1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশপের বিলাসিতা

গ্যুন্টার বিয়র্কেনস্টক / এসি১৪ অক্টোবর ২০১৩

প্রথমে নিজের বাসস্থান তথা কর্মস্থান, গির্জার পাশেই অবস্থিত বিশপের বাসভবনটিকে তিন কোটি পনেরো লাখ ইউরো ব্যয়ে সংস্কার; তারপর বিমানে ফার্স্ট ক্লাস যাত্রী হয়ে ভারতযাত্রা৷ বিশপ টেবার্টস ফান এলস্ট এখন সরকারি কৌঁসুলির নজরে৷

https://p.dw.com/p/19yWN
বিশপ টেবার্টস ফান এলস্টছবি: picture-alliance/dpa

বিশপের বাসভবনটির মেরামত, চুনকাম ও রদবদলের জন্য যা খরচ ধরা হয়েছিল, তার প্রায় ছ'গুণ অর্থ খরচ হয়৷ ইউরোপ জুড়ে আর্থিক সংকট এবং ব্যয়সংকোচের যুগে এ খবরটা লিমবুর্গবাসীদের ভালো লাগার কথা নয়৷ এবং তারা সেই ভালো না লাগাটা ভালো করেই জানান দিতে শুরু করেন – বিশেষ করে বিশপ টেবার্টস ফান এলস্টের কর্তৃত্বমূলক ভাবসাব, আচারব্যবহার যখন তাদের কোনোদিনই ভালো লাগেনি৷

বিশপ হয়ত সেটাও সামলে দিতে পারতেন, যদি না তিনি অন্য একটি কারণে সরকারি কৌঁসুলির নজরে পড়তেন৷ দৃশ্যত তিনি হামবুর্গের প্রাদেশিক আদালতের সামনে শপথ নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন৷ ইতিপূর্বে বিশপ ফান এলস্ট ‘ডেয়ার স্পিগেল' পত্রিকার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, তিনি ভারতে একটি ত্রাণ প্রকল্প পরিদর্শনের জন্য বিমানে বিজনেস ক্লাসে যাত্রা করেছেন৷ পরে সেই বক্তব্য আদালতে প্রমাণ করতে গিয়েই তিনি মিথ্যাচার করেন, কেননা বিশপ ও তাঁর ভাইকার জেনারেল বাস্তবিক ফার্স্ট ক্লাস সিটে বসেই ভারত যাত্রা করেছিলেন৷

Limburger Dom
লিমবুর্গের গির্জাছবি: Fotolia

জার্মান ক্যাথলিক যুব সমিতি বিডিকেজে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে যে, তারা বিশপ ফান এলস্টের সঙ্গে উত্তরোত্তর সহযোগিতা সম্ভব নয় বলে মনে করে৷ লিমবুর্গ এলাকার ডিৎস-এর এক প্রাক্তন ক্যাথলিক যাজকের মতে বিশপ ফান এলস্ট তাঁর নিজস্ব কল্পজগতে বাস করছেন, বাস্তবকে চেনার ক্ষমতা আর তাঁর নেই৷ ফান এলস্ট নাকি একবার একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, তাঁর নাকি কখনো-সখনো মনে হয় যেন ঈশ্বর স্বয়ং তাঁর মধ্য দিয়ে কথা বলছেন এবং তাঁকে নিজের হাতের যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন৷ কাজেই বিশপ ফান এলস্ট যদি মনে করেন যে, তিনি কোনোরকম ভুল করতে পারেন না, তাহলে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই৷

লিমবুর্গের বিশপ হিসেবে দায়িত্ব নেবার পরেই ফান এলস্ট একাধিক প্যারিশের কাছে চিঠি পাঠান যে, তাদের বছর প্রতি আরো বেশি অর্থসংগ্রহ করতে হবে৷ অপরদিকে নিজস্ব মতামত রাখেন এবং প্রয়োজনে সমালোচনা করে থাকেন, বিশপরিকের এমন কর্মীদের বিনা নোটিসে বরখাস্ত করেন ফান এলস্ট৷ নতুন যাজক পরিষদ নির্বাচিত হতে না দিয়েই পুরনো যাজক পরিষদকে বিদায় দেন লিমবুর্গের বিশপ৷

সপ্তাহ খানেক আগে খবর বেরয় যে, লিমবুর্গে বিশপের রেসিডেন্সের সংস্কারে যা ধরা হয়েছিল, তেমন পঞ্চাশ কি ষাট লাখ নয়, বরং তিন কোটি ইউরোর বেশি খরচা হয়েছে৷ যার তুলনায় বিশপ ফান এলস্টের ফার্স্ট ক্লাস বিমানযাত্রা কিছুই নয় – যদিও আদালতে শপথ নিয়ে মিথ্যাচার একটি গুরুতর অপরাধ৷ এখন প্রশ্ন উঠেছে, বিশপ ফান এলস্ট ছ'বছর ধরে এই সব কার্যকলাপ চালাচ্ছেন, তবুও ক্যাথলিক গির্জার স্থানীয় কর্তৃমণ্ডলী, জাতীয় পর্যায়ে বিশপ সম্মেলন অথবা ভ্যাটিকান স্বয়ং, এই বিশপটির রাশ টেনে ধরার জন্য কিছুই করেননি কেন৷

যদিও পোপ ফ্রান্সিসকে লিমবুর্গের ব্যাপার-স্যাপার সম্পর্কে পর্যাপ্তভাবে অবহিত করা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য