1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘হ্যান্ডস আপ, ডোনট শ্যুট'

২১ আগস্ট ২০১৪

সাদা পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় যুক্তরাষ্ট্রের মিসুরি রাজ্যের শহর ফার্গুসন৷ মাত্র ২১ হাজার অধিবাসীর এই শহরের প্রতিবাদের খবর এখন বিশ্ব মিডিয়ায়৷

https://p.dw.com/p/1CyD6
Michael Brown
ছবি: Getty Images

ঘটনার সময়কাল আগস্ট ৯৷ সেদিন রাতে এক সাদা পুলিশের গুলিতে নিহত হন ১৮ বছরের মাইকেল ব্রাউন৷ সেসময় তাঁর কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে এখন নিয়মতি বিক্ষোভ হচ্ছে ফার্গুসনে৷ পরিস্থিতি সামলাতে দেশের সরকার সেখানে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের পাঠিয়েছে৷

প্রায় প্রতি রাতেই ফার্গুসনে বিক্ষোভ হচ্ছে৷ প্রতিবাদকারীরা হাত উপরে তুলে ‘হ্যান্ডস আপ, ডোনট শ্যুট' বলে স্লোগান দিচ্ছে৷ স্লোগানটি এতই জনপ্রিয় হয়েছে যে, মঙ্গলবার ফার্গুসনের একটি স্কুল বাসে থাকা শিক্ষার্থীরা যখন ব্রাউন হত্যাকাণ্ডের স্থানটি দিয়ে যাচ্ছিল তখন তারা বাসেই হাত উপরে তুলে স্লোগানটি দিতে থাকে৷

স্লোগান ছাড়াও প্রতিবাদ কখনো কখনো সহিংসতায় রূপ নিয়েছে৷ এছাড়া পুলিশের দিকে মূত্র নিক্ষেপের মতো ঘটনাও ঘটেছে৷ ফলে কয়েক প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ৷

জানা গেছে, ফার্গুসনের জনসংখ্যা প্রায় ২১ হাজার৷ এর মধ্যে বেশিরভাগই আফ্রিকান-অ্যামেরিকান৷ কিন্তু শহরের পুলিশ বিভাগ সহ, প্রশাসন, রাজনীতি সব স্থানেই শ্বেতাঙ্গ মানুষের পদচারণা৷ শহরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য এগুলো অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷

বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ

ফার্গুসনের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ আবারও মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে৷ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান নাভি পিল্লাই বিক্ষোভকারীদের দমনে অত্যধিক শক্তি প্রয়োগের সমালোচনা করেছেন৷ তিনি বিক্ষোভ করার অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোরও আহ্বান জানান৷

নিজের চরকায় তেল দাও

ফার্গুসনের ঘটনায় চীন ও রাশিয়ার গণমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে৷ চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এক মন্তব্য প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সবসময় অন্যের দিকে আঙুল না তুলে নিজের সমস্যাগুলোর সমাধান করা৷'' এছাড়া টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভি ফার্গুসনের ঘটনা কভার করতে সেখানে একজন প্রতিবেদক পাঠিয়েছে৷ চীনে একই ধরণের প্রতিবাদের ঘটনার ক্ষেত্রে এটা একটা অচিন্তনীয় বিষয় বলে মন্তব্য করেছে বার্তা সংস্থা এপি৷

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, ফার্গুসনের প্রতিবাদ দমনে শক্তি প্রয়োগের ঘটনা রুশদের কাছে এই বার্তাই পৌঁছে দিচ্ছে যে, গণতান্ত্রিক পশ্চিমা বিশ্বের নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিবাদ দমনে রাশিয়ার চেয়ে কম বর্বর নয়৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য