1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’

২৪ জুলাই ২০১৪

ইসরায়েল গাজায় স্থল অভিযান শুরু পর থেকে প্রতিদিনই গাজায় নিহত হচ্ছে অনেক মানুষ৷ জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে দেশে ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে চলছে প্রতিবাদ৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও হামলা বন্ধে সরব৷

https://p.dw.com/p/1CiE5
Gaza Offensive Demos 22.07.2014 Berlin
ছবি: Reuters

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘ইসরায়লি বোমার আঘাতে, সন্ত্রাসী তৎপরতায় গাজায় ‘মৃতের সংখ্যা' ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে৷ শুধু সংখ্যা দিয়ে কি বোঝা যায় শিশু নারীসহ নিরস্ত্র মানুষদের ওপর সশস্ত্র বাহিনীর বর্বরতা, জীবনের হাহাকার ও ক্রোধ? বছরের পর বছর একই ঘটনার অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যে শিশু শরীরে কিংবা হৃদয়ে জখম নিয়ে বড় হচ্ছে সে হাতে অস্ত্র নেবে না তো কী নেবে? দখলদার, গণহত্যাকারীর বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের প্রতিরোধই যুক্তিযুক্ত৷ জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধই তাই প্যালেস্টাইনের আরেক নাম৷

প্রশ্ন হলো, একটি ছোট্ট রাষ্ট্র ইসরায়েল কী ভাবে দশকের পর দশক পুরো বিশ্বকে রক্তাক্ত করতে পারছে? আসলে ইসরায়েলের অস্তিত্ব ও গায়ের জোর তৈরি করেছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিবাদী বিশ্বব্যবস্থা৷'

তিনি লিখেছেন, ‘ইরাক, লিবিয়ায় মার্কিনি গণহত্যা – ধ্বংসযজ্ঞে একদিকে ইসরায়েল অন্যদিকে সৌদি আরব ছিলো প্রধান সহযোগী৷ তাই ধর্মীয় পরিচয় নয়, মতাদর্শিক অবস্থানই গুরুত্বপূর্ণ৷ সুতরাং এই অবিরাম লড়াই ইহুদি বনাম মুসলমানের নয়, লড়াই মানুষ বনাম পুঁজির, জালেম বনাম মজলুমের, দখলদার বনাম দখলকৃতের, খুনি বনাম আক্রান্তের৷'

আমার ব্লগে জাকির মাহদিন লিখেছেন, ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই৷ শুধু ফিলিস্তিন নয়, বিশ্বের দেশে দেশে যত হত্যা-জুলুম, অন্যায়-অবিচার ও সর্বপ্রকার অমানবিকতার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি৷ আমার দৃষ্টিতে তার সমস্যা অনেক৷'

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আলেমগণ ইসরায়েলি যুদ্ধ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত যত প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছেন তার ফলাফল কী? এর চেয়ে বেশি কিছু করার যোগ্যতা কি আসলেই আমাদের নেই? আমরা যদি যুদ্ধের বিপক্ষে হই, তাহলে হামাস যখন ইসরায়েলি সৈন্য হত্যা করে তখন উল্লাস প্রকাশ করি কেন? হামাস কেন ফিলিস্তিনের সাধারণ নাগরিকদের বুলেট ও মিসাইলের সামনে ঠেলে দিচ্ছে? ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের এ পর্যন্ত যুদ্ধের ফলাফল কী? '

তিনি আহ্বান জানিয়েছেন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের৷ বলেছেন, ‘আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসায় আসা যায় না পৃথিবীতে এমন কোনো সমস্যা নেই৷

একই ব্লগে ফিদাতো আলী সরকার নিজেকে গাজার একটি শিশু হিসেবে কল্পনা করে লিখেছেন,

‘আমি লাশ হয়ে পড়ে আছি

রক্তাক্ত দেহ, মাথার ঘিলু বের হয়ে রয়েছে

আসে পাশে আরও অনেক লাশ

আমার আব্বার, আমার আম্মার

আমার দাদু, আমার দাদী

আমাদের লাশের ছবিতে

ব্যবসা করা শুরু করেছ

মানববন্ধন, মিছিল আর

ফেসবুকে স্ট্যাটাস.....

আজ আমরা লাশ হচ্ছি

কাল না তোমাদের সন্তানেরা

এমন লাশ না হয়ে যায়...'

ফেসবুক পাতায় সাংবাদিক আবু সুফিয়ান লিখেছেন,‘ইসরায়লি আগ্রাসনের তদন্ত চেয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার পরদিন আবারো বোমা বিস্ফোরণে তিন শিশুসহ ২৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল৷ জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের অনুরোধে ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিলটি ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের তদন্ত চেয়ে ভোট নেয়৷ ভোটগ্রহণের ফলাফল হল – তদন্তের সপক্ষে ভোট প্রদান করেছে ২৯টি রাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বেশ কয়েকটি দেশসহ ভোটপ্রদানে বিরত ছিল মোট ১৭টি রাষ্ট্র এবং তদন্তের বিপক্ষে একমাত্র রাষ্ট্র হিসেবে ভোট দিয়েছে ইসরায়েলের বন্ধু রাষ্ট্র অ্যামেরিকা৷'

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য