1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রামের দপ্তর

১ আগস্ট ২০১১

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ মধ্যস্থ গোটা ইইউ জুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সমন্বয় করেন৷ সহজে এই চাকরি যাবার সম্ভাবনা নেই৷

https://p.dw.com/p/127Fn
Nur für Projekt 9/11: Hintergrund Terrorabwehr
ছবি: DW / fotolia

নাইন-ইলেভেনের পর অনেকদিন অবধি সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে ইউরোপীয় সহযোগিতার দাবিটা দাবিই থেকে গিয়েছিল, বাস্তবে পরিণত হয়নি৷ তবে ২০০৪ সালে মাদ্রিদে ট্রেন বোমা বিস্ফোরণে প্রায় ২০০ জন মানুষ প্রাণ হারানোর পর ইইউ একজন সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ সমন্বয়কর্তা নিয়োগ করে: নেদারল্যান্ডসের গাইস ডে ভ্রিস৷ তিনি একবার তাঁর দপ্তরের কর্মপদ্ধতি এইভাবে বর্ণনা করেছিলেন: তথ্যের আদানপ্রদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ বিভিন্ন দেশের পুলিশ ইউরোপোল'এর মাধ্যমে তা করতে পারে৷ বিভিন্ন দেশের সরকারি কৌঁসুলিরা ইউরোইয়ুস্ট'এর মাধ্যমে খবরাখবর নিতে এবং রাখতে পারেন৷ সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগানোর বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা করাও এই দপ্তরের দায়িত্ব৷ সেক্ষেত্রে অবশ্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতারও প্রয়োজন৷

European anti-terrorism co-ordinator Gilles de Kerchove delivers a speech during a press conference at the Hotel de Beauvau in Paris, France on November 19, 2007, for the launch of the SCTIP, a new official service to coordinate at an European level police work against international terrorism. Foto: Corentin Fohlen +++(c) dpa - Report+++
জিল দ্য কারশোভছবি: picture-alliance / dpa

মাদ্রিদের বছর দেড়েকের মধ্যেই আসে লন্ডন মেট্রোরেলে বোমা সন্ত্রাসের ঘটনা৷ নিহত হন ৫০ জন মানুষ৷ কিন্তু সেযাবৎ ইউরোপ মোটামুটি ঠান্ডাই আছে৷ এবং সেটা পুলিশ এবং গুপ্তচর বিভাগগুলির কৃতিত্ব বলেই তাদের বিশ্বাস৷ ভ্রিসের উত্তরসুরী হন বেলজিয়ামের জিল দ্য কারশোভ৷ তিনি এই ভ্রান্ত নিরাপত্তার অনুভূতি সম্পর্কে বারংবার সাবধান করে দিয়েছেন, সম্প্রতি ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পরেও৷

‘‘বিগ ব্রাদার ইজ ওয়াচিং''

Passanten werden am 30.5.2000 auf dem Domplatz im oberpfälzischen Regensburg von einer Videokamera der Polizei beobachtet. Nach mehrmonatigen Vorbereitungen geht das umstrittene Video-Überwachungssystem der Regensburger Polizei in Betrieb. Mit dem Pilotprojekt will die Regensburger Polizei in so genannten Angsträumen, wo sich Bürger besonders vor Straßenkriminalität fürchten, vor Straftaten abschrecken. Daneben sollen Kriminelle durch die Videobilder leichter überführt werden können. Außer in Regensburg gibt es nach Angaben des bayerischen Innenministerums auch in München Videoüberwachung durch die Polizei
ছবি: dpa - Fotoreport

ইউরোপীয় সন্ত্রাস প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নানা ধরনের সমালোচনা শোনা গেছে৷ পথেঘাটে পর্যবেক্ষণ ক্যামেরা বসানো, বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য কড়াকড়ি, এবং বিশেষ করে টেলিফোন, মুঠোফোন কিংবা ব্যাংকে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্রীয় সার্ভারে জমা রাখা - এসবই নাগরিক অধিকারের বিরোধী বলে অনেকে মনে করেন৷ বিতর্ক আসলে নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে৷

দ্য কারশোভের মতে এ দুটোর মধ্যে কোনো পরষ্পরবিরোধিতা নেই৷ সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি বাড়লে আরো বেশি তথ্য সংগ্রহ করতে হবে বৈকি: সন্দেহভাজন ব্যক্তি, যাতায়াত, আচরণ, অর্থের লেনদেন, টেলিফোনালাপ, সব কিছুর উপরেই নজর রাখতে হবে, আড়ি পাততে হবে - পুলিশ এবং গুপ্তচর বিভাগ তা খুব ভালো করেই জানে৷ কিন্তু যুগপৎ নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা বাড়াতে হবে৷

প্রতিবেদন: ক্রিস্টফ হাসেলবাখ/অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ