1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত সফর

২৯ অক্টোবর ২০১২

ভারতের আমন্ত্রণে সপ্তাহব্যাপী দিল্লি সফরে এসে বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ সাক্ষাৎ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে৷ উঠে আসে তিস্তা চুক্তি, সন্ত্রাস, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা ইস্যু৷

https://p.dw.com/p/16Yv8
epa03371172 Indian Prime Minister Dr. Manmohan Singh addresses the media after he was shouted down by opposition politicians in the lower house of Parliament in New Delhi, India, 27 August 2012. The Prime minister denied allegations of wrongdoing, following a report that the country lost 33 billion dollars by allocating coal mine licences instead of auctioning them. Singh stated that any allegations of impropriety are without basis and unsupported by the facts. EPA/STR +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি'র নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দিল্লি সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ভারতের পর্যবেক্ষক মহল৷ একই বছরে নির্বাচন ভারতেও৷ ক্ষমতার পালা বদল হলে দু'তরফেরই প্রয়োজন হবে দু'পক্ষকে৷ দিল্লি এসে সে কথাটাই বুঝিয়ে দেন খালেদা জিয়া৷ সেকথা মনে রেখে সম্পর্কের উষ্ণতা বজায় রাখতে এটাকে বেগম জিয়ার কূটনৈতিক প্রয়াস বলেও মনে করা হচ্ছে৷

সোমবার প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে খালেদা জিয়া বাংলাদেশের তরফে উত্থাপন করেন সই হতে গিয়েও সই না হওয়া তিস্তা জল বণ্টন চুক্তি, টিপাইমুখ প্রকল্প, বাংলাদেশ সীমান্তে গুলিবর্ষণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সার্বিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কগুলি৷ পাশাপাশি একথাও তুলে ধরেন যে তিনি আদপে ভারত-বিরোধী নন৷ এই মর্মে যে ধারণা জন্মেছে তা ভ্রান্ত৷

The ex prime minister and present opposition leader Begum Khaleda Zia, in Commilla on her way in a road march to Chittagong. BNP demands to retain the caretaker government system. Foto: DW- Korrespondent Harun Ur Rashid Swapan, 08.01.2012
খালেদা জিয়ার দিল্লি সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ভারতের পর্যবেক্ষক মহলছবি: DW

প্রধানমন্ত্রী ড. সিং বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারত-বিরোধী জঙ্গি তৎপরতায় ভারতের উদ্বেগের কথা জানান৷ তবে ভারত শুধু শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে কাজ করতেই যে আগ্রহী তা নয়, বিএনপি সরকারের সঙ্গেও কাজ করতে সমান আগ্রহী বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী৷ সেদিক থেকে ভারত প্রতিবেশী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও বহু দলীয় রাজনৈতিক শাসন ব্যবস্থায় সহযোগিতার ছাপ রাখতে চায়৷ এছাড়া, তিস্তা চুক্তি সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন৷

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, বাংলাদেশে পালা করে ক্ষমতায় আসাটা এক দস্তুর৷ সেদিক থেকে এবারের নির্বাচনে বিএনপি'র জেতার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করে সে দেশের মানুষ৷ দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন দুর্নীতিতে জর্জরিত৷ পদ্মা সেতু, সোনালি ব্যাংক ঋণ দুর্নীতি, সুশাসনের অভাবের অভিযোগও উঠেছে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে৷ অন্যদিকে, ভারতের কংগ্রেস-জোট সরকারও নানা কেলেঙ্কারিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত৷ কাজেই বর্তমান সরকার বাংলাদেশের নতুন সরকারকে সাহায্য করতে কতটা কী করতে পারবে – তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সংশয় আছে৷

বেগম খালেদা জিয়ার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সলমান খুরশিদ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেননের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা৷ গতকাল তিনি সংসদে বিরোধী দলের নেত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে দেখা করেন৷

নয় সদস্যের বিএনপি প্রতিনিধিদল আজমের শরিফ দর্শনে যাবেন বলে খবর৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য