1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ক্লাউড কম্পিউটিং’

৭ মার্চ ২০১২

জার্মানিতে চলছে তথ্য প্রযুক্তি মেলা সেবিট৷ হালের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির প্রদর্শনের পাশাপাশি, প্রযুক্তি দুনিয়ার ভবিষ্যতের একটা ইঙ্গিত পাওয়া যায় এই মেলায়৷ ট্যাবলেট যেমন এগোচ্ছে, ক্লাউড কম্পিউটিং’এর গতিও তেমনই উর্ধ্বমুখী৷

https://p.dw.com/p/14GU8
ছবি: dapd

ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে এবার সেবিট'এ চলছে ব্যাপক আলোচনা৷ ভিন্ন ধরনের এই ইন্টারনেটনির্ভর প্রযুক্তি-পরিষেবা ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে ব্যবসাক্ষেত্রে৷ বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের তথ্য ব্যবস্থাপনায় ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা ব্যবহারের দিকে অগ্রসর হচ্ছে৷ জার্মান প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বিটকমের হিসেব অনুযায়ী, ক্লাউড কম্পিউটিং সেবার চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে৷ টাকার অংকে এই খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ কয়েক বিলিয়ন ইউরো ছাড়িয়েছে ইতিমধ্যে৷

ক্লাউড কম্পিউটিং'এর এই চাহিদা বৃদ্ধি সম্পর্কে হিউলেট প্যাকার্ড, জার্মানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফল্কার স্মিড্ট বলেন, ‘‘আমরা আমাদের অবস্থান থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারি৷ তবে এই বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে যে, যখন একটি নতুন সেবা খুব শক্তভাবে বাড়তে থাকে, তখন ধরে নিতে হবে প্রচলিত যেসব পদ্ধতিতে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি সেবা গ্রহণ করছি, সেই পদ্ধতিগুলো ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে৷ ক্লাউড কম্পিউটিং'এর ক্ষেত্রেও এটা সত্যি, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনার প্রচলিত ধারার বদল হচ্ছে৷''

মার্কিন প্রতিষ্ঠান এইচপি মূলত কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার ইত্যাদি হার্ডওয়্যার নির্মাণ করে৷ ক্লাউড কম্পিউটার সেবার ক্ষেত্রে ইন্টারেনভিত্তিক সার্ভার, নেটওয়ার্ক, তথ্য জমা রাখার ব্যবস্থা এবং সফটওয়্যার'এর সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা প্রয়োজন৷ বড় বড় তথ্য প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন এই ব্যবস্থার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে৷ স্মিড্ট বলেন, ‘‘জার্মানিতে মাঝারি আকারের সংস্থাসহ ছত্রিশ লাখ প্রতিষ্ঠান রয়েছে৷ এসব প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনায় সর্বশেষ উপায় হতে যাচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং৷''

সেবিট'এ ক্লাউড কম্পিউটিং সংক্রান্ত গুরুগম্ভীর আলোচনার পাশাপাশি অত্যাধুনিক বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যও প্রদর্শন করা হচ্ছে৷ যেমন গোসলের সময়, শৌচাগার এমনকি গাড়িতে -- যেখানেই আপনি থাকুন না কেন, আপনার সঙ্গে যেন ট্যাবলেট কম্পিউটারের সম্পর্কোচ্ছেদ না হয়, সেই ব্যবস্থা নিয়ে মেলায় হাজির ফুজিৎসু৷ সংস্থাটি সেবিট'এ প্রদর্শন করছে পানিনিরোধক ট্যাবলেট, যা গোসল করা সময়ও ব্যবহার করা সম্ভব৷ শুধু তাই নয়, পানির নীচে দশ ফুট পর্যন্ত অনায়াসেই চলবে এই ট্যাবলেট৷

আপাতত জাপানের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এই ট্যাবলেট৷ কিন্তু শীঘ্রই তা বিশ্ব বাজারে নাড়া ফেলবে, এমনটা মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ কেননা, এই যন্ত্র পানিনিরোধক হওয়ায় বৃষ্টির মাঝে খোলা আকাশে ব্যবহার সম্ভব, আবার যেসব স্থানে প্রচুর ধুলাবালি সেখানেও এটি কাজে লাগবে৷ কেননা, পানি যে যন্ত্রে প্রবেশে অক্ষম, তাতে ধুলোবালি? ঢুকবেই না৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য