1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাপান

২৭ ডিসেম্বর ২০১২

জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন শিনজো আবে৷ গত ছয় বছরে তিনি দেশটির সপ্তম প্রধানমন্ত্রী৷ এর আগেও একবার বছর খানেকের জন্য দেশ শাসন করেছেন তিনি৷ এবার তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ জাপানের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও পররাষ্ট্রনীতি৷

https://p.dw.com/p/179An
Japan's main opposition Liberal Democratic Party (LDP) leader Shinzo Abe smiles during a press conference at the LDP headquarters in Tokyo on December 17, 2012. Incoming Japanese prime minister Shinzo Abe came out fighting on December 17 after his sweeping election victory, saying there can be no compromise on the sovereignty of islands at the centre of a dispute with China. AFP PHOTO / Yoshikazu TSUNO (Photo credit should read YOSHIKAZU TSUNO/AFP/Getty Images)
ছবি: Yoshikazu Tsuno/AFP/Getty Images

২০০৬ সালে জাপানের সবচেয়ে কম বয়সি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন শিনজো আবে৷ কিন্তু বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারেন নি তিনি৷ দায়িত্ব নেয়ার পর জনপ্রিয়তায় ব্যাপক হ্রাস, তার প্রতিক্রিয়ায় সংসদের উচ্চকক্ষ নির্বাচনে দলের পরাজয়, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের দুর্নীতি, নিজের দুর্বল শরীর – সব মিলিয়ে মাত্র এক বছর পরই তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন৷

সেই থেকেই শুরু৷ এরপর একে একে প্রায় প্রতি বছরই জাপান পেয়েছে একজন করে নতুন প্রধানমন্ত্রী৷ শিনজো আবের এবারের নিয়োগটা সেই ধারা বন্ধ করতে পারে কিনা – সেটা এখন দেখার বিষয়৷ তাই এবার সাবধানে পথ চলতে চান শিনজো আবে৷ আগামী বছর গ্রীষ্মে রয়েছে সংসদের উচ্চকক্ষ নির্বাচন৷ তার আগে তিনি নিতে চান না কঠোর কোনো সিদ্ধান্ত৷

এবার দায়িত্ব নেয়ার পর বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানের অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে দু'জন মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন আবে৷ একজন হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী আসো তারো৷ তাঁকে এবার অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া ‘অর্থনীতি পুনরুদ্ধার' নামে নতুন একটি মন্ত্রণালয় গঠনের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন শিনজো আবে৷ সেখানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সাবেক শিল্পমন্ত্রী আকিরা আমারিকে৷

Japan's Prime Minister Yoshihiko Noda, leader of the Democratic Party of Japan (DPJ), attends a news conference at his party's election headquarters in Tokyo December 16, 2012. Japan's conservative Liberal Democratic Party (LDP) surged back to power in an election on Sunday just three years after a devastating defeat, giving ex-Prime Minister Shinzo Abe a chance to push his hawkish security agenda and radical economic recipe. Voters had expressed disappointment with Noda's DPJ, which swept to power in 2009 promising to pay more heed to consumers than companies and reduce bureaucrats' control of policymaking. REUTERS/Issei Kato (JAPAN - Tags: ELECTIONS POLITICS HEADSHOT)
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোদাছবি: Reuters

বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন আবের নতুন মেয়াদের একটা বড় লক্ষ্য৷ বিশেষ করে পূর্ব চীন সাগরের কয়েকটি দ্বীপের মালিকানা নিয়ে সাম্প্রতিককালে চীন ও জাপানের সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে৷ চীনে জাপানি পণ্য বর্জনের ঘটনাও ঘটেছে৷ এমন পরিস্থিতির উন্নতি করতে চান শিনজো আবে৷ তাই তো তিনি বলেছেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি তিনি চান না৷ তবে একই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন, ‘‘পূর্ব চীন সাগরে জাপান নিয়ন্ত্রিত দ্বীপগুলোর মালিক জাপান৷ সুতরাং, এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না৷''

উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে শক্ত অবস্থান নিয়ে শিনজো আবে জনপ্রিয় হয়েছিলেন এক সময়৷ তবে আবারো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, আবের ভূমিকা কি হবে সেটা এখনো জানা যায়নি৷

এদিকে, আরেক প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়াতেও নতুন নেতৃত্ব এসেছে৷ সেখানে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন পাক গুন-শিয়ে৷ চীনের মতো দ্বীপ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও জাপানের সম্পর্ক শীতল হয়েছে এ বছর৷ আর সেটা কাটাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় একজন প্রতিনিধি পাঠানোর কথা জানিয়েছেন আবে৷

©Kyodo/MAXPPP - 02/09/2012 ; NAHA, Japan - Photo taken from a Kyodo News helicopter shows Uotsuri Island, part of the Senkaku Islands in the East China Sea on Sept. 2, 2012. A Tokyo metropolitan government team the same day conducted an offshore inspection of the islands as part of its plan to buy land on the isles amid a growing territorial row with China over the uninhabited islets. (Kyodo)
চীন ও জাপানের মধ্যে এই দ্বীপ নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছেছবি: picture-alliance/dpa

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে ওয়াশিংটন যাবার পরিকল্পনাও করছেন জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী৷ সেসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠকের কথা ভাবছেন তিনি৷

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ৫৮ বছর বয়সি শিনজো আবের দাদা নোবুসুকে কিসি ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কার মন্ত্রী৷ পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কিছুকাল কারাগারেও কাটাতে হয়েছে তাঁকে৷ এরপর অবশ্য জাপানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন কিসি৷ আর শিনজো আবের বাবা শিনতারো আবে অবশ্য প্রধানমন্ত্রীত্ব পান নি কখনো৷ তিনি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ ১৯৯৩ সালে বাবার মৃত্যুর পর তাঁর আসনেই নির্বাচিত হন শিনজো আবে৷

এরকম ঐতিহ্যবাহী পরিবারে যাঁর জন্ম, সেই শিনজো আবে তাঁর প্রথম মেয়াদে সফল না হলেও এবার তিনি উতরে যাবেন, সেই আশা অনেকের৷ কেননা এবার তাঁর সঙ্গে রয়েছে দুই তৃতীয়াংশ সাংসদের সমর্থন৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য