1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বলকান অঞ্চলে অস্থিরতা

২৭ আগস্ট ২০১২

প্রকাশ্য যুদ্ধ শেষ হওয়ার এক দশক পরও কসোভোর পরিস্থিতি শান্ত হয়নি৷ সেদেশে মোতায়েন ন্যাটোর নিরাপত্তা বাহিনী এমনটাই মনে করে৷ যেকারণে সংঘাতপূর্ণ কসোভোর উত্তরাঞ্চলে আরো ৫৫০ জার্মান এবং ১৫০ অস্ট্রীয় সেনা পাঠানো হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/15xLp
ছবি: picture-alliance/dpa

জার্মান এবং অস্ট্রীয় নারী ও পুরুষ সেনারা এই প্রথমবারের মতো বলকান অঞ্চলে যাচ্ছে না৷ গত বছরের আগস্ট মাসে জার্মান, অস্ট্রীয় এবং ইটালীয় সেনাদের নিয়ে একটি বিশেষ অপারেশনাল রিজার্ভ ফোর্স (ওআরএফ) গঠন করা হয়৷ এই বাহিনীর কাজ হচ্ছে প্রয়োজনে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন শান্তিরক্ষী বাহিনীকে (কেএফওআর) সহায়তা করা৷

জার্মান মেজর জেনারেল এরহার্ড ড্রিভস কেএফওআর'এর একজন কমান্ডার হিসেবে কসোভোতে কর্মরত রয়েছেন৷ রিজার্ভ বাহিনীর কর্মপরিধি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘উত্তরের একটি বড় এলাকার দায়িত্ব রয়েছে তাদের উপর৷ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং স্বাধীন চলাচল নিশ্চিত করাই হচ্ছে এই বাহিনীর কাজ৷''

বলাবাহুল্য, এই কাজ মোটেই সহজ নয়৷ কেননা, কসোভোর উত্তরাঞ্চলে সার্বদের উপস্থিতি অনেক বেশি এবং তারা এই অঞ্চলকে কসোভোর মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা করে ফেলতে চাইছে৷

Brennendes Fahrzeug der Grenzpolizei im Kosovo
সার্বিয়া এবং কসোভোর মধ্যকার রাজনৈতিক সংঘাত এখনো অব্যাহত রয়েছেছবি: AP

বলকান অঞ্চলে গত শতকের নব্বইয়ের দশকে রক্তক্ষয়ী সংঘাত এবং ইয়ুগোস্লাভিয়া থেকে বিখণ্ডায়নের পর, কসোভো ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের সুরক্ষা এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় আসে৷ ২০০৮ সালে কসোভোতে বসবাসরত সংখ্যাগরিষ্ঠ আলবেনীয়রা একটি স্বাধীন, স্বনির্ভর প্রজাতন্ত্র গঠনের ঘোষণা প্রদান করে৷ জার্মানিসহ বিশ্বের অনেক দেশ রাষ্ট্র হিসেবে কসোভোকে স্বীকৃতি প্রদান করলেও বেলগ্রেড এখনো কসোভোকে সার্বিয়ার একটি প্রদেশ হিসেবেই গণ্য করছে৷

সার্বিয়া এবং কসোভোর মধ্যকার রাজনৈতিক সংঘাত তাই এখনো অব্যাহত রয়েছে৷ দু'দেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলোতে এই সংঘাত জাতিগত সহিংসতায় রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ জাতীয়তাবাদী সার্বরা কসোভোর অন্তর্ভুক্ত এলাকায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সেদেশের পুলিশ এবং শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তাদেরকে কাজ করতে বাধা দিচ্ছে৷

ড্রিভস অবশ্য মনে করেন, দু'দেশের সীমান্ত এলাকায় এই বিরোধ শুধুই রাজনৈতিক নয়৷ বরং এক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখছে সীমান্ত সংলগ্ন সব ধরনের অবৈধ বাণিজ্য৷ বিশেষ করে অস্ত্র, মাদক এবং মানব পাচার চলছে সীমান্ত এলাকায়৷ যখন এসব ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত হয়ে পড়ে, যখন তাদের ব্যবসা হুমকির মুখে পড়ে, তখন তারা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে৷

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে কসোভোয় দুই জার্মান সেনা প্রাণ হারায়৷ সার্বদের তৈরি রাস্তার প্রতিবন্ধকতা সরাতে গিয়ে নিহত হয় এই দুই সেনা৷ অবশ্য ড্রিভস মনে করেন, সেটা ছিল বিচ্ছিন্ন এক ঘটনা৷ কেননা, সেদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থানরত ৯৫ শতাংশ সার্বই প্রকাশ্যে সহিংসতা পছন্দ করে না৷

প্রতিবেদন: রেচেল গেসাত / এআই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য