1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বড় রকমের ঝুঁকি ‘সেপসিস’

গুডরুম হাইসে/আরবি২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪

বাহুতে একটা লম্বা লালচে দাগ, এটাই কী রক্তদূষণ বা সেপসিস-এর লক্ষণ? বিষয়টি এত সহজ নয়৷ কারণ সেপসিস শনাক্তকরণ বেশ কঠিন৷ তার ওপর মাঝে মাঝে এটি ধরা পড়তে অত্যন্ত দেরি হয়ে যায়৷ যার পরণতিতে হতে পারে মৃত্যুও৷

https://p.dw.com/p/1DG7h
ছবি: picture-alliance/dpa

সেপসিস সাথে সাথে ধরা পড়লে বাঁচার সম্ভাবনা প্রায় ৮০ শতাংশ৷ তবে ছয় ঘণ্টা পর এই সম্ভাবনা কমে ৩০ শতাংশ হয়ে যায়৷ সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জার্মানিতে প্রতিবছর ৬০ হাজার মানুষ মারা যায় রক্তদূষণের কারণে৷ বিশ্বব্যাপী সংখ্যাটা আট মিলিয়নের মতো বলে অনুমান করা হয়৷

দুর্বল ইমিউন সিস্টেম ঝুঁকির মুখে

সেপসিস হলো এক ধরনের সংক্রমণ, যাতে রোগ জীবাণু রক্ত প্রবাহে ঢুকে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আক্রমণ করে৷ সাধারণত শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা এই আক্রমণকে প্রতিহত করতে পারে৷ কিন্তু বয়োবৃদ্ধ ও কঠিন অপারেশনের পর ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যাওয়া মানুষের পক্ষে এই ধকল সামলানো কঠিন৷ এছাড়া ক্যানসারের থেরাপিতে দুর্বল হয়ে যাওয়া রোগীরাও ঝুঁকির মুখে৷

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংক্রমিত হয়৷ যেমন ফুসফুসের সংক্রমণ৷ অ্যান্টিবায়োটিক নিলে কয়েকদিনের ভালো হয়ে যেতে পারে এই সংক্রমণ৷ কিন্তু ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের অবস্থা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মারাত্মক হয়ে যায়৷ প্রাথমিক স্থান থেকে জীবাণু অন্য জায়গায় চলে যায়৷ যেমন পায়ের বুড়ো আঙুলের সংক্রমণ থেকে রক্তপ্রবাহে ঢুকে অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আক্রমণ করে বিকল করে দিতে পারে জীবাণু৷ এই অবস্থায় প্রায়ই মূল্যবান সময় পার হয়ে যায়৷ তাই সঠিক রোগটি শনাক্ত করতে প্রচুর অভিজ্ঞতার প্রয়োজন৷

মানসিক সমস্যা দেখা দেয়

নিবিড় পর্যবেক্ষণ বিভাগে সেপসিস রোগীকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কৃত্রিম কোমায় রাখা হয়৷ কোমা থেকে জাগানো হলে প্রায়ই রোগীর মধ্যে প্যানিক অ্যাটাক দেখা দেয়৷ তাঁরা ভোগেন ‘পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার'-এ৷ দেখা দেয় পেশি ও স্নায়ুর দুর্বলতা৷ স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায় বলেও লক্ষ্য করা যায় এক্ষেত্রে৷

সেপসিস-এর কবল থেকে উদ্ধার পাওয়া রোগী রোল্ফ থিল জানান, ‘‘কোনো বাক্যের অনুসঙ্গ বুঝতে হলে আমার দুই তিনবার পড়তে হয়৷ মস্তিষ্কও আগের মতো কাজ করে না, অনেক দুর্বল মনে হয়৷''

অধিকাংশ দেখা দেয় হাসপাতালে

প্রায় দুই তৃতীয়াংশ সেপসিস-ই দেখা দেয় হাসপাতালে৷ বড় বড় অপারেশনের পর ক্ষত সারতে অনেকদিন লেগে যায়৷ এটা যেন জীবাণুদের জন্য এক উর্বর স্থান৷ আর দুর্বল ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম হলে তো কথাই নেই৷ রক্তদূষণের পথ খুলে যায়৷ এ কারণে হাসপাতালের স্বাস্থ্যরক্ষার দিকে নজর রাখাটা অত্যন্ত জরুরি৷ এতে করে ২০ শতাংশ সেপসিস প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করেন ইয়ানা ইউনিভার্সিটি ক্লিনিকের ড. ফ্রাংক মার্টিন ব্রুংকহোর্স্ট৷ এ ব্যাপারে হাসপাতালের কর্মীদের ভালো প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত৷ এছাড়া টিকা দেওয়ার ওপর জোর দিতে হবে, যাতে ফ্লু ও ফুসফুসের সংক্রমণের মতো রোগব্যাধি আদৌ দেখা না দেয়৷ এই পরামর্শ ড. ব্রুংকহোর্স্টের৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য