1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফখরুলকেই পাঠানোর পরামর্শ!

২৩ এপ্রিল ২০১৪

তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য বণ্টনের দাবিতে বিএনপি আন্দোলনে নেমেছে৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন অনেকে৷ তবে বিএনপি আমলের কথা মনে করিয়ে অন্যরকম মন্তব্যও করেছেন কেউ কেউ৷

https://p.dw.com/p/1BmXZ
ছবি: Imago

সামহয়্যার ইন ব্লগে ‘‘তিস্তা নিয়ে অন্য রকম আলোচনা '' শিরোনামে মোজাম্মেল97 লিখেছেন, ‘‘আন্দোলন চলছে, চলবে৷ বাংলাদেশকে মরুভূমি করার হাত থেকে রক্ষা করার আন্দোলন, ন্যায্য অধিকারের আন্দোলন৷ কিন্তু আমাদের আন্দোলনের উদ্দেশ্যটা কী? নদী বাঁচাও আন্দোলন৷ তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন৷ তাহলে আগে তিস্তাকে বাঁচাতে হবে ....ভারতের বিশ্রী আচরণের জন্য তিস্তা মরতে বসেছে প্রায়৷''

বিএনপি লংমার্চ শুরু করার পরই যে তিস্তায় পানি নজর কাড়ার মতো হারে বেড়েছে এ বিষয়টিও এড়িয়ে যাননি সামহয়্যার ইন-এর এই ব্লগার৷ বিষয়টির উল্লেখ করে মোজাম্মেল লিখেছেন, ‘‘গতকাল ৩ হাজার ৫০ কিউসেক পানি এসেছে তিস্তায়৷ কিন্তু সেটা তো নদীতে ছাড়তে হবে৷ তিস্তার দোয়ানী ব্যারেজ সংলগ্ন ক্যানেল বাঁচানোর আন্দোলন হয়নি৷ ব্যারেজের উদ্দেশ্য হলো, নদী থেকে কৃষি সুবিধা ভোগ৷ কিন্তু এখন দেখছি তার উল্টোটা হচ্ছে৷ ক্যানেল থেকে নদীর কিছুটা পানি পেলে সেটুকু নিয়ে বয়ে চলবে৷ গতকাল যে পানি এসেছে তা ক্যানেলেই প্রবাহিত হচ্ছে৷ তাহলে লালমনিরহাট হয়ে পানি ব্রহ্মপুত্রে বয়ে যাওয়া অনেক স্বপ্ন মনে হচ্ছে৷''

এ স্বপ্ন পূরণের জন্য ভারতকে চাপের মধ্যে রাখার পাশাপাশি আরো কিছু উদ্যোগও প্রয়োজন মনে করেন তিনি৷ তাঁর মতে, ‘‘আগে নদী ঠিক রাখতে হবে, নদীর খনন করতে হবে, দোয়ানী ব্যারেজের অপরিকল্পিত কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে, প্রয়োজনীয় স্থানে বাঁধ দিয়ে ভাঙ্গণ রোধ করতে হবে৷'’

Aktivisten sammeln sich vor dem Sitz der Nationalistischen Partei BNP in Dhaka
তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য বণ্টনের দাবিতে বিএনপি লংমার্চের কর্মসূচি পালন করছেছবি: DW

নিজেকে ‘অন্ধ বিশ্বাস নয় বরং যুক্তিতে বিশ্বস্ত' হিসেবে বর্ণনা করা মোজাম্মেলের লেখা শেষ হয়েছে এভাবে, ‘‘আমার নদী মরে যাচ্ছে আর ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ক্যানেলে বন্যা বইয়ে দেবে এটা তো হতে পারে না৷ এখন ক্যানেল পাড়ের মানুষ ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের দেখছি শুধু ভারতের বিরুদ্ধে অধিকার আদায়ের লড়াই নয়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও করতে হবে৷''

বিএনপির লংমার্চ নিয়ে ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের ফেসবুকেও মন্তব্য করেছেন অনেকে৷ ফেসবুকে ‘তিস্তার পানির জন্য বিএনপির লংমার্চ' শিরোনামের খবরটি শেয়ার করা হয়৷ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লংমার্চের প্রথম দিনে বলেছেন, ‘‘দেশের ৫৪টি নদী ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে৷ তাই নদীর ন্যায্য হিস্যা পাওয়া আমাদের অধিকার''৷ তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে একমত কিনা জানতে চাইলে অধিকাংশ পাঠকই ‘হ্যাঁ' বলেছেন৷ কিন্তু শাহাদাত বাবলু হোসেন সমস্যা সমাধানের একটা উপায়ও দেখিয়েছেন৷

শাহাদাত বাবলু মনে করেন মির্জা ফখরুলের পরিবেশ নিয়ে পড়াশুনো করা উচিত৷ তিস্তার প্রাপ্য পানি আদায়ের ভার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে দেয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি৷ শাহাদাত বাবলু হোসেন মন্তব্য করেছেন ইংরেজিতে৷ তাঁর বক্তব্য অনেকটা এরকম, ‘‘মি. ফখরুল রাজনীতিবিদ৷ এমন মন্তব্য করার আগে তাঁর উচিত পরিবেশ ভূ-তত্ব সম্পর্কে কিছুটা জেনে নেয়া৷ এর আগে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন সাধারণ নদীগুলো থেকেও কতটুকু পানি পাওয়া গেছে? আমার মনে হয়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পানি বন্টনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় সরকারের উচিত মির্জা ফখরুলকে পাঠানো৷ তাহলে বোধহয় এসব রোমান্টিক কথাবার্তা বন্ধ হবে৷''

মন্তব্যটি কটাক্ষপূর্ণ৷ শাহাদাত বাবলু কি এর মাধ্যমে রাজনীতিবিদদের ‘আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শেখাও' – আপ্তবাক্যটি মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন?

সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী