1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ভুয়া সাংবাদিক’

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪

বাংলাদেশের অনেক পেশাজীবীদের নিয়েই সমালোচনা আছে৷ তবে যে পেশার দায়িত্বশীলতা বেশি, সেখানে ‘খারাপ' থাকলে সমাজে এর প্রভাব ভয়াবহ৷ ব্লগওয়াচে থাকছে এক শ্রেণির সাংবাদিক আর এক সাংবাদিকের স্ত্রীর আত্মহত্যা প্রসঙ্গ৷

https://p.dw.com/p/1DKzD
Gefängnis Gefangener Symbolbild II
ছবি: picture-alliance/dpa

সামহয়্যারইন ব্লগে আহমদ জসিম লিখেছেন, ‘ভুয়া সাংবাদিক' নিয়ে, লেখার শিরোনাম, ‘ভুয়া সাংবাদিকের কাণ্ড দেখুন!'৷

শিরোনাম দেখেই বোঝায় যায় লেখায় তিনি কোন শ্রেণির সাংবাদিকদের কথা তুলে ধরেছেন৷ বাংলাদেশে যেমন প্রতিষ্ঠানের মান এবং কর্মীদের যোগ্যতা এবং সততার বিষয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ট্র্যাভেল এজেন্সি, এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে, তেমন ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত আছে সংবাদমাধ্যমেও৷ নানা ধরণের প্রভাব খাটিয়ে একটা সাইনবোর্ড হয়ত জোগার করা গেছে, কিন্তৃ সেখানে কর্মীদের বেতন-ভাতা দেয়ার আন্তরিক চেষ্টা বা সাধ্য নেই৷ প্রাণান্ত পরিশ্রম করে, পেশার জন্য জীবন বাজি রেখেও অনেক সংবাদকর্মীর যে দেশে আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং জীবনের নিরাপত্তা মেলে না, সেই দেশে ‘সাইনবোর্ডসর্বস্ব' প্রতিষ্ঠানের তথাকথিত কিছু সাংবাদিকের জীবন কাটে মহাসুখে৷

নিজের চোখে দেখা তেমন কয়েকজন সাংবাদিক সম্পর্কে লেখার আগে অবশ্য সৎ এবং নিষ্ঠাবান কয়েকজন সাংবাদিকের কথাও উল্লেখ করেছেন আহমদ জসিম, লিখেছেন, ‘‘বেশ ক'মাস আগে ঢাকার এক সাংবাদিক বন্ধুর সাথে ফোনালাপ হলো৷ খুব দুঃখ করে জানালেন: ছয় মাসের বেতন বকেয়া, ভাগ্যিস বউ চাকরি করে, নয়ত উপোসে মরতাম৷ আর চট্টগ্রামের কবি বন্ধুর কথা, আমার পত্রিকায় তিন মাস ধরে বেতন বন্ধ, ভাগ্যিস সংসার করিনি, করলে এখন কাপড় খুলে রাস্তায় হাঁটতে হতো৷''

তারপরই এসেছে ‘ভুয়া সাংবাদিক' প্রসঙ্গ৷ জসিমের বর্ণনায়, ‘‘জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে কর্মরত সাংবাদিকদের যখন এই অবসস্থা, ঠিক সেই সময় আমাদের পাড়ায় হঠাৎ আবির্ভাব হয়েছে একদল সাংবাদিক৷ যার গুরু নাম হচ্ছে বিপ্লব৷ ক্লাস সিক্স/সেভেন পাস এই লোকটার দাবি, সে ‘সন্ধ্যাবাণী' নামক পত্রিকার ব্যুরোচিফ৷ তার সাথে আছে ‘দেশের পত্র' নামক পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মোটর মিস্ত্রি বাচ্চু বড়ুয়া আর এক সময়ের প্যাকেজ অভিনেতা রুমেল৷ এই তিন জন মিলে চট্টগ্রাম শহরে গড়ে তুলেছে ভুয়া সাংবাদিকতার বিশাল নেটওয়ার্ক৷ চাঁদাবাজি, নারী কেলেঙ্কারি, জমি দখল থেকে শুরু করে হেন অপরাধ নেই যা তাদের দ্বারা সংঘটিতত হয়নি৷ আসল সাংবাদিকের জীবন যেখানে শঙ্কিত সেখানে এই ভুয়া সাংবাদিকরা এত ক্ষমতা পায় কোথায়? হু, তাদের এই অপকর্মের সাথে জড়িত আছে পুলিশ প্রশাসনও, যে কারণে তাদের অনেক চাঁদাবাজির অভিযানে পুলিশকেও সঙ্গে যেতে দেখা গেছে৷''

লেখার শেষ দিকে জসিমের আক্ষেপ, ‘‘আসলে পুরো দেশটাই যে নকলে ভরে গেছে সেখানে আসলরা শুকিয়ে মরবে আর নকলরা ক্রমশ তাজা হবে এটাই তো স্বাভাবিক৷''

জসিম যাকে ‘ভুয়া সাংবাদিক' বলছেন, এখন তিনি নাজি কারাগারে, সাংবাদিকরাই নাকি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন৷ জসিম লিখেছেন, ‘‘তবুও সুখের কথা, বিপ্লব এখন জেলে৷ না, পুলিশ ধরেনি, বরং সাংবাদিকরাই ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তাকে৷ তবে আমি নিশ্চিত, বিপ্লব যে কোনো সময় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবারও তার সঙ্গীদের নিয়ে মোল্লাপাড়া মোড়ে বসে চাপাবাজি আর শহর জুড়ে চাঁদাবাজি এক সাথে চালিয়ে যাবে৷''

পরের লেখাটি দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক পান্না বালার স্ত্রীর আত্মহত্যা নিয়ে৷ সামহয়্যারেই এ বিষয়ে লিখেছেন তালাত

তালাত জানিয়েছেন, ‘‘ফরিদপুরের সাংবাদিক পান্না বালার স্ত্রী আত্মহত্যা করার পর, আরো অনেক পরিবারের মতো তাঁর স্ত্রীর পরিবারও তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে৷ বিয়েতে এক টাকাও যৌতুক না নিলেও, তাঁর বিরুদ্ধেই যৌতুক দাবির অভিযোগ আনা হলো৷ স্থানীয় একজন মন্ত্রীর প্রত্যক্ষ ভুমিকা, টেলিফোনে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারও করল৷ অনেক স্ত্রীর আত্মহত্যার ঘটনাতেই স্বামীকে পুলিশ আটক করে৷ কিন্তু এখানে আরো অস্বাভাবিক এই যে, কে বা কারা লাখ টাকা খরচ করে চার রঙা পোস্টার ছাপিয়ে শহর ছেয়ে ফেলল৷ এতেই বোঝা যায় যে, কোনো একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে উঠে-পড়ে লেগেছে, কারণ, পান্না বালার বস্তুনিষ্ঠ আর সৎ সাংবাদিকতা অনেকের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল৷''

লেখার শেষে পান্না বালার বোন তৃপ্তি বালার একটি লেখার লিঙ্ক দিয়েছেন তালাত৷ সেখানে তৃপ্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘‘... প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি দেখবেন কি?''

সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য