্ডল্য এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমার কাছে বিষয়টি অত্যন্ত চমকপ্রদ মনে হয়েছিল৷ সেনারা সামরিক পোশাক পরিহিত অবস্থায় পতাকা নিয়ে একই তালে এগিয়ে আসছিলেন এবং তাদেরকে দেখে অনেক গর্বিত মনে হচ্ছিল৷’’

USA Hauptfeldwebel Bettina Wordlaw
‘অনেক নারী পুরুষের চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে’ছবি: Bettina Wordlaw

এরপর মার্কিন সেনাবাহিনীর ‘রিজার্ভ’ বিভাগে যোগ দেন ওয়ার্ডল্য৷ ২০০১ সালের ৮ মার্চ তাকে সেনাবাহিনীর সাধারণ প্রশিক্ষণে পাঠানো হয়৷ সেই প্রশিক্ষণ বেশ আগ্রহ নিয়ে করেন তিনি৷ সেসময় তাঁকে গ্রেনেড ছুঁড়তে দেওয়া হয়েছিল, পেয়েছিলেন গুলি করার সুযোগ, পতাকা বহনের অনুভূতি৷

সাধারণ প্রশিক্ষণের পর ট্যাংকবহনকারী বড় সামরিক যান চালানোর লাইসেন্স গ্রহণ করেন ওয়ার্ডল্য৷ একইসঙ্গে সামরিক যানে তেল ভরা এবং বিপজ্জনক বস্তু বহনের প্রশিক্ষণও নিয়ে নেন তিনি৷ ২০০২ সালে কুয়েতে মোতায়েন করা হয় তাঁর বাহিনীকে৷ সেখান থেকে ২০০৩ সালের মার্চে মার্কিন পদাতিক বাহিনীর সঙ্গে ইরাকে প্রবেশ করেন তিনি৷

প্রথমবার যুদ্ধের ময়দানে ভয় পেয়েছিলেন ওয়ার্ডল্য৷ অকপটে সেকথা স্বীকারও করেন তিনি৷ ডয়চে ভেলেকে এই মার্কিন সেনা বলেন, ‘‘আসলে সেদিনের আগে আমি ছিলাম একজন মা, যিনি তাঁর সন্তানদের ফুটবল মাঠে নিয়ে যেতেন৷ কিন্তু যুদ্ধের ময়দান ভিন্ন ব্যাপার৷’’

সম্প্রতি মার্কিন সামরিক বাহিনীতে নারীদেরকে যুদ্ধ সেনা হিসেবে কাজ করার অনুমতি দেওয়ায় সন্তুষ্ট ওয়ার্ডল্য৷ তিনি মনে করেন, এরফলে নারীরা আরো দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবে৷ মোটের উপর, যুদ্ধ সেনা হিসেবে কাজের অনুমতি না থাকায় কিছুক্ষেত্রে মেয়েদের পদোন্নতি পেতে যে সমস্যা ছিল, সেটাও মিটবে এখন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য