1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘রেফারি, এটা কি ফাইনাল ম্যাচ?’

২০ জুলাই ২০১৪

বিশ্বকাপ ফাইনাল চলাকালে ঠিক এই প্রশ্নটিই করেছিলেন এক জার্মান ফুটবলার৷ রেফারি মনে করেছিলেন, সে বুঝি রসিকতা করছে৷ কিন্তু পরক্ষণই অনুধাবন করলেন, মাথায় জোরে আঘাত লাগায় এলোমেলো বকছে খেলোয়াড়টি৷

https://p.dw.com/p/1CfQx
মাথায় আঘাত পাওয়ার পর ক্রিস্টফ ক্রামারছবি: AFP/Getty Images

ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে হারায় জার্মানি৷ এই জয়ের সুবাদে ২৪ বছর পর আবারো বিশ্বকাপ ঘরে তোলে দেশটি৷ তবে ফাইনাল শুরুর আগে খানিকটা বিপাকে পড়েছিল জার্মান দল৷ মধ্যমাঠের খেলোয়াড় সামি কেদিরা খেলা শুরুর আগে প্র্যাকটিসের সময় আহত হন৷ ফলে তাঁর বিকল্প হিসেবে মাঠে নামেন ক্রিস্টফ ক্রামার৷

মাঠে নিরলস ভাবে দৌঁড়ানো এবং নির্ভুল ‘পাস' দেয়ার সুনামের অধিকারী ক্রামার৷ তবে দলের নিয়মিত খেলোয়াড় নন তিনি৷ খেলার ১৭ মিনিটে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের এসেকিয়েল গারাই-এর সঙ্গে ধাক্কা লাগলে মাথায় আঘাত পান ক্রামার৷

এরপর তিনি ম্যাচ রেফারি নিকোলা রিৎসোরি-র কাছে প্রশ্ন করেন, ‘‘রেফারি, এটা কি ফাইনাল ম্যাচ?'' রিৎসোরি মনে করেছিলেন ক্রামার বুঝি রসিকতা করছেন৷ কিন্তু একই প্রশ্ন আবারো করেন তিনি এবং বলেন, ‘‘আমার জানা প্রয়োজন, এটা সত্যিই ফাইনাল ম্যাচ কিনা৷'' তখন রেফারি জবাবে ‘হ্যাঁ' বলেন৷ আর ক্রামার রেফারিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এটা জানা জরুরি ছিল৷

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান ইটালীয় রেফারি রিৎসোরি৷ তিনি নাকি তখনই জার্মানির আরেক খেলোয়াড় বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগারকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন৷ তবে তারপরও ১৪ মিনিট মাঠে ছিলেন ক্রামার৷ এরপর তাঁর বদলে আরেক খেলোয়াড়কে মাঠে নামান জার্মান কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ৷

বলাবাহুল্য খেলার মাঠে ফুটবলারদের মাথায় আঘাত লাগার এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে৷ কিন্তু ফুটবলে স্বল্প সময়ের জন্য বিকল্প আরেকজন খেলোয়াড় মাঠে নামানোর নিয়ম নেই৷ এখন এই নিয়মে পরিবর্তন আনার প্রশ্ন উঠেছে৷ কেননা সে ক্ষেত্রে আহত খেলোয়াড়কে কিছুটা সময় পরীক্ষার সুযোগ পাবেন চিকিৎসকরা৷ ফিফা-র মেডিকেল প্রধান ডগে এরকম ব্যবস্থা চালুর বিপক্ষে নন৷

এআই / এসবি (এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য