1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তিস্তার পানি নিয়ে বরফ গলতে পারে

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৯ মার্চ ২০১৫

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির মসনদ দখলের পর, তাঁর সঙ্গে এই প্রথমবার বৈঠক করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ‘‘বৈঠকের প্রধান ‘অ্যাজেন্ডা’ বাংলাদেশ না হলেও, অমীমাংসিত কিছু ইস্যুতে বরফ গলবে৷’’

https://p.dw.com/p/1EnjM
Symbolbild Grenze Indien Bangladesh
ছবি: AFP/Getty Images

কথাটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশ্লেষক ড. শান্তনু মজুমদারের৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘মমতার কারণেই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বেশ কিছু অমীমাংশিত ইস্যু এতদিন আটকে ছিল৷ আশা করছি এবার তার বরফ গলবে৷''

ডিডাব্লিউ: মোদী-মমতার বৈঠকে বাংলাদেশের আশান্বিত হওয়ার কী কোনো কারণ আছে?

ড. শান্তনু মজুমদার: আশা করাই যায়৷ তবে এই বৈঠকে বাংলাদেশ যে প্রধান ‘অ্যাজেন্ডা', তা কিন্তু নয়৷ আসলে গত নির্বাচনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে এখন বেশ চাপে আছেন৷ শুধু তিনি নিজে নয়, চাপে আছে তাঁর তৃনমূল কংগ্রেসও৷ কয়েকদিন আগে সিপিএম কলকাতায় কয়েক লাখ মানুষের সমাবেশ করেছে মমতার বিরুদ্ধে৷ তাই তিনি মূলত এই বৈঠকে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানকে সংহত করতে চাইছেন৷ এছাড়া রাজ্যের ঘাড়ে চেপে থাকা বিপুল ঋণের বোঝাটাও লঘু করার আর্জি জানিয়েছেন মমতা৷

তাহলে বাংলাদেশের আশার জায়গা কোথায়?

প্রধান ‘অ্যাজেন্ডা' না হলেও বাংলাদেশের বিষয় যে আসবে বা এসেছে, সেটা নিশ্চিত করে বলা যায়৷ তিস্তার পানি বণ্টন, সীমান্ত চুক্তি – এ সব বিষয়গুলি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তাছাড়া এ বিষয়গুলোতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের আগ্রহ আছে৷ তাই মোদী চাইবেন মমতার কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করতে৷

মমতা কী এ সব বিষয়ে ইতিবাচক হবেন?

মমতা আগের অবস্থানে নেই৷ গত মাসেই তিনি ঢাকা ঘুরে গেলেন৷ তখন তাঁকে ইতিবাচকই মনে হয়েছে৷ তিনিও হয়ত তিস্তার পানি বণ্টন, সীমান্ত চুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশের দাবির প্রতি নরম হয়েছেন৷

তাঁর এই অস্থান পরিবর্তনের কারণ কী বলে আপনার মনে হয়?

মমতা নির্বাচনের সময় তিস্তার পানি নিয়ে ইতিবচাক হতে পারেননি, মূলত পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা এলাকার ভোটারদের মনোভাবের কারণে৷ কিন্তু এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই৷ সে সময় বাংলাদেশ বিরোধিতা তাঁকে ভোটের বাক্সে সুবিধা করে দিয়েছে৷ কিন্তু এখন বাংলাদেশের সঙ্গে নানা কারণেই তাঁর সুসম্পর্ক প্রয়োজন৷ তাই মনমোহনের সময় তিনি ‘না' বললেও, এখন আশা করি ‘হ্যাঁ' বলবেন৷ তিনি বাংলাদেশের ‘গুডবুক'-এ থাকতে চাইবেন৷

নরেন্দ্র মোদীর অবস্থান কী হতে পারে?

প্রধানমন্ত্রী মোদী চাইবেন কমপক্ষে তিস্তার পানির ব্যাপারে মমতার প্রতিশ্রুতি আদায় করতে৷ কারণ তিনি বাংলাদেশ সফরে আসার আগে বিষয়টি নিয়ে নিশ্চত হতে চান৷ তিনি যে প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশকে দিয়েছেন, তা রক্ষায় এই বৈঠকের মাধ্যমেই মোদী তাঁর ‘হোমওয়ার্ক'-টি সেরে ফেলতে চাইছেন বলে আমি মনে করি৷

তাহলে কি তিস্তার পানি নিয়ে আমরা আশাবাদী হতে পারি?

হ্যাঁ৷ আমি তো মনে করে মোদী-মমতার এই বৈঠকেই বরফ গলবে৷ সময়টি বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ঠ অনুকূলে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান